1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রযুক্তিভিত্তিক জনপ্রিয়তা

১৫ অক্টোবর ২০১২

নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসছে৷ তাই বারাক ওবামা এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মিট রমনির প্রচার অভিযানও তুঙ্গে৷ তবে প্রযুক্তির যুগে এখন শুধু বক্তৃতার মঞ্চ মাতানোই যথেষ্ট নয়, বরং ইন্টারনেটে প্রচার চালানোও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে৷

Republican presidential nominee Mitt Romney answers a question as U.S. President Barack Obama listens during the first presidential debate in Denver October 3, 2012. REUTERS/Jim Urquhart (UNITED STATES - Tags: POLITICS ELECTIONS USA PRESIDENTIAL ELECTION)
ছবি: Reuters

৬ই নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন৷ তাই বারাক ওবামা এবং মিট রমনি উভয় নেতাই টেলিভিশন বক্তৃতা, দলীয় সভায় বক্তৃতা এবং এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের সমর্থন আদায়ের কাজে ব্যস্ত৷ তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই যুগে শুধু নির্বাচনি মাঠে থাকলেই চলবে না৷ প্রার্থীদের একইসাথে তাল মেলাতে হবে ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও৷ আর সেই জায়গাটিতেই বারাক ওবামার চেয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে গেছেন মিট রমনি৷

রবিবার ওবামা এবং রমনির ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগের একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷ তাদের হিসাবে, ফেসবুক-এ বারাক ওবামার পাতায় ‘পছন্দ' বোতামে চাপ দিয়েছেন ৩০.৮ মিলিয়ন মানুষ৷ অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত মিট রমনির ফেসবুক পাতায় ভক্তের সংখ্যা দেখা যাচ্ছে মাত্র ৯.৩ মিলিয়ন৷ এছাড়া ‘যদি তুমি ওবামার দলে থাকো, তাঁকে তা জানিয়ে দাও' লেখা ফেসবুক বাণীটি এ পর্যন্ত এক লাখ ৫৯ হাজার বার অন্যদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে৷

তবে ফেসবুকের জগতে শুধুমাত্র বারাক ওবামার সরব পদচারণা নেই, বরং সমান তালে ফেসবুকে প্রচার অভিযান চালাচ্ছেন মিশেল ওবামাও৷ মিশেল ওবামার ফেসবুক ভক্তের সংখ্যা যেখানে ৮.৫ মিলিয়ন, সেখানে রমনি পত্নী অ্যানের ভক্ত মাত্র তিন লাখ একাশি হাজার৷ অবশ্য ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জো বাইডেন তাঁর রিপাবলিক্যান প্রতিদ্বন্দ্বী পল রায়ানের চেয়ে বেশ পিছিয়ে রয়েছেন৷

ছবি: picture-alliance/dpa

টুইটারে বারাক ওবামার অনুসারী রয়েছেন ২০.৮ মিলিয়নেরও বেশি৷ ২০০৭ সালের মার্চ মাস থেকে টুইটারে হাজির রয়েছেন ওবামা৷ তবে সেখানে ওবামার পক্ষে তাঁর দলের সদস্যরাই বেশি টুইট করে থাকেন৷ তাঁর নিজের করা টুইটগুলোর শেষে সংক্ষেপে লেখা থাকে ‘বিও'৷ প্রভাবশালী টুইটার ব্যবহারকারীদের দিকে নজরদারি সংস্থা টুপচার্টস এর হিসাবে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অনুসারী রয়েছে এমন টুইটকারীদের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বারাক ওবামার অ্যাকাউন্ট৷ তবে প্রেসিডেন্ট ওবামা এখনও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অনুসারী থাকা তারকা লেডি গাগার চেয়ে বেশ পেছনে রয়েছেন৷ লেডি গাগার টুইটার অনুসারীর সংখ্যা ৩০ মিলিয়ন৷

অন্যদিকে, টুইটার জগতে মিট রমনি প্রবেশ করেন ওবামার দুই বছর পর৷ ফলে মাত্র ১.৪ মিলিয়ন অনুসারী নিয়ে ওবামার চেয়ে অনেক পথ পিছিয়ে রয়েছেন তিনি৷ অনুসারীর সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে তাঁর অবস্থান ৯২৫তম ঘরে৷ অবশ্য টুইটারেও পল রায়ানের পেছনে রয়েছেন জো বাইডেন৷

গুগলের সামাজিক নেটওয়ার্ক-এ বারাক ওবামার ভক্ত রয়েছেন ২.২ মিলয়ন৷ যা মিট রমনির নয় লাখ আটাত্তর হাজার অনুসারীর দ্বিগুণেরও বেশি৷ এছাড়া ইউটিউবে বারাক ওবামাকে অনুসরণ করেন দুই লাখ ৪০ হাজার মানুষ৷ কিন্তু ইউটিউবে মিট রমনির অনুসারী ২৩ হাজার সাতশ'রও কিছু কম৷

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগের সাম্প্রতিক মাধ্যম পিন্টারেস্ট এ ওবামার ভক্ত রয়েছে ৩৪ হাজার ছয়শ'রও বেশি৷ অন্যদিকে, রমনি পিন্টারেস্ট-এ রয়েছেন মাত্র এক হাজার সাতশ' অনুসারী নিয়ে৷ অবশ্য এই সাইটে রমনির স্ত্রী অ্যান বেশ এগিয়ে রয়েছেন৷ তাঁর অনুসারী ১২ হাজার চারশ' জন৷ তবে পিন্টারেস্ট-এ ওবামাকেও ছাড়িয়ে গেছেন প্রেসিডেন্ট পত্নী মিশেল ওবামা৷ পিন্টারেস্টে তাঁর অনুসারী প্রায় ৪৩ হাজার৷

ছবি শেয়ারিং এর জন্য বেশি জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইট ইন্সট্যাগ্রাম-এও রমনিকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন ওবামা৷ সেখানে ওবামার নির্বাচনি প্রচার অভিযানের ছবিগুলো অনুসরণ করছেন দেড় মিলিয়ন ভক্ত৷ কিন্তু সেখানে রমনির রয়েছে ওবামার চেয়ে প্রায় ৩০ গুণ কম অনুসারী৷

এএইচ / আরআই (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ