বাংলাদেশের পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হলেও ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা যায়নি৷ তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো যাবে বলে মনে করেন না শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকরা৷
বিজ্ঞাপন
ঢাকা বোর্ডের অধীনে গত উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার ইংরেজি ও গণিত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র হুবহু ফাঁস হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি৷ তাঁরা ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের কপিও উদ্ধার করেছেন৷ কিন্তু কী ভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা বের করতে পারেনি আন্তঃমন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি৷ অপরাধীদের চিহ্নিত না করেই শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিরতিহীন পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান বৃহস্পতিবার৷
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একদিন
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য তৈরি ফেসবুক প্রকল্প ‘বাংলা ব্রেইল’ ইতোমধ্যে সাড়া জাগিয়েছে৷ এই প্রকল্প যাদের কাজে আসতে পারে, তাদের দেখতে গিয়েছিলেন আলোকচিত্রি মুস্তাফিজ মামুন৷ চলুন তাঁর ক্যামেরার চোখে দেখি আমরাও৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুল
ঢাকার মিরপুরে ব্যাপ্টিস্ট মিশন ইন্টিগ্রেটেড স্কুলে ব্রেইলে লিখছে এক শিক্ষার্থী৷ ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ স্কুলে এখন শিক্ষা নিচ্ছে ৮০ জনেরও বেশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
শিক্ষকরাও কেউ কেউ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী
ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণি৷ প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এ স্কুলের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদান চলে৷ এ স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যেও কেউ কেউ আছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
ব্রেইল পড়া
ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুলের এক শিক্ষার্থী ব্রেইলে পড়ছেন৷ বাংলাদেশে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ হাজারের মতো৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
ব্রেইল বইয়ের অভাব
ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুলের দুই শিক্ষার্থী মিলে একটি একটি ব্রেইল বই পড়ছেন৷ বাংলাদেশে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে বইয়ের অভাব অনেক বেশি৷ সহজলভ্য না হওয়ায় বেশিরভাগ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা তাই বইয়ের সংকটে থাকেন৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
সবাই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী
ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমায়রা মিম (বাঁ থেকে চতুর্থ)৷ তার ক্লাসের সব বন্ধুরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী৷ এ স্কুলে সমন্বিত শিক্ষা কার্যক্রম থাকায় স্বাভাবিক দৃষ্টি সম্পন্ন মিম পড়াশুনা করছে এখানে৷ ক্লাসের সব বন্ধরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হলেও ওদের সঙ্গে পড়াশুনা করতে ভালোই লাগে তার৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
অ্যাসিডে ঝলসে যাওয়া নমিতা
ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুলের শিক্ষিকা নমিতা৷ স্বাভাবিক চোখ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন তিনি৷ স্কুলে পড়ার সময় বখাটেদের ছোঁড়া অ্যাসিডে ঝলসে যায় মুখ, হারান চোখও৷ এরপরেও থামেনি তার পথ চলা৷ লেখাপড়া শেষ করে এখন তিনি শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
শেখানো হয় হাতের কাজও
ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি শেখানো হয় হাতের কাজও৷ শিক্ষার্থীরা অনেক আগ্রহ নিয়ে এসব কাজ শেখেন৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
ফিজিওথেরাপি
ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এক শিক্ষার্থীকে ফিজিওথেরাপি দিচ্ছেন এক চিকিৎসক৷ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অনেকেরই শারীরিক কিছু সমস্যা থাকে, যেগুলো এই ফিজিওথেরাপির মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
হোস্টেলে ফিরছে শিক্ষার্থীরা
স্কুল শেষে হোস্টেলে ফিরছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা৷ ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুলের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই আবাসিক৷ স্কুলের অ্যাকাডেমিক ভবনের পাশেই লাগোয়া একটি ভবনে থাকার জায়গা এই সব শিক্ষার্থীদের৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
ডয়চে ভেলের দ্য বব্স অ্যাওয়ার্ড
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি অনলাইন প্রকল্প ‘বাংলা ব্রেইল’ চলতি বছর দ্য বব্স অ্যাওয়ার্ড জয় করেছে৷ ফেসবুকভিত্তিক এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য অডিও বুক এবং ব্রেইল বইয়ের ইউনিকোড সংস্করণ তৈরির কাজ চলছে৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
10 ছবি1 | 10
কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে না পারাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী৷ তিনি বলেন, এটা তদন্ত কমিটি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বড় ধরনের ব্যর্থতা৷
রাশেদা কে চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, কারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করলো, কী ভাবে করলো, তাই যদি জানা না গেল, তাহলে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কী ভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব? তাই প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে হলে আগে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে হবে৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি তো একটি প্রশাসনিক কমিটি৷ তাদের নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে৷ কিন্তু সরকারের নানা সংস্থা আছে, যারা অপরাধ তদন্তে দক্ষ৷ এখন এই তদন্ত রিপোর্টকে ধরে পুলিশের সিআইডি বা অন্য কোনো তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে আরো গভীর তদন্ত করিয়ে অপরাধীদের আটক এবং কী ভাবে ফাঁস হলো তা জানতে হবে৷''
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সরকারি ছুটির দিন বাদে বিরতিহীন পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবে কোনো কাজে আসবে না৷ কারণ প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে বিরতিহীন বা বিরতি দিয়ে পরীক্ষার কোনো সম্পর্ক আছে বলে তিনি মনে করেন না৷ বিরতিহীন পরীক্ষা নেয়া না নেয়া ভিন্ন প্রশ্ন৷ আর সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতিতে বিরতিহীন পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়৷ কিন্তু তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস যে ঠোকানো যাবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই৷
শিক্ষার্থীদের আপন ভুবন
দশটি দেশ ঘুরেছেন হেনরি বুগার্ট৷ উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থী কাছ থেকে দেখা এবং অন্যদের দেখানো৷ দেখানোর জন্য একটা ওয়েবসাইটও তৈরি, ঠিকানা www.imagesconnect.org৷ এর মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থীই একে অন্যকে জানার সুযোগ পাচ্ছেন৷
ছবি: Henny Boogert
সেতুবন্ধন
এ ছবিতে দেখা যাচ্ছে পঙ্কজ যাদবকে৷ ভারতের এই তরুণ থাকেন মুম্বইয়ে৷ ঘরোয়া জীবন খুব জৌলুসহীন, ছিমছাম৷ পঙ্কজের লক্ষ্য, একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে জীবনকে একটু বদলে দেয়া৷
ছবি: Henny Boogert
থাকা চাই দক্ষতা
ভারতের আরেক তরুণ সিদ্ধার্থ যোশির কথা শুনে বুগার্ট একটু অবাক হয়েছেন৷ সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, লেখাপড়া শেষ করে দেশেই থাকবেন, কেননা, এগোতে থাকা অর্থনীতিকে আরো গতি দিতে হলে বিশেষজ্ঞদের দেশেই থাকতে হবে৷ বুগার্ট দেখেছেন বাকি নয়টি দেশের প্রায় সব ছাত্র-ছাত্রীই অন্য দেশে চলে যেতে চান৷ সিদ্ধার্থের সিদ্ধান্তটা তাই আশ্চর্যজনকই মনে হয়েছে বুগার্টের৷
ছবি: Henny Boogert
কাছে আসা, কাছে থাকা
নিজের দেশ নেদারল্যান্ডসে ফিরে এলেও হেনরি বুগার্ট কিন্তু নানা দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন৷ তাই কিউবার আমাদো সুয়েইরাস এখনো স্মৃতি হয়ে যাননি৷ প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার প্রায় চিরন্তন রেষারেষি৷ আর আমাদোর লক্ষ্য কিনা সেই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বসবাস করা! গেলে খুব মন্দ হবে না৷ একজন উঠতি টেনিস টেনিস প্রশিক্ষক হিসেবে আমাদো জানেন, যুক্তরাষ্ট্রে টেনিস কোচদের চাহিদা আছে৷
ছবি: Henny Boogert
নতুনে পুরাতনি
দশটি দেশের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীর ছবি তুলেছেন বুগার্ট৷ মলদোভার চিসিনাউ শহরে গিয়ে দিনু বাটশু-র সঙ্গে দেখা৷ খুব মজার মানুষ দিনু৷ এ প্রজন্মের ছেলে৷ তাই নতুন কিছু ভালোই লাগে৷ তবে পুরোনো ঐতিহ্যকেও ঘরের কোণে আগলে রাখেন৷ হাল ফ্যাশনের সব কিছুই তাঁর পছন্দ, কিন্তু হাতে বোনা অনেক কিছুই সযত্নে রেখেছেন ঘরে৷
ছবি: Henny Boogert
যা ছাড়া চলে না
পৃথিবীর প্রায় সব ছাত্র-ছাত্রী একটা জায়গায় এক৷ সবার ঘরে একটি বিছানা আর একটা পড়ার টেবিল থাকবেই৷ রাশিয়ার রসুল, মারাত আর ওলেগের ঘরেও ওই দুটি আসবাব আছে৷
ছবি: Henny Boogert
কিছু ডিগ্রি
ভিক্টর নরোগের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়াটা বেশ ব্যতিক্রমী ব্যাপার৷ তাঁর দেশ কেনিয়ায় শিক্ষার হার এমনিতেই কম৷ ভিক্টর যেখানে থাকেন সেখানে তো শতকরা ৯৩ ভাগ শিক্ষার্থীরই লেখাপড়া মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই বন্ধ হয়ে যায়৷ ফটোগ্রাফার বুগার্ট শুধু কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরই ছবি তুলেছেন এবং সেই সুবাদে কোন দেশে শিক্ষার হার কেমন সেটাও জানা হয়ে গেছে তাঁর৷
ছবি: Henny Boogert
গাদাগাদিতেও সুখে গদগদ
ফিলিপিন্সের আবিগাইল মাংহাসের ঘরটি দেখে জনবহুল দেশ বাংলাদেশ বা ভারতের কথা মনে পড়া অস্বাভাবিক নয়৷ ম্যানিলার এই ঘরটিতে ছয় সহপাঠীর সঙ্গে গাদাগাদি করে থাকতে হয় আবিগাইলকে৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভালো আবাসনের ব্যবস্থা নেই, থাকলেও নানা কারণে সেখানে থাকা যায় না বলে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশেই তো অনেক শিক্ষার্থীকে এভাবেই থাকতে হয়, তাইনা?
ছবি: Henny Boogert
এবার জার্মানি
এই ছবিটির মতো বুগার্টের তোলা বেশির ভাগ ছবিই নিজের দেশ নেদারল্যান্ডসের৷ বাকিগুলো ঘুরে আসা দশটি দেশের৷ তবে কাজের পরিসর বাড়বে শিগগিরই৷ ডাচ ফটোগ্রাফার জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি জার্মানিতেও আসবেন, শিক্ষার্থীদের দেখবেন এবং অবশ্যই তাঁদের ছবিও তুলবেন৷
ছবি: Henny Boogert
8 ছবি1 | 8
এদিকে অভিভাকরাও মনে করেন, আসলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ী নিয়ে লোক দেখানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের অভিভাবক এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল হক দুলু ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে বা আড়াল করছে৷ এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা বেশ কয়েক বছর ধরেই ঘটছে৷ এতদিন এটা মন্ত্রণালয় স্বীকারও করতো না৷ এবার স্বীকার করলো৷ কিন্তু তা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থার পরিবর্তে টানা পাবলিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে একটা হাস্যকর কাজ করলো৷'' তিনি আরও বলেন, ‘‘অপরাধীদর চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হল প্রথম কাজ৷ তারপর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে অন্যান্য পদক্ষেপ নিতে হবে৷ কিন্তু তা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিরতিহীন পরীক্ষার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হবে না৷'' বরং ফাঁসকারীরা উলটে উৎসাহিত হবে বলে মনে করেন এই অভিভাবক নেতা৷