বাংলাদেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে৷ পাবলিক পরীক্ষা ছাড়াও বিসিএস-সহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
আর এইসব ফাঁসের ঘটনা প্রতিরোধে নানা উদ্যোগের কথা বলা হলেও থামছে না ফাঁসের ঘটনা৷ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর তা প্রতিরোধে আন্দোলনে নামেন দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ এবং শিক্ষার্থীরা৷ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল শহীদ মিনারের সামনে অনশন করেন৷ তখন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা অস্বীকার করে আন্দোলনের সমালোচনা করেন৷ পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে অন্তত দু'টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ মেলে৷ ইংরেজি এবং গণিতের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের কপিও উদ্ধার করতে সক্ষম হয় কমিটি৷ গত জুনে কমিটি সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়৷ কিন্তু এই ঘটনায় প্রশ্নপত্রসহ দু'জনকে আটক করা ছাড়া মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই৷ নেপথ্যে কারা রয়েছে তাও চিহ্নিত করা হয়নি৷
এর আগে ২০১৩ সালেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার বাংলা দ্বিতীয় পত্র, এবং ইংরেজির প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ছিল৷ ওই ঘটনায় একজন শিক্ষকের দুই বছরের কারাদণ্ড হলেও তা নিয়ে বিস্তারিত কোনো তদন্ত হয়নি৷ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে পাত্তা দেয়নি৷
সব দেশেই শিক্ষার ধরণ আলাদা
বিশ্বের প্রায় সব দেশেই শিক্ষকরা চক দিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডে লেখেন – এ দৃশ্য তাই সবারই জানা৷ কিন্তু তারপরও দেশ ভেদে এর পার্থক্য রয়েছে, বিশেষকরে আজকের এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে৷
ছবি: Getty Images
সব স্কুল কি এক রকম?
সারা বিশ্বের ছাত্ররা একইভাবে পড়ালেখা শেখে? না, তবে প্রায় সব দেশেই শিক্ষকরা চক দিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডে লেখেন – এ দৃশ্য তাই সবারই জানা৷ কিন্তু তারপরও দেশ ভেদে এর পার্থক্য রয়েছে৷ কোনো দেশে ছাত্র-ছাত্রীরা খোলা আকাশের নীচে মাটিতে পা মুড়ে বসে লেখাপড়া করে, কোথাও আবার স্কুল বেঞ্চে বসে৷ আবার কোনো কোনো দেশের ছাত্রদের রয়েছে নিজস্ব ল্যাপটপ৷
ছবি: AP
ডিজিটাল স্কুলের বই
দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাল সিস্টেমে চলে৷ প্রতিটি ক্লাস রুমেই রয়েছে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট৷ সরকারের ইচ্ছে সব স্কুল বই পুরোপুরিই ই-বুকে রূপান্তরিত করার৷ ডিজিটাল সিস্টেমে লেখাপড়া করতে কোনো ছেলে-মেয়ের যেন অসুবিধা না হয় এবং ডিজিটাল বইয়ের অভাবে যেন কারো লেখাপড়া বন্ধ না হয়, সেজন্য সরকার বিনা মূল্যে তাদের ট্যাবলেট এবং কম্পিউটার দিয়ে থাকে৷
ছবি: AP
গ্রামের স্কুলে যাওয়ার অসুবিধা
অন্যভাবেও পড়াশোনা চলতে পারে৷ কোনোরকমে ঝুলানো একটি ব্ল্যাকবোর্ড এবং কয়েকটি কাঠের বেঞ্চই আফ্রিকার ঘানার এই স্কুলটির জন্য যথেষ্ট৷ এই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত বিনা বেতনে লেখা পড়া করা যায়, যদিও কাগজে কলমে রয়েছে ক্লাস নাইন পর্যন্ত লেখপড়া বাধ্যতামূলক৷ পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি হওয়ায় গ্রামের ছাত্রদের অনেকেরই লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন হয়৷
ছবি: Fotolia/Living Legend
টাচপ্যাডের মাধ্যমে লেখা শেখা
তবে জার্মানির এই স্কুলটি ব্যতিক্রম৷ কাগজ, পেন্সিল ছাড়া ছাত্ররা পুরোপুরি স্মার্টবোর্ড এবং নেটবুকের মাধ্যমে লেখা শেখে৷ ডিজিটাল নেটওয়ার্কিং-এর ছাত্রদের যোগাযোগের কাজে সাহায্য করে এবং কর্মদক্ষতা বাড়ায়৷ জার্মানিতে এখনো দুই মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ লিখতে পড়তে পারেন না, যদিও পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে জার্মানির সবাই লেখাপড়া জানেন৷
ছবি: AP
শিল্পোন্নত দেশগুলোতে ছোটবেলা থেকেই সুবিধা
শিল্পোন্নত দেশ মানেই সে দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যদেশের চেয়ে লেখাপড়ায় অনেক বেশি এগিয়ে থাকা৷ এমনকি ছোট বাচ্চাদেরও সেভাবেই তৈরি করা হয়, যেমন অ্যামেরিকার এই স্কুলটিতে৷ শিল্পোন্নত দেশগুলোতে ছোটবেলার শিক্ষাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং ৭০ শতাংশ বাচ্চাই প্রাইমারি স্কুলে যাওয়ার আগে অনেককিছু শিখে ফেলে৷ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১০ জনের মধ্যে হয়ত তিনজন কিন্ডারগার্টেনে যাওয়ার সুযোগ পায়৷
ছবি: AP
যেখানে শিক্ষা অর্থের জন্য বাঁধাগ্রস্থ
কেনিয়াতে সব ছাত্রই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা বেতনে পড়তে পারে৷ তারপরও অনেকে তার আগেই স্কুল ছেড়ে দেয়৷ স্কুল ড্রেস, বই, খাতা, জুতো ইত্যাদি জোগাড় করা অনেক বাবা মায়ের জন্য কষ্টকর হয় দাঁড়ায়৷ সেখানে ছাত্রের সংখ্যা অনেক বেশি এবং পড়াশোনার মানও নিম্ন৷ যাঁদের সামর্থ রয়েছে সে রকম অনেক বাবা-মা তাঁদের বাচ্চাদের প্রাইভেট স্কুলে পাঠান৷
ছবি: DW/J.Bruck
স্কুল ড্রেস পরে লেখাপড়া
ইংল্যান্ডে স্কুল ড্রেস ছাড়া কেউ স্কুলে যায় না৷ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কুল ড্রেস পরা বাধ্যতামূলক৷ কারণ স্কুল ড্রেস যার যার স্কুলের পরিচয় বহন করে এবং পড়াশোনার প্রতি উৎসাহী করে৷ দরিদ্র পরিবাররের ছেলে-মেয়েরা স্কুল ড্রেসের জন্য স্কুল থেকে টাকা পেয়ে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb
খোলা আকাশের নীচে ক্লাসরুম
একটি পাবলিক পার্কে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে পাকিস্তানের একটি স্কুলে৷ গরিব বাবা-মায়েরা পয়সার অভাবে এমন স্কুলেই তাঁদের সন্তানদের পাঠিয়ে থাকেন৷ পাকিস্তানে শিক্ষা খাতে ব্যয় কমানো হয়েছে, কারণ সরকার শিক্ষার চেয়ে সামরিক খাতে বেশি খরচ করে৷ যা ছাত্ররাও বুঝতে পারছে৷
ছবি: AP
কমপক্ষে মৌলিক শিক্ষা থাকতে হবে
আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ ও নানা সমস্যার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত৷ বিশেষকরে মেয়েদের ক্ষেত্রে একথাটি বেশি প্রযোজ্য৷ প্রতি দশজনের একজন লিখতে পড়তে পারে সেখানে৷ তবে এ হার পুরুষদের ক্ষেত্রে শতকরা ৪০ জন৷ তাছাড়া স্কুলগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট স্কুলও নেই, অভাব রয়েছে শিক্ষক এবং শিক্ষার সরঞ্জামেরও৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মেয়েরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত
আফগানিস্তানের মতো প্রায় একই অবস্থা দক্ষিণ সুদানেও৷ এদেশেও মেয়েদের প্রতি পাঁচজনের একজন লিখতে ও পড়তে পারে৷ সেজন্যই বিদেশি সাহায্য সংস্থাগুলো সুদানের মেয়েদের শিক্ষার দিকে বিশেষ নজর দিয়ে থাকে৷ বহু বছরের গৃহযুদ্ধ সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ঘুণ ধরিয়ে দিয়েছে৷ অনেক স্কুলেই বই-খাতা এবং টেবিল-বেঞ্চও ঠিকমতো নেই৷
ছবি: dapd
কো-এডুকেশন পছন্দ নয়
কো-এডুকেশন? না, ইরানে সেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়৷ ছেলে এবং মেয়ে আলাদাভাবে পড়াশোনা করে ইরানে৷ এমন কি এই ইহুদি স্কুলেও ইসলামিক স্কুল ড্রেস পরা বাধ্যতামূলক৷ এখানে মেয়েরা যে ধর্মেরই হোক না কেন সবাইকেই চুল ঢেকে রাখতে হবে, অর্থাৎ হিজাব পরতে হবে৷
ছবি: AP
ধনী-গরিবের পার্থক্য
ব্রাজিলের গ্রামাঞ্চলের ছাত্রদের জন্য লেখাপড়া করা বেশ কঠিন৷ কারণ সেখানকার স্কুলগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই৷ যেমন মন্টে আলেগ্রের এই স্কুলটির মতো ৷ যদিও ব্রাজিল শিল্পোন্নত দেশগুলোর একটি, তারপরও এদেশে গরিব এবং ধনীদের মধ্যে অনেক পার্থক্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাংলাদেশের অবস্থা অনেকটা একই রকম
বাংলাদেশের গ্রামের স্কুল এবং রাজধানী ঢাকা শহরের স্কুলের মধ্যে বিশাল পার্থক্য৷ বড় শহরগুলোতে ছাত্ররা কম্পিউটার বা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে৷ আর গ্রামের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কম্পিউটার ব্যবহার করার ইচ্ছা – এখনো স্বপ্ন!
ছবি: Getty Images
13 ছবি1 | 13
এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষ সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে ঘটেছে অভিনব ঘটনা৷ মোবাইল ফোনসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরীক্ষার হল থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তার উত্তর বাইরে থেকে পাঠান হয়৷ তবে ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কম করে হলেও ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে৷ এই চক্রে পরীক্ষার্থী ছাড়াও অভিভাবক, ছাত্র এবং শিক্ষকরা জড়িত বলে প্রমাণ মিলেছে৷ তারা রীতিমতো একটি সিন্ডিকেট করে এ কাজ করে৷ আর গ্রাহক সংগ্রহ করা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ব্যক্তিগত পরিচয় এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে৷
চাকরির জন্য প্রতিযোগিতামূলক নানা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসেও পিছিয়ে নেই জালিয়াত চক্র৷ ২০১২ সালে ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাঁস হওয়ায় লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়৷ ২০১৩ সালের জুন মাসে রাষ্ট্রায়ত্ব অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়৷ একই বছর এপ্রিলে সরকারি প্রাইমারি স্কুলে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়৷ এই ঘটনায় গ্রেফতার হয় ২৮ জন৷
পাবলিক পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে সরকারি ছাপাখানা বিজি প্রেসের কতিপয় কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতাও খুঁজে পাওয়া গেছে৷ গত মে মাসে এক কর্মচারীকে গ্রেফতারও করা হয়৷ তিনি হাতে লিখে প্রশ্নপত্র বাইরে নেয়ার সময় ধরা পড়েন৷ এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতরা কোটি কোটি টাকা আয় করছেন৷ উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন এবং উত্তরের জন্য একজনের কাছ থেকে হয়েছে তিন লাখ টাকা৷ পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে, বিজি প্রেসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হামিদুল ইসলাম এবং মোস্তফা কামাল প্রশ্নপত্র ফাঁস ব্যবসায় কোটিপতি হয়েছেন৷ তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দুই কোটি আট লাখ টাকা পাওয়া গেছে৷ তারা দু'জনই ঢাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও গাড়ির মালিক৷
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা পাবলিক পরীক্ষাসহ ভর্তি এবং চাকরির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কয়েকটি ঘটনা তদন্ত করছি৷ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছি৷ কিন্তু সমস্যা হল এরা এত কৌশলে কাজ করে, যে এক স্তরের লোকজনকে আরেক স্তরের লোকরা চেনে না৷ তবে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এর সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী৷ কিছু কোচিং সেন্টারও এর সঙ্গে জড়িত৷ এর এই চক্রগুলো কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে৷'' তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের তদন্ত যেভাবে এগোচ্ছে তা পেছনের লোকজনকেও চিহ্নিত করা সম্ভব হবে৷''
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম আরেফিন সিদ্দিক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এবার আগে থেকেই সতর্ক থাকায় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র জালিয়াত চক্রের ৩৮ জনকে আগেই আটক করা সম্ভব হয়েছে৷ আর হাতেনাতেও পরীক্ষার হলে বেশ কয়েকজনকে আটক করা গেছে৷ এখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরবর্তী কাজ করছে৷'' তিনি আরও বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতিতে এমনভাবে পরিবর্তন আনা হবে যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস করেও কোন কাজ না হয়৷'' অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘‘পাবলিক পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে হবে৷ নয়তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা জায়গায় অযোগ্যরা ঢুকে পড়বেন৷ মেধাবীরা হবেন বঞ্চিত৷ আর এ জন্য পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে৷''
পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি প্রধানত চার দফা সুপারিশ করেছে৷ কমিটি বলেছে, বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরির কাজ করতে হবে৷ একাধিক সেট প্রশ্ন অনলাইনে পরীক্ষার দিন সকালে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে পাঠাতে হবে৷ স্থানীয়ভাবে প্রিন্টারে ছাপিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন বিতরণ করা হবে৷ আর প্রশ্নপত্র যেন অনলাইনে পরীক্ষার দিন সকালের আগে তা খোলা না যায় এমন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে৷
পাঁচ কিংবা দশ সেট প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে পরীক্ষার দিন সকালে লটারির মাধ্যমে সেট নির্ধারণ করে পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পর্যায়ক্রমে সুপারিশ বাস্তবায়ন করা কথা বলেছেন৷ তবে প্রাথমিকভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে একটানা পরীক্ষা নেয়ার কথা বলেছেন৷