জার্মানিতে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে৷ কিন্তু তার সাথে সমাজ ও অর্থনীতি ঠিকমত তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না৷ বিশেষ করে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিষয়টি চোখে পড়ে৷ পণ্য ও দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে তারুণ্যের জয়জয়কার৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানিতে শিশু জন্মের হার প্রতি বছর হ্রাস পাচ্ছে৷ আর এই অবস্থাটা চলছে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে৷ অন্যদিকে বয়োবৃদ্ধদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন ৫০ বছর পর প্রতি তিন জনে একজনের বয়স ৬৫'র ওপর হবে৷ তাই ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও বর্ষীয়ান জনগোষ্ঠীর চাহিদার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন৷ কেননা তাদের আর্থিক সামর্থ্য তরুণদের চেয়ে বেশি৷ আজকের পঞ্চাশ ঊর্ধ্বরা কেনাকাটায় ৭২০ বিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করতে পারেন৷ অর্থাৎ এই জনগোষ্ঠীকে ঘিরে রয়েছে এক বিশাল বাজার৷ কিন্তু বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে বিষয়টিকে আমল দেওয়া হচ্ছে না৷
বয়োবৃদ্ধদের জন্য চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন
ডর্টমুন্ড ইউনিভার্সিটির বার্ধক্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন ভেরা গ্যার্লিং৷ তিনি জানান, গত সহস্রাব্দের শেষে এসে মানুষ বুঝতে পারে যে প্রবীণ ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে বাজারে৷ এই জনগোষ্ঠীর জন্য আলাদাভাবে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন৷ তাদের কেনাকাটার ধরন, আগ্রহ ইত্যাদি আগের বয়োজ্যেষ্ঠদের চেয়ে ভিন্নরকম৷ গবেষক ভেরার ভাষায়, ‘‘আগে বৃদ্ধদের বাজার বলতে ওষুধপত্র ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সামগ্রী বোঝাতো৷ গত কয়েক বছরে এখানে ভিন্নধরনের একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, যা ক্রমেই বিকাশ পাচ্ছে৷ জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের কাছেও বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে৷''
বিজ্ঞাপন শিল্প অনেক পিছিয়ে
তবে এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন শিল্প অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে৷ সংশ্লিষ্টদের এব্যাপারে সচেতন হতে হবে৷ যেমন এক বিজ্ঞাপনে দেখা যায় এক বৃদ্ধ তাঁর নাতিকে নিয়ে বেঞ্চে বসে রসিয়ে রসিয়ে টফি খাচ্ছেন৷ বর্ষীয়ানদের অনেকের কাছেই এই ধরনের চিত্র পছন্দ হবে না৷ নিজেদের চিরাচরিত নানা-নানির চরিত্রে তাঁরা দেখতে চান না৷ তারা নিজেদের বয়োবৃদ্ধ মনে করতে চান না৷ আগের তুলনায় এই যুগের প্রবীণরা অনেক বেশি সক্রিয়৷ ভ্রমণ, শিল্প ও সংস্কৃতিতে আগ্রহী৷ তাদের পোশাক-আশাকেও তারুণ্যের ছাপ লক্ষ্য করা যায়৷ তবে সনাতন চিত্রের সঙ্গে খাপ খায় এমন প্রবীণের সংখ্যাও কম নয়৷ একারণে চিন্তাভাবনা করেই যে-কোনো সামগ্রীর বিজ্ঞাপন তৈরি করা উচিত৷
নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে বয়স্করা অনেক বিজ্ঞাপনকে সমালোচনার চোখে দেখেন৷ সব কিছু বিশ্বাস করেন না৷ যেমন কোনো সামগ্রীর বিজ্ঞাপনে যদি বিখ্যাত ব্যক্তিরা মুখর হন তাহলে বয়োজ্যেষ্ঠরা সেটা গ্রহণ করেন না, বরং প্রত্যাখ্যানই করেন৷ কেননা বিজ্ঞাপনদাতারা ঐ বস্তুটি ব্যবহার করেন না বলেই তারা মনে করেন৷ কিছু কিছু বিজ্ঞাপনে বয়স্কদের হাস্যকর অবস্থায় দেখা যায়, যা অবমাননাকর বা বৈষম্যমূলক মনে হতে পারে৷
বিবেচনা করতে হবে শারীরিক পরিবর্তন
বয়োজ্যেষ্ঠদের শারীরিক পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখেও বিজ্ঞাপন তৈরি করা উচিত৷ বয়সের সাথে সাথে মানুষে চোখের দৃষ্টিও ঝাপসা হয়৷ চোখধাঁধানো রঙ তাদের কাছে অস্বস্তিকর মনে হতে পারে৷ এছাড়া বয়স হলে মস্তিষ্কের তথ্যগ্রহণের প্রক্রিয়াও বদলে যায়৷ তাই জটিল বিজ্ঞাপনগুলি বুঝতে অসুবিধা হয় বর্ষীয়ানদের, বলেন বয়স্কদের জন্য এক অনলাইন পোর্টালের প্রতিষ্ঠাতা আলেক্সান্ডার ভিল্ড৷
প্রবীণরা যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এক বড় ভূমিকা রাখতে পারেন সেটা অন্যান্য কিছু দেশ আগেই বুঝতে পেরেছে৷ যেমন জাপানে বিষয়টি নিয়ে অনেক আগে থেকেই চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে৷ রাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকেও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান ডর্টমুন্ড ইউনিভার্সিটির ভেরা গ্যার্লিং৷ বিশেষ করে অর্থনৈতিক মন্ত্রণালয় যথাযথ কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে এসেছে সেখানে৷ তবে সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি ভিন্নরকম৷ কারিগরি দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে আছে দেশটি৷
জার্মানির কোলন শহরে প্রবীণদের জীবনযাত্রা
জার্মানিতে অন্যান্য দেশের মতো বাড়ছে প্রবীণদের সংখ্যা৷তাঁরা কেন দীর্ঘজীবী হন, তাদের জীবনযাত্রা, তাঁদের জীবনের সফলতা আসার নানা গল্প জানিয়েছেন কোলনে একটি অভিজাত এলাকায় বসবাসকারী ইতিবাচক চিন্তার কয়েকজন প্রবীণ৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
স্বাস্থ্য সচেতন ও ইতিবাচক চিন্তার মানুষ
প্রতিদিনের নাস্তায় অবশ্যই থাকে তাজা ফলের রস, রুটি, কফি ইত্যাদি৷ জো প্রতিদিন বাজারে যায়, লক্ষ্য তাজা ফল, সালাদ কেনা ছাড়াও বাড়ির বাইরে বের হওয়া এবং আশেপাশের লোকজনের খোঁজখবর রাখা৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
রিটা এবং জো
আসল নাম মার্গারিটা৷ তবে আদর করে সবাই তাঁকে ডাকে রিটা নামে৷ আর তাঁর স্বামী ইউসেফকে ডাকে জো৷ এই দম্পতি অবসর জীবনেও থাকেন হাসিখুশি আর নানা কাজ নিয়ে ব্যস্ত৷ তরুণ বয়সে ইংল্যান্ড, অ্যামেরিকা, অস্ট্রেলিয়াতে বেশ কয়েক বছর কাটিয়েছেন৷ কোলন শহরের নামি দামি এলাকায় বহু বছর ছিল তাঁদের গহনার দোকান৷ আজকের এই অবস্থানে আসতে দু’জনে মিলে প্রচুর খেটেছেন৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
হ্যাপি আওয়ার
জো এর বয়স ৮০৷ নিজ হাতে তৈরি করা বাড়ির সামনের সাজানো বাগানে গরমকালে প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত বসেন৷ আর অপেক্ষায় থাকেন তাদেরই মতো আরো কয়েকজনের জন্য৷ এঁরা মনে করেন, শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য শুধু ভালো খাবার আর নিয়মিত চেকআপই যথেষ্ট নয়, চাই ভালো বন্ধুবান্ধব আর হাসিতামাশা৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
মিলে মিশে থাকা
এই এলাকার প্রায় ৫০টি বাংলো বাড়ির কয়েকটি ছাড়া বাকিগুলোর মালিক কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন৷ অর্থাৎ তাদের বয়স ৬৫’র ওপর৷ এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিয়মিত এই আড্ডায় যোগ দেন, করেন খানিকটা মদ্যপান৷ এই অবসরপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকোশলী ও চাকরিজীবীদের আলোচনার বিষয় পারিবারিক সুখ-দুঃখ থেকে বিশ্বের চলমান রাজনীতি পর্যন্ত৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
রিটার দিন শুরু
দেখে বোঝার কোনো উপায়ই নেই যে তাঁর বয়স ৭৫৷ সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়ামের মধ্য দিয়ে তাঁর দিনের শুরু৷ সবসময়ই ফিটফাট থাকেন৷ কি করে সম্ভব জানতে চাইলে বলেন, পুরনো অভ্যাস৷ একসময় তিনি নিজেদের ব্যবসা, দুটো সন্তান মানুষ করা এবং সংসারের সমস্ত কাজসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেও অংশ নিতেন৷ এই দম্পতির মতে জীবনে ‘ডিসিপ্লিন’ খুব বড় ব্যাপার৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
সকালের নাস্তা
প্রতিদিনের নাস্তায় অবশ্যই থাকে তাজা ফলের রস, রুটি, কফি ইত্যাদি৷ জো প্রতিদিন বাজারে যায়, লক্ষ্য তাজা ফল, সালাদ কেনা ছাড়াও বাড়ির বাইরে বের হওয়া এবং আশেপাশের লোকজনের খোঁজখবর রাখা৷ কোন প্রতিবেশীর কি দরকার, কে ছুটিতে গেছে বা কোনো নতুন প্রতিবেশী এসেছে কিনা সব খবরই থাকে জো’র কাছে – যার দিনের অনেকটা সময় কাটে বাগান করে৷ আর হ্যাঁ, সপ্তাহে দু’দিন নিয়ম করে স্ত্রীর জন্য ফুল কিনতে ভুল হয়না তাঁর৷
ছবি: Fotolia/kab-vision
হাসিখুশি মারিয়ানা
পেশায় ছিলেন স্কুল শিক্ষক৷ স্বামী মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে৷ নিজের গাছের যত্ন ছাড়াও প্রতিবেশীদেরও প্রয়োজনে নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ শীতকালে এই প্রবীণ গ্রুপের ‘হ্যাপি আওয়ার’ আড্ডা বন্ধ থাকে বলে তখন বাইরে কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া, কোনো থিয়েটার বা কনসার্টে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন মারিয়ানা৷ উদ্দেশ্য একসাথে আনন্দ করা৷ তাঁর মতে সুস্থ থাকতে চাইলে ভাবের আদান-প্রদান খুবই জরুরি৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
চাই মুক্ত বাতাস আর হাঁটাহাঁটি
শরীর ঠিক রাখতে হাঁটাহাঁটি আর ফুসফুস ঠিক রাখতে মুক্ত বাতাস সেবন করেন প্রবীণরা৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানদের আজকের এই অবস্থানে আসতে কত কষ্ট করতে হয়েছে তাঁরা তা খুব ভালোভাবেই জানেন৷ তাঁদের অনেকেরই তখন ঠিকমতো খাবার বা থাকার জায়গা ছিল না৷ অথচ এসব কথা এই প্রজন্মের জার্মানরা বুঝতে বা জানতে চায়না – একথা মাঝেমধ্যেই দুঃখ করে বলেন প্রবীণরা৷
ছবি: Fotolia/Fotowerk
বয়স কোনো বাধা নয়
এঁদের বয়স ৬৫ থেকে ৮৩ পর্যন্ত৷ সবাই নিজে গাড়ি চালান এবং পছন্দ করেন চালাতে৷ প্রায় সবাই কম্পিউটার চালাতে অভ্যস্ত৷ ছেলে-মেয়ে বা নাতি-নাতনির সাথে ইমেল বা ফেসবুকেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন৷ তাঁরা বলেন, ‘সময়ের সাথে কিছুটা তাল মিলিয়ে চলা মানেই ব্রেনের সেলগুলোকে সজাগ রাখা৷’
ছবি: Fotolia/Rido
অসুখকে গুরুত্ব দিলেও মন খারাপ করেন না
বয়সের সাথে অসুখের সম্পর্ক নিবিড়, যা খুবই স্বাভাবিক৷ তাই বলে মন খারাপ নয়৷ অসুখের সময়ও এই প্রবীণ দল একে অন্যের দেখাশোনা করেন৷ ৭৮ বয়সি হান্সের ডায়াবেটিস খুব বেশি৷ কদিন আগে তিনি বাড়ির কাছেই তাঁর অত্যাধুনিক মডেলের ‘আউডি’ গাড়িটি অন্য একটি গাড়ির সঙ্গে লাগিয়ে দিয়েছিলেন৷ তাই এখন মেয়ে বলে দিয়েছে যে, তাঁর ‘গাড়ি চালানো বন্ধ’ – এ কথাই সেদিন হান্স ছলছল চোখে প্রবীণ বন্ধুদের বলছিলেন৷
ছবি: DW / N.Baeva
গান বাজনা
হস্ট অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার৷ শখ অ্যাকোর্ডিয়ান বাজানো আর ছবি আঁকা৷ প্রতিবেশীদের জন্মদিন বা কোনো উপলক্ষ্য হলেই হাতে তুলে নেন অ্যাকোর্ডিয়ান আর তালে তালে নেচে ওঠেন অন্যরাও৷ মজার ব্যাপার হলো, জন্মদিনের দাওয়াত দেবার সময় এঁরা বলে দেন, ‘‘কোনো উপহার নয়, আনন্দ ফুর্তি করার জন্য ‘মন’ নিয়ে এসো৷’’
ছবি: Nurunnahar Sattar
আনন্দ আর ধরেনা
এরকম হালকা আনন্দই বেচে থাকার প্রেরণা যোগায়
ছবি: Nurunnahar Sattar
পোশাককর্মীদের নিয়ে চিন্তা
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব খবরই তাঁরা রাখেন৷ সম্প্রতি বাংলাদেশের পোশাক কারখানা রানা প্লাজা ধসে যাওয়ার খবরে তারা খুবই বিচলিত৷ পোশাক কর্মীদের বেতন অবশ্যই বাড়ানো উচিত বলে তাঁরা মনে করেন৷ তাঁদের মতে পোশাক প্রতি ১ ইউরো বেশি দেওয়া জার্মানদের পক্ষে মোটেই কঠিন নয়৷ তাই তাঁরা এর আশু সমাধান কামনা করছেন৷
ছবি: JEWEL SAMAD/AFP/Getty Images
তরুণদের প্রতি পরামর্শ
তরুণ বয়সই কাজ করার উপযুক্ত সময়, তাই নিজের বুদ্ধি আর শক্তিকে কাজে লাগাও৷ নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলো এবং ইতিবাচক চিন্তা করো৷ ছোট বড় সবার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখো, প্রয়োজনে সাহায্য করো৷ জীবনে সমস্যা আসবেই, মোকাবেলা করো৷ সময়কে ভালোভাবে কাজে লাগাও, সাফল্য আসবেই আসবে৷ তরুণ বয়সে খাটলেই কেবল প্রবীণ বয়সে ভালো থাকা সম্ভব৷
ছবি: Nurunnahar Sattar
14 ছবি1 | 14
অ্যামেরিকার সমাজেও বয়োজ্যেষ্ঠদের আলাদা পদমর্যাদা রয়েছে৷ তাঁদের জন্য রয়েছে ভালো ভালো ক্যাম্পেইন ও বিজ্ঞাপন৷ জার্মানিতে যেখানে বয়স্কদের ব্যাপারে একটা নেতিবাচক চিত্র ফুটে ওঠে সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বার্ধক্যকে তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়, বলে জানান ভিল্ড৷
পরিবেশ তৈরি করা দরকার
বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে জানা যায়, যেমন বিজ্ঞাপন তেমনি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও প্রবীণ জনগোষ্ঠীর চাহিদার দিকে লক্ষ্য রাখা হয় না জার্মানিতে৷
এজন্য কিছু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে: যেমন লক্ষ্য রাখতে হবে ভোগ্যপণ্যের প্যাকেটগুলি যেন ভালভাবে খোলা যায়৷ ওপরের লেখা ভালভাবে পড়া যায়৷ এছাড়া কেনাকাটার পরিবেশও আরামদায়ক হতে হবে৷ এজন্য দোকানের প্রবেশপথ চওড়া ও শপিং কার্টে অনুবীক্ষণ যন্ত্র লাগিয়ে রাখা যেতে পারে৷ বয়স্করা শুধু কেনাকাটা করতেই দোকানে যান না, লোকজনের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করতেও যান৷ আর পছন্দসই পরিবেশের জন্য তাঁরা কিছুটা বেশি দাম দিতেও প্রস্তুত৷