1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডিজিট্যাল ডিভাইড

৬ এপ্রিল ২০১২

প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বেশ একটা ফারাক ছিল৷ আর সেই ফারাক আজও বিরাজমান বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম৷

ছবি: dapd

প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে এখনো ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে৷ বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম৷

প্রযুক্তি উন্নয়নের পথছবি: CORBIS

অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার কতখানি হচ্ছে? এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই ইউরোপ, অ্যামেরিকা, এশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশের ১৪২টি দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়৷ এরপর তুলে ধরা হয় ৪৪১ পৃষ্ঠার এক বিশাল প্রতিবেদন৷

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সরকারি কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কতখানি সাফল্য এসেছে? কতটুকু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে? এই বিষয়গুলোকে বিচার-বিবেচনা করেই তালিকাটি প্রকাশ করেছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম৷

ডিজিটাল ডিভাইড বড় একটি বিষয়ছবি: AP

প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে অর্থনৈতিক খাতে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পাওয়া দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে সুইডেন, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, অ্যামেরিকা, কানাডা ও ব্রিটেন৷ আর এই তালিকার নীচের দিকে অবস্থান করছে নেপাল, সিরিয়া, পূর্ব টিমর ও হাইতি৷

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম এর গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড পারফরমেন্স এর সহকারী প্রণেতা বেনাট বিলবাও ওসোরিও বার্তা সংস্থা এপি কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অতীতে যেমন পার্থক্য ছিল, এখনো সেই পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, একই অঞ্চলের মধ্যেও এই পার্থক্য বিরাজমান৷''

আইএনএসইএডি-এর অধ্যাপক এবং এই প্রতিবেদনের আরেকজন প্রণেতা সৌমিত্র দত্ত বলেন, ‘‘দুনিয়ার দেশ সমূহ আরো বেশি মাত্রায় একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে৷ ফলে, সরকার থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও মানুষের ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলছে প্রযুক্তির ব্যবহার৷''

চীন এগিয়ে চলেছে প্রযুক্তির ক্ষেত্রেছবি: picture-alliance/dpa

ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান বুজ অ্যান্ড কোম্পানির কর্তাব্যক্তি ক্রিস্টোফার ভলমার বার্তা সংস্থা এপি-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির একটা ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে৷''

প্রযুক্তির প্রশংসা করে তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি, যে সব দেশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে খুবই ভালো করেছে সে সব দেশের মোট জাতীয় আয়ও ধীরে ধীরে বাড়ছে৷''

প্রতিবেদনটিতে দেখা যায় যে, প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইউরোপ অনেক এগিয়ে রয়েছে৷ তবে, প্রকাশিত এই তালিকায় অ্যামেরিকার অবস্থান আছে অষ্টম স্থানে৷

নতুন প্রকাশিত এই তালিকায় ভারতকে টপকে উপরের দিকে উঠে এসেছে চীন৷ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এশিয়া অঞ্চলে আগে ভারত ছিল সবচেয়ে এগিয়ে৷ কিন্তু এবছর চীন এগিয়ে গেছে৷ কারণ চীন সরকার প্রযুক্তিখাতকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে৷

ভারত কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেছবি: picture-alliance/dpa

চীন বা ভারত এগিয়ে গেলেও এশিয়ার অন্য কয়েকটি দেশ এখনো ভীষণ পিছিয়ে আছে প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে৷ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে নেপাল, তাজিকিস্তান ও পাকিস্তান৷

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ বাহরাইন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত বেশ এগিয়েছে প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে৷

প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যাবসা-বাণিজ্য করা, মানুষের জীবনমান পরিবর্তন ও সরকারি কাজে গতি আনার ক্ষেত্রে ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশগুলোর অবস্থা ভীষণ হতাশাজনক বলেও জানিয়েছে এই প্রতিবেদন৷

তথ্য-প্রযুক্তিখাতকে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার৷ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ' নির্মাণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডও হাতে নিয়েছে৷ এখন দেখা যাক, তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে কতখানি পরিবর্তন আসে৷

প্রতিবেদন: আফরোজা সোমা/ এপি, এফপি

সম্পদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ