1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্লগ সম্মেলন

৪ মে ২০১২

ব্লগিং জগতে ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বড় সম্মেলন ‘রিপাবলিকা’৷ যাতে এবার অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশের ফোটোগ্রাফি জগতের মাইলফলক ‘দৃক’ ও দক্ষিণ এশিয়া ফোটোগ্রাফি ইনস্টিটিউট ‘পাঠশালা’-র স্থপতি ড. শহিদুল আলম৷

ছবি: Shahidul Alam

সম্মেলন কক্ষটির নাম ‘স্টেশন বার্লিন'৷ যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ব্লগার, ওয়েব ডিজাইনার, সাংবাদিকদের ভিড়ে আচমকা চোখে পড়ে নামিদামি ব্লগারদের মুখ, কানে আসে আইপ্যাড, ম্যাকবুক এয়ার অথবা হাল-ফ্যাশনের কোনো রোবোটিক প্রযুক্তির রকমারি ব্যবহার, তাদের গুণাবলি৷ তবে রিপাবলিকা'র ওয়েবসাইটটিতে গেলে, একজন বাঙালি হিসেবে যেটা প্রথমেই নজর কাড়ে, সেটা হলো ডয়চে ভেলের সেরা ব্লগ অনুসন্ধান প্রতিযোগিতার বাংলা ভাষার বিচারক শহিদুল আলমের সপ্রতিভ একটা ছবি৷ বলা বাহুল্য, এবছর, এ সম্মেলনে তিনি একজন মূল বক্তা৷

আসলে ইন্টারনেটের ব্যাপারে বরাবরের আগ্রহ শহিদুলের৷ এবং এটা বাংলাদেশে কী কী করতে সক্ষম, সে ব্যাপারে, তাঁর যেমন কৌতূহলের শেষ নেই, তেমনই অন্ত নেই আশারও৷ তা ঠিক কোন বিষয়টি উঠে এলো ড. আলমের বক্তব্যে? তিনি বললেন, ‘‘আমার মনে হয় মানুষের কল্যাণে আসার জন্যই এই প্রযুক্তি৷ অথচ বহুক্ষেত্রে, সে বাজারের কারণেই হোক, আমলাতান্ত্রিক কারণেই হোক বা রাজনৈতিক কারণেই হোক, এ ধরনের প্রযুক্তি আমাদের বিপক্ষে গেছে৷ অথচ আমরা চাইলে নতুন প্রযুক্তির ইতিবাচক দিকটাকে নিয়ে লড়াই করতে পারি৷ দিতে পারি তাকে উল্টে৷ লাগাতে পারি নিজস্ব আন্দোলনের কাজে৷''

রিপাবলিকার লোগো

আর সে জন্যই শহিদুলের ঐ ‘কি-নোট'-এর শিরোনাম ‘দ্য বর্ডার্স অব দ্য গ্লোবাল ভিলেজ'৷ এ যেন বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিকে জনকল্যাণের স্বার্থে গড়ে তোলা৷ শহিদুল আলম জানান, ‘‘যে ডিজিটাল ডিভাইড-এর কথা আমরা বলে আসছি, প্রযুক্তিগতভাবে সেটার এক প্রান্তিক জায়গায় বাংলাদেশ৷ আবার দেশের মধ্যে শহুরে মধ্যবিত্তদের যে সুযোগগুলো রয়েছে, গ্রামের সাধারণ মানুষের তা নেই৷ ইন্টারনেট সকলের জন্য – একথা বলা হলেও, বাস্তবে কিন্তু দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্র৷ যে দেশে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, কম্পিউটার নেই, নেই আক্ষরিক জ্ঞান, সেখানে এই দূরত্বগুলো অত্যন্ত বড়৷ তাই চেষ্টা করতে হবে যাতে এই প্রযুক্তি যারা সুবিধাবাদী, শুধু তাদের কাজে না লেগে, সুবিধাবঞ্চিত যারা, তাদেরও কাজে আসে৷''

কথায় বলে, এই পৃথিবীটা সকলের৷ এর কোনো একটা দিক আরেকটা দিককে বাদ দিয়ে যদি এগিয়ে যেতে চেষ্টা করে, তাহলে সেটা টিকতে পারে না৷ তাই শহিদুলের কথায়, ‘‘এই সীমিত সামর্থ্য নিয়ে আমরা প্রযুক্তিকে যেভাবে ব্যবহার করেছি, তাকে যেভাবে নিংড়ে নিচ্ছি, সেটা থেকে সকলেরই শেখার আছে৷ ধরুন, পরশুদিন আমরা যখন রিপাবলিকার প্রেস কনফারেন্সে গেলাম, সেখানে বলা হলো যে আমাদের ওয়াইফাই'তে সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ দিতে অন্তত ২৪ ঘণ্টা লাগবে৷ অথচ বাংলাদেশ হলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই কেউ সেটা করে দিতে পারতো৷ আদতে এরা যখন বিশাল বিশাল ভারি জিনিস নিয়ে মাথা ঘামায়, তখন আমরা হাল্কাভাবে এক ধরনের গেরিলা ওয়ারফেয়ার ব্যবহার করে এদের চাইতে উন্নতমাত্রায় প্রযুক্তির ব্যবহার করেছি৷ বাংলাদেশে আমরা যখন ই-মেল চালু করি, সেই ৯০'এর শুরুর দিকে, তখন কিন্তু পাশ্চাত্যের অনেকেই ই-মেল ব্যবহার করে নি৷ আর আমরা শুধু যে ই-মেল ব্যবহার করেছি – তা নয়৷ সেটাকে এমনভাবে কাজে লাগিয়েছি, যেগুলো নিয়ে এরা তখনও ভাবেই নি৷''

উল্লেখ্য, গত ২রা মে থেকে শুরু হওয়া এ সম্মেলনের আজ শুক্রবারই শেষ দিন৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ