1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রমীলা ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাস

২১ জুন ২০১১

গোটা বিশ্বে ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হলেও মূলত এটি পুরুষদের খেলা হিসেবেই পরিচিত৷ তবে প্রমীলা বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে সেই ধারণাটি ধীরে ধীরে কমে আসছে৷ জার্মানিতে এবার ষষ্ঠ প্রমীলা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷

ছবি: AP

এর আগের পাঁচবারের আয়োজনে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র দুইবার করে শিরোপা অর্জন করে৷ আর নরওয়ে একবার চ্যাম্পিয়ন হয়৷

চীন ১৯৯১

সাবেক ফিফা প্রেসিডেন্ট ড. হোয়াও হ্যাভেল্যাঞ্জের জোরালো উদ্যোগেই মূলত প্রথমবারের মত প্রমীলা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়৷ চীনের মাটিতে এই প্রথম টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল ১২টি দেশ৷ ১৯৯১ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টের সাফল্য প্রমীলা ফুটবলারদের মধ্যেই দারুণ উৎসাহ তৈরি করে৷ প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে নরওয়েকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় যুক্তরাষ্ট্র৷ তৃতীয় হয় সুইডেন এবং চতুর্থ জার্মানি৷ টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়ে গোল্ডেন বল লাভ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারিন কেনিংস৷

সুইডেন ১৯৯৫

চীনে প্রথম প্রমীলা বিশ্বকাপের সাফল্য ফিফাকে এই টুর্নামেন্টকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহস যোগায়৷ তাই সুইডেনে বসে দ্বিতীয় প্রমীলা বিশ্বকাপের আসর৷ এবারও মোট ১২টি দেশ অংশ নেয় এতে৷ তবে বিশ্বকাপের পাশাপাশি পরের বছরের অলিম্পিক ফুটবল টুর্নামেন্টের বাছাই পর্বও একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়৷ ফাইনালে এবার চ্যাম্পিয়ন হয় আগেরবারের রানার্স আপ নরওয়ে৷ তারা জার্মানিকে হারিয়ে এই গৌরব অর্জন করে৷ অন্যদিকে আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র হয় তৃতীয় এবং চীন হয় চতুর্থ৷ টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হন চ্যাম্পিয়ন দলের হেগে রিজে৷

গতবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিছবি: picture alliance / Pressefoto Ulmer

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৯

পরপর দুটি বিশ্বকাপের সাফল্যের পর যুক্তরাষ্ট্রে বসে প্রমীলা বিশ্বকাপের তৃতীয় আসর৷ প্রমীলা বিশ্বকাপের এই আসরটি আগের সব আসরকে ছাড়িয়ে যায়৷ অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ১২ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১৬তে৷ পাঁচটি মহাদেশের প্রমীলা ফুটবল দল এই বিশ্বকাপে অংশ নেয়৷ কেবল অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও নতুন করে আবির্ভাব ঘটে প্রমীলা ফুটবলের৷ স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র আবারও শিরোপা জয় করে৷ তবে টুর্নামেন্টে সবাইকে চমকে দিয়ে ফাইনালে উঠে চীন৷ এমনকি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটিও পান চীনের সুন ওয়েন৷ মূলত প্রমীলা ফুটবলের জোরালো সম্প্রসারণের শুরুটা হয় এই বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে৷

যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩

পরপর দুই দফা ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের কৃতিত্ব একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের৷ চার বছর আগের টুর্নামেন্টের সাফল্য এবার তারা ধরে রাখতে না পারলেও মার্কিন গণমাধ্যমের সুবাদে প্রমীলা ফুটবল গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করেছে৷ আর এই বিশ্বকাপেই ফুটবল পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করলো জার্মানি৷ বিরগিট প্রিনৎস'এর দুর্দান্ত নৈপুণ্যে প্রথমবারের মত শিরোপা হাতে নিলো জার্মান নারী ফুটবলাররা৷ ফাইনালে তারা হারায় সুইডিশ প্রমীলা ফুটবল দলকে৷ এর আগে জার্মানি একবার ফাইনাল খেললেও সুইডেন এই প্রথমবারের মত ফাইনালে ওঠে৷ টুর্নামেন্টে তৃতীয় স্থান পায় যুক্তরাষ্ট্র৷

২০০৩ সালেও শিরোপা নেয় জার্মানিছবি: picture-alliance/ASA

চীন ২০০৭

প্রথম বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ চীনে আবারও বিশ্বকাপ আয়োজিত হয় ২০০৭ সালে৷ তবে তাদের তেমন কোন সাফল্য এবার দেখা যায়নি৷ কিন্তু ততদিনে আন্তর্জাতিক প্রমীলা ফুটবল পুরুষদের মতই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে৷ ১৬টি দেশের অংশগ্রহণে এই টুর্নামেন্টের উত্তেজনা ও সাফল্য ছিল চোখে পড়ার মত৷ আর টানা দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বসেরার মুকুট অর্জন করলো জার্মানি৷ ফাইনালে তারা হারায় ব্রাজিলকে৷ পুরুষদের ফুটবলে পাঁচবার বিশ্বসেরা হলেও এখন পর্যন্ত একবারও বিশ্বকাপ হাতে নিতে পারেনি ব্রাজিলের প্রমীলা ফুটবলাররা৷ তবে গত আসরের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বল লাভ করেন ব্রাজিলের মার্টা৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ