প্রশ্নপত্র ফাঁস সম্পর্কে ছাত্রলীগ সভাপতির বিস্ময়কর বক্তব্য
৯ জানুয়ারি ২০১৮
বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতির প্রশ্নপত্র ফাঁস সম্পর্কে একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়ে ঘুরছে ইন্টারনেট জগতে৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজ তাদের এক টকশো'র শিরোনাম করেছিল ‘ছাত্র লীগের ৭০ বছর'৷ গত ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই টক শো'তে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগও অংশ নেন৷
আলোচনার এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক নবনীতা চোধুরী এক দর্শকের প্রশ্ন তুলে ধরে সাইফুর রহমান সোহাগকে বলেন, ‘‘ছাত্রলীগের ভালো কাজ তো অনেক প্রশংসার দাবি রাখেই, আবার অনেক আঘাত পাই, যখন শুনি এইছাত্রলীগের কেউ আবার খারাপ কাজে সেঞ্চুরি করে,বিশ্বজিতের মতো নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে, প্রশ্নপত্রা ফাঁসের মতো কাজে নির্দ্বিধায় জড়িয়ে পড়ে৷ তাহলে ছাত্রলীগ থেকে কী শেখার আছে?''
উত্তরে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘‘যেখানে বাংলাদেশের কোথাও প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো ঘটনাই ঘটে না, সেখানে কিভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত, বলেন?'' ছাত্রলীগ সভাপতির এরকম উত্তরে অনেকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন সঞ্চালক৷
বাংলাদেশে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা নিয়মিতই ঘটছে৷ আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিষয়টি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে৷
এমএম/এসিবি
অনেকটা সুস্থ খাদিজা বাড়ি ফিরেছেন
সিলেট ছাত্রলীগের নেতা বদরুলের চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত খাদিজা বেগম শুক্রবার বাড়িতে ফিরেছেন৷ শুক্রবার দুপুরে তিনি সাভার থেকে সিলেটের বাড়িতে ফেরেন৷ তাঁকে পেয়ে পরিবারের সবাই ভীষণ খুশি৷
ছবি: bdnews24.com
অবশেষে বাড়ি ফেরা
সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) প্রায় তিন মাসের চিকিৎসা শেষ করে শুক্রবার সিলেটে নিজেদের বাড়িতে ফেরেন খাদিজা বেগম৷
ছবি: bdnews24.com
সেই কালো দিন
২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর বিকেলে এমসি কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বিএ (পাস) পরীক্ষা দিয়ে বের হবার পরই ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম চাপাতি দিয়ে খাদিজার ওপর হামলা চালায়৷ উপর্যুপরি চাপাতির কোপে মারাত্মক আহত খাদিজা রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন৷
ছবি: bdnews24.com
গণপিটুনি ও গ্রেপ্তার
হামলার পরই জনতা বদরুলকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে৷ স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, জনতা তাকে তখন প্রহার করে এবং তারপর পুলিশের হাতে তুলে দেয়৷
ছবি: BD News
প্রতিবাদ ও বিচার দাবি
খাদিজার ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সারা দেশে্ই তখন বদরুলের বিচারের জোরালো দাবি ওঠে৷
ছবি: bdnews24.com
খাদিজার চিকিৎসা
সংকটাপন্ন অবস্থায় প্রথমে খাদিজাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তারপর ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ অবস্থার অনেকটা উন্নতি হওয়ার পর গত ২৮ নভেম্বর তাকে সিআরপি-তে ভর্তি করা হয়৷ অবশেষে সিআরপি থেকেও ছাড়া পেয়ে খুশি মনে বাড়ি ফিরলেন খাদিজা৷ তবে চিকিৎসা এখনো শেষ হয়নি৷ সিআরপি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে খাদিজাকে আরও কয়েক বছর চিকিৎসা নিতে হবে৷
ছবি: bdnews24.com
খাদিজারও একই দাবি
শুক্রবার বিমানে করে এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান সিলেট মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা৷ বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে করে সিলেট সদর উপজেলার আউশা গ্রামের বাড়িতে যান তিনি৷ বাড়ি ফিরে খাদিজা লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করার পাশাপাশি বদরুলের কঠোর শাস্তিও দাবি করেন৷