1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রাকৃতিক খাবারে মাছ চাষ

২৭ জানুয়ারি ২০২০

মাছ চাষের শতভাগ পরিবেশবান্ধব উপায় তৈরির জন্য গবেষণা করছেন ইন্দোনেশিয়ার এক গবেষক৷ কাজ করছেন ইউরোপের বোডেন সী বা লেক কনস্টান্সের আণুবীক্ষণিক কণা বা প্লাঙ্কটন নিয়ে৷ ৷ লেকটি জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ড ছুঁয়েছে৷

Deutschland Forschung über Mikroplankton am Bodensee, Konstanz - Pelita Octorina
ছবি: DW/A. Purwaningsih

জীববৈচিত্র্যের জন্য জলাশয়ের প্রয়োজনীয়তা অনেক৷ তাই বিজ্ঞানীরা এর সুরক্ষার ওপর জোর দেন৷ তবে নানা কারণে এই জলাশয়গুলোকে দূষিত করা হচ্ছে৷

এসব নিয়ে গবেষণা করছেন ইন্দোনেশিয়ার গবেষক পেলিটা অকটোরিনা৷ তিনি ইউরোপের বোডেন সী বা কনস্টান্স লেক নামে পরিচিত জলাশয়টির প্রাণিজ প্লাঙ্কটন নিয়ে কাজ করেন৷ তাঁর স্বামী ও মুহাম্মাদিয়া সুকাভূমি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোহামাদ রিদওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি এই লেক থেকে প্লাঙ্কটনের নমুনা সংগ্রহ করেন৷ কিন্তু কেন এই লেক বাছাই করলেন পেলিটা?

‘‘১৯৬০ সালের আগে লেকটির পুষ্টিমান ছিল অনেক কম৷ কিন্তু আশি সালের দিকে এর উর্বরতার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়,'' বলেন তিনি৷ ‘‘বাড়তে থাকা কৃষি ও ঘরবাড়ির বর্জ্যের কারণে এতে বাড়ে ফসফরাসের পরিমাণ৷ এতে সুপেয় পানির পরিমাণ কমে যায়৷''

দূষিত লেককে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সময় জলজ প্রাণগুলো কেমন করে প্রতিক্রিয়া করে কিংবা সহনশীলতা দেখায়, তা এখনো গবেষণার বিষয়৷ পেলিটা মনে করেন, গবেষণা থেকে পাওয়া এই জ্ঞান লেকের ইকোসিস্টেম সম্পর্কে ভবিষ্যতে আরো কাজ করতে সহযোগিতা করবে৷

তিনি ডাফিনা নামের প্রাণিজ প্লাঙ্কটন নিয়ে কাজ করেন৷ এগুলো সাধারণত জলজ প্রাণ নিয়ে গবেষণার মডেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়৷ পেলিটা অকটোরিনা গবেষণার জন্য ডাফিনাসহ নানা রকম প্রাণিজ প্লাঙ্কটন নিয়ে এসেছেন তাঁর ল্যাবরেটরিতে৷

পরিবেশবান্ধব উপায়ে মাছ চাষ

03:53

This browser does not support the video element.

তিনি বলেন, ‘‘ডাফিনার ওপর গবেষণা করে আমরা চেষ্টা করছি অতি উর্বর লেক থেকে পরিষ্কার ও মানসম্মত লেকে পরিণত করা হলে তা সেখানে কী ধরনের পরিবেশগত পরিবর্তন আনে, তা জানতে৷''

পেলিটা ল্যাবরেটরিতে খাবার ও খাদক জলজ প্রাণীর সঙ্গে ডাফিনাগুলোকে রেখে পরীক্ষা করেন৷ খাদক জলজ প্রাণীগুলোকেও একই লেক থেকে আনা হয়েছে৷ ডাফিনার বাড়তে থাকা শরীরের আকার ব্যাখ্যা করে, শৈবাল কণাগুলোর সংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে৷ একইসঙ্গে দেখা যায়, প্লাঙ্কটন-খাদক জলজ প্রাণীগুলোর প্রভাব কেমন করছে পড়ছে ডাফিনার ওপর৷

পেলিটা অকটোরিনা বলেন, ‘‘জার্মানিতে এই গবেষণালব্ধ জ্ঞান আমি ইন্দোনেশিয়ার প্রয়োগ করতে চাই৷ পিট লেকে আমি প্রাকৃতিক খাবারের ওপর নির্ভর করে মাছ চাষ করতে চাই৷ মাছের প্রাকৃতিক খাবার হলো ডাফিনা৷ ডাফিনা কিভাবে খাদক জলজ প্রাণীদের সঙ্গে খাপ খাইয়ে বাঁচে, তা যদি জানতে পারি, তাহলে পিট লেকে তা আমি ব্যবহার করতে পারি, যা জনগণের উপকারে আসবে৷ তাহলে কৃত্রিম খাবার দিতে হবে না৷ পরিবেশবান্ধব উপায়ে মাছ চাষ করা যাবে৷''

আয়ু পূর্বানিংসিহ/জেডএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ