বাড়ছে বিদেশে যাওয়া নারী শ্রমিকের সংখ্যা৷ ফলে রেমিটেন্সে দারুণ প্রভাব রাখছে তাঁদের পাঠানো অর্থ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘টাকা পাঠালেই হবে না, তাঁদের সঠিক কাজের ব্যবস্থা করা এবং নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে৷''
বিজ্ঞাপন
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) এক হিসেবে দেখা গেছে, বিদেশে প্রথম নারী শ্রমিক যাওয়া শুরু হয় ১৯৯১ সালেয সে বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪১৬ জন ও কুয়েতে ৪১৭ জনসহ মোট বিদেশে গেছেন ২ হাজার ১৮৯ জন নারী৷ এক পর্যায়ে, ২০০১ সালে ৬৫৯ জন নারী বিদেশে যান৷ এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি৷ ২০০২ সালে গেছেন এক হাজার ২১৬ জন, ২০০৩ সালে গেছেন ২ হাজার ২৫৩ জন৷ এভাবে প্রতি বছরই বেড়েছে নারী শ্রমিকদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা৷ ২০১১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ৫৭৯ জন৷ ২০১২ সালে ৩৭ হাজার ৩০৪ জন৷ আর গেল বছর, অর্থাৎ ২০১৪ সালে ৭৬ হাজার ৭ জন নারী৷ তাছাড়া সর্বশেষ চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে বিদেশে গেছেন ৪৯ হাজার ৩২৬ জন৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সি আর আবরার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বিদেশে আমাদের দূতাবাসগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখলে বেশ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশ থেকে নারী শ্রমিক পাঠানো সম্ভব৷'' তিনি বলেন, ‘‘এতদিন নারীরা যেত মূলত গৃহকর্মী হিসেবে৷ তাই এবার অন্য খাতে শ্রমিক পাঠানো শুরু হওয়াটা বেশ সুখবর৷''
বাংলাদেশে পোশাক কারখানার নিরাপত্তা
পশ্চিমা বিশ্বের একদল পরিদর্শক বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে ভয়াবহ নিরপত্তা ঝুঁকি দেখতে পেয়েছেন৷ রানা প্লাজা বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তারা এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
রানা প্লাজা বিধ্বস্তের পর...
২০১৩ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের সাভারে রানা প্লাজা বিধ্বস্ত হলে নিহত হয় অন্তত ১,১০০ পোশাক শ্রমিক৷ এ ঘটনার পর পশ্চিমা যেসব দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়, তারা পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয়৷ সম্প্রতি বেশ কিছু নামি-দামি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শন করেছেন৷
ছবি: Reuters
নিরাপত্তা ঝুঁকি
পরিদর্শকরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ পোশাক কারখানায় অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা এবং ভবনের কাঠামোর বিষয়ে অন্তত ৮০,০০০ নিরারপত্তা ইস্যু খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা৷
ছবি: Kamrul Hasan Khan/AFP/Getty Images
২,২০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য
বাংলাদেশে পোশাক খাতে বাণিজ্যের পরিমাণটি বিশাল৷ অর্থের অঙ্কে প্রায় ২,২০০ কোটি মার্কিন ডলার৷
ছবি: DW/C. Meyer
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং পোশাক কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে গার্মেন্টসগুলো তাদের ক্রেতা হারাচ্ছে৷ ফলে পোশাক রপ্তানির হার হ্রাস হয়েছে৷
ছবি: Reuters
পোশাক কারখানা পরিদর্শন
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পোশাক ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম এবং ইনডিটেক্সসহ ১৮০টিরও বেশি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধি ও সদস্যরা অন্তত ১,১০৬টি কারখানা পরিদর্শন করেছেন৷ তাঁরা জানিয়েছেন, প্রতিটি কারখানায় বৈদ্যুতিক ঝুঁকির পাশাপাশি, ভবনের কাঠামো ও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাতে গাফিলতি খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা৷ এমনকি অনেক কারখানায় ফায়ার অ্যালার্ম ও ফায়ার এক্সিটও নেই৷
ছবি: DW/C. Meyer
অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ
১৭টি কারখানা অবিলম্বে খালি করে বন্ধের নোটিস দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিদর্শকরা৷ কারণ ঐ ১৭টি কারখানা যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা৷ এছাড়া ১১০টি কারখানার ভবন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলেও জানা গেছে৷
ছবি: Reuters
নিরাপত্তা ইস্যু খতিয়ে দেখা
এর আগে নর্থ অ্যামেরিকান কোম্পানি ওয়ালমার্ট ও গ্যাপ-এর মতো বেশ কিছু কোম্পানির প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের ৫৮০টি কারখানা পরিদর্শন করেছেন৷ উদ্দেশ্য একই, নিরাপত্তা ইস্যু খতিয়ে দেখা৷ দেশের অন্তত ৩০০টি কারখানায় ওয়ালমার্ট ও গ্যাপ-এর পোশাক তৈরি হয়৷
ছবি: AP
আশঙ্কায় শ্রমিকরা
তবে যেসব কারখানা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে, সেসব শ্রমিকরা বেতন না পাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন৷ কেননা পরিদর্শকরা শ্রমিকদের বেতন দেয়ার কথা বললেও মালিকরা এ বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি৷
ছবি: Imago/Xinhua
পরবর্তী পদক্ষেপ
পরিদর্শকরা বেশিরভাগ কারখানার মালিক ও প্রকৌশলীদের নিয়ে আলোচনায় বসে কী কী ইস্যুতে পরিবর্তন আনা দরকার, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে৷ এরপর আবারো তাঁরা পরিদর্শনে আসবেন নিজেদের নির্দেশনা কতটা বাস্তবায়ন হলো, তা দেখার জন্য৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
9 ছবি1 | 9
তবে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে দূতাবাসগুলোকে বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি, যাতে কোনো নারী বিদেশে গিয়ে প্রতারিত না হন৷ এ জন্য দূতাবাসগুলোকে আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে, কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে নারীদের ব্যাপারে৷ প্রয়োজনে ঢাকায় সরকারের আলাদা অফিস খোলা যেতে পারে বলেও মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক৷ তাঁর কথায়, ‘‘এখনও পর্যন্ত অদক্ষ শ্রমিকরাই বিদেশে যাচ্ছেন৷ তবে দক্ষ শ্রমিক পাঠালেই লাভ বেশি হবে৷'' এই বিবেচনায় নারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও পরামর্শও তাঁর৷
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য মতে, জর্ডান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ থেকে নারী শ্রমিক সবচেয়ে বেশি যাচ্ছেন৷ ঐ দেশগুলোতে নারীরা পোশাক কারখানায় কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন, আগে যেখানে নারীদের শুধুমাত্র গৃহকর্মীর কাজ দেয়া হতো৷ গত চার বছরে সরকারিভাবে জর্ডানের ৩৮টি পোশাক কারখানায় নিয়োগ পেয়েছেন ১৪ হাজার নারী শ্রমিক৷ এছাড়া প্রতি মাসেই আসছে নতুন কর্মীর চাহিদাপত্র৷ অবশ্য বাংলাদেশে পোশাক কারখানায় সবচেয়ে কম বেতন পাওয়া অদক্ষ শ্রমিকদের নিতেই আগ্রহ বেশি জর্ডানের৷
জানতে চাইলে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শ্রমিক নেত্রী নাজমা আক্তার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বর্তমানে জর্ডানে নারী শ্রমিক যাচ্ছেন পোশাক কারখানায় কাজ করতে৷ এটা অবশ্যই একটি ভালো দিক৷ বাইরে বেশি বেতনে এই শ্রমিকরা কাজ করলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হবে৷'' তবে প্রবাসে নারী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হওয়ায় দেশের পোশাক খাতেও কর্মপরিবেশ এবং মজুরির উন্নতি করতে হবে বলে মনে করেন তিনি৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘এতে শ্রমিকদের মধ্যে তুলনা করার মতো সুযোগ তৈরি হবে৷ এখানে না পোষালে তাঁরা বিদেশে যেতে চাইবেন৷ ফলে মালিকপক্ষ আর একচেটিয়াভাবে মজুরি কমিয়ে রাখার চেষ্টা করে পারবে না৷''
সাভারে ‘রানা প্লাজা’ ধসে বহু হতাহত
২৪ এপ্রিল সকাল ৯ টায় সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত নয় তলা ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ে৷
ছবি: Reuters
আগেই ফাটল দেখা দিয়েছিল
২৪ এপ্রিল সকাল ৯ টায় সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত নয় তলা ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ে৷ সাভার মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সকালে ফাটল দেখা দেয়ার পরপরই ওই ভবনে থাকা চারটি গার্মেন্ট কারখানা ও ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল৷ তবে ২৪ এপ্রিল সকালে কারখানায় আবার কাজ শুরু হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বহু হতাহত
১০ মে সকাল পর্যন্ত ধসে পড়া রানা প্লাজা থেকে ১০৩৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ এসব লাশের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিকদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘প্রয়োজনীয় যন্ত্র নেই’
ফায়ার সার্ভিসসহ উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা বলছেন, ব্যাপক ধ্বংসের ঘটনা ঘটেছে৷ এমন ধ্বংসস্তূপ সরানোর মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্র নেই৷ এ কারণে উদ্ধারকাজ চালাতে সমস্যা হচ্ছে৷
ছবি: Reuters
এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন
সাভারে ধসে পড়া বহুতল ভবনে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা৷ সকালে ভবন ধসের পরপরই স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতায় এগিয়ে আসেন৷ এরপর ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন৷
ছবি: Reuters
রক্ত চাই
ধ্বংসস্তুপ থেকে থেকে উদ্ধার করা শত শত আহতের জন্য প্রচুর রক্ত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা৷ এজন্য ব্লগ, ফেসবুকের মাধ্যমে সকলকে রক্ত দানে আহ্বান জানানো হয়েছে৷ বিভিন্ন সংগঠনও রক্ত সংগ্রহে নেমেছে৷
ছবি: Reuters
জোর করে ঢোকানোর অভিযোগ
আগের দিন ভবনে ফাটল দেখা দেয়ায় ঐ ভবনে থাকা পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজে যেতে না চাইলেও মালিকরা তাদেরকে জোর করে ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে৷
ছবি: Reuters
ইমারত বিধিমালা মানা হয়নি
‘রানা প্লাজা’ ইমারত বিধিমালা সঠিকভাবে অনুসরণ করে নির্মিত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর৷ বুধবার দুপুরে তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন৷ বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘কিছু হরতাল সমর্থক ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন৷ ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে সেটাও একটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে৷'' (ফাইল ফটো)
ছবি: Reuters
হরতাল প্রত্যাহার
উদ্ধার তৎপরতা নির্বিঘ্ন এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসার পথে বাঁধা দূর করতে হরতাল প্রত্যাহার করেছে বিএনপি৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এজন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷
ছবি: Harun Ur Rashid
সরকারের আশ্বাস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন৷ এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার৷
ছবি: dapd
খালেদার শোক প্রকাশ
ভবন ধসে প্রাণহানির ঘটনায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া গভীর শোক প্রকাশ করেছেন৷ উদ্ধারকাজ যথাযথভাবে চালাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷ খালেদা জিয়া শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন৷
ছবি: Reuters
10 ছবি1 | 10
সরকারি মালিকানাধীন জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান বোয়েসেল-এর একজন কর্মকর্তা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জর্ডান, ওমান বা কাতারে আমরা যেসব নারী শ্রমিকদের পাঠাচ্ছি, তাঁদের সপ্তাহে ছ'দিন দিনে আট ঘণ্টা করে কাজ করতে হয়৷ চাইলে ওভারটাইমও তাঁরা করতে পারেম৷ চাকরির শর্তানুযায়ী নিয়োগকর্তা, অর্থাৎ কোম্পানি থাকা, তিন বেলা খাওয়াসহ প্রাথমিক চিকিৎসা, এমনকি আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়াও বহন করে৷ চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিকরা তিন বছর সেখানে কাজ করতে পারেন৷ আর এরপর চাইলে কোম্পানির সঙ্গে অলোচনা করে মেয়াদও বাড়ানো যায়৷'' তিনি বলেন, অদক্ষ শ্রমিকরা অপারেটর হিসেবে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পাচ্ছেম৷ অন্যদিকে দক্ষ শ্রমিকরা পাচ্ছেন ২৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরো বেশি৷
বোয়েসেল-এর ঐ কর্মকর্তা বলেন, চাকরিদাতা কোম্পানি প্রত্যেকের বেতন থেকে ভবিষ্যৎ তহবিল হিসেবে ছয় শতাংশ কেটে রাখবে৷ এরপর এটি একটি তহবিলে জমা হবে৷ এর পাশাপাশি কোম্পানি দেবে ১২ শতাংশ৷ তার ওপর যোগ হবে লাভ৷ সব মিলিয়ে প্রতি মাসে বেতনের ১৮ শতাংশ টাকা জমা হবে শ্রমিকদের৷ এই বাধ্যতামূলক জমা শ্রমিকদের ভবিষ্যতের জন্য ভালো বলেও মনে করে এই কর্মকর্তা৷ শ্রমিকরা দেশে ফিরে আসার সময় এই টাকা নিয়ে আসতে পারেন৷