জেরুসালেমের 'স্ট্যাটাস' বা অবস্থানের কোনো ধরনের পরিবর্তন করা যাবে না - এই মর্মে একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোটাভুটির পরিকল্পনা করছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো৷ সোমবার এই প্রস্তাবে ভোটাভুটি হওয়ার কথা৷
বিজ্ঞাপন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনি অঙ্গীকার পূরণ করতে চলতি মাসে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন৷ এমনকি তেল আভিভ থেকে জেরুসালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সরিয়ে নেয়ারও সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়৷
‘জেরুসালেমের স্ট্যাটাস সংক্রান্ত' ঐ খসড়ায় সোমবার ভোটাভুটি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ৷ খসড়ায় লেখা আছে,জেরুসালেম বর্তমানে যে অবস্থানে আছে বৈধভাবে এতে কোনো ধরনের পরিবর্তন আনা যাবে না এবং তেমনটা কেউ করলে তা অকার্যকর বলে গণ্য হবে৷ এতে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র শহর জেরুসালেমের স্ট্যাটাস, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান কোনোভাবেই পরিবর্তন যোগ্য নয়৷' খসড়া এই প্রস্তাবে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করা নেই বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি এবং রয়টার্স৷
ট্রাম্পের জেরুসালেম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
সারা বিশ্বে হাজার হাজার মুসলিম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ পথবিক্ষোভে মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকা পোড়ানো হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Gharabli
জার্মানি
রবিবার বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের একটি প্রধানত মুসলিম জনতা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শন করে৷ বিক্ষোভকারীদের হাতে ফিলিস্তিনি ও তুর্কি পতাকা ছিল৷ বিক্ষোভে একটি ইসরায়েলি পতাকাও পোড়ানো হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী হাইকো মাস পরে বলেন যে, জার্মানিতে ইহুদি বিদ্বেষের কোনো স্থান নেই৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
তুরস্ক
ট্রাম্পের ঘোষণার পর পরই তুরস্কে প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়৷ ছবিতে বিক্ষোভকারীরা ইস্তানবুলে মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকায় আগুন ধরাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/O. Orsal
মিশর
ছবিতে কায়রোয় সিন্ডিকেট অফ জার্নালিস্টস-এর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি প্রতিকৃতি দাহ করছেন; ছবির গায়ে লেখা আছে, ‘ট্রাম্প, সাংবাদিকরা আপনাকে বলছে, জেরুসালেম আরব’৷ পরে পুলিশ আটজন বিক্ষোভকারীকে নিষিদ্ধকৃত মুসলিম ব্রাদারহুড সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের দায়ে গ্রেপ্তার করে৷
ছবি: Reuters/M. A. E. Ghany
লেবানন
লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনী রবিবার বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসের কাছে বিক্ষোভকারীদের রোখার জন্য কাঁদানে গ্যাস ও জলের কামান ব্যবহার করে৷ হেজবুল্লাহ সংগঠন উত্তরোত্তর প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Hussein
ইরাক
ইরাকের শিয়াপন্থি মুসলিমরাও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জেরুসালেম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নেমেছেন, যেমন এখানে দক্ষিণ ইরাকের বসরা শহরে৷
ছবি: Reuters/E. al-Sudani
ইরান
ইরানের রাজধানী তেহরানে বিপুল বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে এবং আগামীতেও হবে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে৷ ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি রবিবার বলেন যে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার ‘‘আগুনে তেল ঢেলেছে৷’’
ছবি: picture-alliance/AA/Stringer
পাকিস্তান
পাকিস্তানের করাচিতে শিয়াপন্থি বিক্ষোভকারীরা মার্কিন কনস্যুলেটের দিকে যাবার পথে মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকা পদদলিত করছেন৷
ছবি: Reuters/A. Soomro
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর
শ্রীনগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে বুদগাম শহরে বিক্ষোভকারীরা জুম্মার নামাজের পর মিছিল করেন ও ইসরায়েলের পতাকা পোড়ান (ছবি)৷ তাদের মুখে ‘অ্যামেরিকা নিপাত যাও’ ও ‘ইসরায়েল নিপাত যাও’ ধ্বনি শোনা যায়৷
ছবি: picture alliance/dpa/AP Photo/D. Yasin
মালয়েশিয়া
কুয়ালা লামপুরে শুক্রবারের নামাজের পর সহস্রাধিক মুসলিম ট্রাম্পের জেরুসালেম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর উদ্দেশ্যে মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে যাত্রা করেন৷ ক্রীড়ামন্ত্রী জামালুদ্দিন স্বয়ং তাদের নেতৃত্ব দেন৷ জনতা ‘ইসলাম দীর্ঘজীবী হোক’ ধ্বনি দেয়৷
ছবি: Reuters
ইন্দোনেশিয়া
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ায় চার দিন ধরে প্রতিবাদ চলেছে৷ জাকার্তার মার্কিন দূতাবাসের সামনে মার্কিন ও ইসরায়েলি পতাকা পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে৷ এছাড়া ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতিকৃতি দাহ করা হয়৷
ছবি: Reuters/Beawiharta
ব্রাজিল
রবিবার ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে ফিলিস্তিনি ফ্রন্ট নামধারী একটি আন্দোলন ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শন করে৷
ছবি: picture-alliance/ZUMA Wire/C. Faga
11 ছবি1 | 11
এক পাতার এই খসড়াটি নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যদের হাতে শনিবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে৷ সোমবারই কোনো এক সময় এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ খসড়া প্রস্তাবটি পাস হতে নিরাপত্তা পরিষদের অন্তত ৯ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন৷ এছাড়া স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া এবং চীন - এদের মধ্যে কেউ ভেটো দিলে এটি পাস হবে না৷
জাতিসংঘ পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা মনে করছেন এই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষেই সবাই ভোট দেবেন৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে ভেটো দেয়ার সম্ভাবনা আছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ কারণ জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক৷ যদি প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে নাকচ হয়ে যায়, এরপর সাধারণ পরিষদে এর উপর ভোটাভুটি হবে৷
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের পর থেকে বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিন এবং তাদের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন৷ রবিবার জাকার্তায় ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷
বিতর্কিত শহর জেরুসালেম
জেরুসালেম বিশ্বের প্রাচীনতম ও সবচেয়ে বিতর্কিত শহরগুলির অন্যতম৷ ইহুদি, মুসলিম ও খ্রিষ্টান, তিনটি ধর্মের মানুষের কাছে জেরুসালেম একটি পবিত্র শহর৷ এ কারণে জেরুসালেম নিয়ে বিরোধ ও বিতর্ক লেগেই আছে৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/S. Qaq
রাজা ডেভিডের শহর
ওল্ড টেস্টামেন্টের বিবরণ অনুযায়ী, জুডাহ ও ইসরায়েলের রাজা ডেভিড যীশুখ্রিষ্টের জন্মের প্রায় এক হাজার বছর আগে জেবুসাইটদের কাছ থেকে জেরুসালেম জয় করেন৷ ডেভিড জেরুসালেমকে তার রাজধানী করেন ও জেরুসালেম তাঁর রাজ্যের ধর্মীয় কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়৷ বাইবেলে কথিত আছে যে, ডেভিডের পুত্র রাজা সলোমন জেরুসালেমে ইসরায়েলের দেবতা ইয়াওয়েহ’র প্রথম মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন ও জেরুসালেম ইহুদি ধর্মের প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়৷
ছবি: Imago/Leemage
পারস্যের শাসনে
নব্য ব্যাবিলোনিয়ান রাজা দ্বিতীয় নেবুচাডনেজার (বাম থেকে তৃতীয়) খ্রিষ্টপূর্ব ৫৯৭ ও ৫৮৬ সালে জেরুসালেম জয় করেন বলে বাইবেলে আছে৷ তিনি রাজা জেহোইয়াকিম (ডান থেকে পঞ্চম) ও অন্যান্য সম্ভ্রান্ত ইহুদিদের বন্দি করে ব্যাবিলনে পাঠান ও ইয়াওয়েহ’র মন্দিরটি ধ্বংস করেন৷ পারস্যের রাজা সাইরাস দ্য গ্রেট ব্যাবিলন দখল করার পর নির্বাসিত ইহুদিদের জেরুসালেমে ফেরার ও মন্দিরটি পুনরায় গড়ে তোলার অনুমতি দেন৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library
রোমক ও বাইজান্টাইন আমল
খ্রিষ্টজন্মের ৬৩ বছর পরে জেরুসালেম রোমক শাসনে আসে, কিন্তু জনগণের মধ্যে প্রতিরোধ অব্যাহত থাকায় তার তিন বছর পরেই প্রথম ইহুদি-রোমক যুদ্ধের অবতারণা ঘটে৷ চার বছর যুদ্ধের পর রোমকরা জয়ী হয় ও ইহুদিদের মন্দিরটি পুনরায় ধ্বংস করা হয়৷ রোমক আর বাইজান্টাইনরা মিলে প্রায় ৬০০ বছর ধরে জেরুসালেম শাসন করে৷
ছবি: Historical Picture Archive/COR
আরব বিজয়
বৃহত্তর সিরিয়ায় ইসলামের জয়ের পর মুসলিম সেনাবাহিনী জেরুসালেমে পৌঁছায়৷ (ছবিতে) খলিফা উমরের আদেশে ৬৩৭ সালে দীর্ঘ অবরোধের পর জেরুসালেমের পতন ঘটে৷ মুসলিম শাসন চলাকালীন বিভিন্ন গোষ্ঠীর শাসকরা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে সংঘাত চালান৷ জেরুসালেম একধিকবার অবরুদ্ধ ও বিজিত হয়৷
ছবি: Selva/Leemage
ক্রুসেড
১০৭০ সাল থেকে মুসলিম নেতারা ক্রমেই খ্রিষ্টান জগতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেন৷ শেষমেষ পোপ দ্বিতীয় আর্বান ক্রুসেডের ডাক দেন৷ ২০০ বছরের মধ্যে মোট পাঁচটি ক্রুসেড জেরুসালেম জয়ের জন্য যাত্রা করে৷ কিন্তু ১২৪৪ সালে ক্রুসেডাররা শহরটির নিয়ন্ত্রণ হারায় ও জেরুসালেম পুনরায় মুসলিম শাসনে আসে৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
অটোমান ও ব্রিটিশ আমল
অটোমানরা মিশর ও আরব জয় করার পর ১৫৩৫ সালে জেরুসালেম একটি অটোমান জেলার প্রশাসনিক কার্যালয়ে পরিণত হয়৷ অটোমান শাসনের প্রথম কয়েক দশকে শহরটির প্রভূত উন্নতি ঘটে৷ ১৯১৭ সালে অটোমান সৈন্যদের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের জয়ের পর ফিলিস্তিন ব্রিটিশ শাসনে আসে ও জেরুসালেম বিনাযুদ্ধে ব্রিটিশদের হাতে চলে যায়৷
ছবি: Gemeinfrei
বিভক্ত শহর
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন তার ফিলিস্তিনি সনদ ছেড়ে দেয়৷ অপরদিকে জাতিসংঘ হলোকস্ট থেকে যেসব ইহুদি বেঁচেছেন, তাদের জন্য একটি স্বদেশ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে দেশবিভাগের সিদ্ধান্ত নেয়৷ অতঃপর কিছু আরব দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে ও অংশত জেরুসালেম দখল করে৷ ১৯৬৭ সাল অবধি জেরুসালেমের পশ্চিমাংশ ইসরায়েল ও পুবের অংশ জর্ডানের দখলে ছিল৷
ছবি: Gemeinfrei
পূর্ব জেরুসালেম ইসরায়েলের হাতে ফিরল
১৯৬৭ সালের ছয় দিনের এক যুদ্ধে ইসরায়েল মিশর, জর্ডান ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়৷ সাইনেয়াই, গাজা স্ট্রিপ, পশ্চিম তীর, গোলান হাইটস ও পূর্ব জেরুসালেমের দখল করে নেয় ইসরায়েল৷ ইসরায়েলের প্যারাট্রুপার সৈন্যরা ১৯৪৯ সাল যাবৎ প্রথমবারের মতো ইহুদিদের জেরুসালেমের ‘ওয়েলিং ওয়াল’-এ দাঁড়ায়৷ পূর্ব জেরুসালেমকে সরকারিভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ না করা হলেও, সামগ্রিক প্রশাসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷
জেরুসালেমে মুসলিমদের পবিত্র স্থানগুলি মুসলিমদের জন্য খোলা৷ টেম্পল মাউন্ট একটি স্বশাসিত মুসলিম প্রশাসনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত৷ মুসলিমরা ডোম অফ দ্য রক ও তার সংলগ্ন আল-আকসা মসজিদটি দর্শন করতে পারেন ও সেখানে নামাজ পড়তে পারেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Gharabli
জেরুসালেম নিয়ে বিরোধ
আজ অবধি জেরুসালেমের পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ মর্যাদা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তির পথে অন্তরায় হয়ে রয়েছে৷ ১৯৮০ সালে ইসরায়েল গোটা জেরুসালেমকে তার ‘‘চিরন্তন ও অবিভাজনযোগ্য রাজধানী’’ বলে ঘোষণা করে৷ ১৯৮৮ সালে জর্ডান পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমের উপর তার দাবি পরিত্যাগ করার পর ফিলিস্তিন রাজ্য ঘোষিত হয়৷ ফিলিস্তিন রাজ্যও জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী বলে গণ্য করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jensen
10 ছবি1 | 10
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)
এ বিষয়ে আপনার কোনো মতামত থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷