1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রাগ মানেই চার্লস ব্রিজ

২১ জুলাই ২০১৭

প্রাগ বেড়াতে এলে চার্লস ব্রিজ না দেখে ফিরে যাবার উপায় নেই৷ প্রায় সাড়ে ছ'শ বছরের এই পাথরের সেতুটি ৩০টি ভাস্কর্য দিয়ে সাজানো – যদিও সেগুলো আজ আসল নয়, নকল৷ আসল ভাস্কর্যগুলো রাখা আছে চার্লস ব্রিজ মিউজিয়ামে৷

Symbolbild Tschechien vor den Wahlen
ছবি: Zharastudio - Fotolia.com

এ ব্রিজ না দেখলে প্রাগ দেখার আনন্দটাই মাটি

04:22

This browser does not support the video element.

চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ৷ শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে ভলটাভা নদী৷ নদীর উপর আছে ১৫টি সেতু, চার্লস ব্রিজ যার মধ্যে সবচেয়ে পুরনো৷ ৫০০ মিটার লম্বা এই সেতুটি ইউরোপের দীর্ঘতম গথিক স্থাপত্যের ব্রিজ৷ ১৩৫৭ সালে সম্রাট চতুর্থ চার্লস এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন – তাঁরই নামে এই সেতু৷

স্ডেনেক বার্গম্যান চার্লস ব্রিজ মিউজিয়ামটি পরিচালনা করেন৷ মানানসই আবহের জন্য ভলটাভা নদীর প্রাচীন জাহাজগুলোকে সারিয়ে তোলার ব্যবস্থা করেছেন তিনিই৷ ফলে দর্শকরা নদী থেকেও চার্লস ব্রিজের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন৷

প্রাগের ‘মালা স্ত্রানা' বা ‘ছোট কিনারা' এলাকার প্রাগ দুর্গকে ঐতিহাসিক পুরনো শহরের সঙ্গে যুক্ত করে এই চার্লস ব্রিজ৷ স্ডেনেক শোনালেন সে কাহিনি: ‘‘কিছুদিন আগে চেক জনগণকে জিগ্যেস করা হয়েছিল, তারা কোন ঐতিহাসিক চরিত্রকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন৷ চেকরা বলেন, ‘সম্রাট চতুর্থ চার্লস', যিনি চার্লস ব্রিজের মতো স্থাপত্য সৃষ্টি করেছিলেন৷''

রক্ষাকর্তা

পুরনো প্রাগে চার্লস ব্রিজের তোরণটি আসলে একটি প্রতীকী বিজয়তোরণ – এককালে বোহেমিয়া রাজ্যের নৃপতিরা এই পথ দিয়ে অভিষেকে যেতেন৷ স্ডেনেক জানালেন: ‘‘প্রাগ শহরের পেট্রন সেন্ট বা রক্ষাকর্তা হলেন এরা: সম্রাট চার্লস, রাজা ভেনসেস্লস আর সিগিসমুন্ড, প্রকপ ও ভিটাস, এই তিন সন্ত৷''

প্রতিদিন প্রায় ৩০,০০০ মানুষ চার্লস ব্রিজের ওপর দিয়ে হেঁটে যান – প্রধানত টুরিস্ট৷ এশিয়ার বর-কনেদের কাছে চার্লস ব্রিজ বিয়ের ফটো তোলার খুব ভালো লোকেশান৷ আবার ব্রিজের ওপর নিজের ছবি আঁকানো যায়৷ ভোলটাভা নদীর ওপর নৌকাবিহারও খুব প্রিয়৷

চার্লস ব্রিজকে সাজানো হয়েছে মোট ৩০টি মূর্তি দিয়ে – তার মধ্যে যিশুর বাছাই ১২ জন শিষ্য, নানা দেবদূত ও খ্রিষ্টীয় পণ্ডিত ইত্যাদিরা আছেন৷ তবে এই মূর্তিগুলো সবই কপি; আসল মূর্তিগুলো মিউজিয়ামে রাখা আছে৷ তার মধ্যে সবচেয়ে পুরনো মূর্তিটি আবার পাথরের তৈরি নয়৷ স্ডেনেক শোনালেন, ‘‘এই সেতুর পেট্রন সেন্ট হলেন সন্ত নেপোমুক৷ ১৬৮৩ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর স্ট্যাচুটি বসানো হয়৷ নেপোমুক হলেন ইউরোপ, এমনকি সারা বিশ্বের সব সেতুর রক্ষাকর্তা৷ আমার তাঁকে বিশেষ পছন্দ, কেননা তিনি যারা জল বা নদীতে কাজ করে, তাদের রক্ষা করেন৷''

পর্যটক

মালা স্ত্রানার তীরে টুরিস্টদের ভিড়৷ এখান থেকে চার্লস ব্রিজকে তার ধনুকের আকারের ১৬টি খিলান সহ সম্পূর্ণ দেখা যায়৷ পর্যটকদের প্রতিক্রিয়া কী? পর্তুগালের এক পর্যটক বলেন, ‘‘ভোরবেলা কিংবা সন্ধ্যায় আমার বিশেষ ভালো লাগে৷ মানুষজন ছাড়া বেশ সুন্দর, শান্ত একটি জায়গা৷'' এক মার্কিন টুরিস্ট মনে করেন, ‘‘চার্লস ব্রিজের ওপর দিয়ে যাওয়া মানে যেন অতীতে ফিরে যাওয়া৷ এখানে ইতিহাসকে অনুভব করা যায়৷ নদী পার হয়ে যেন পুরনো প্রাগে ফিরে যাচ্ছি৷''

টুরিস্টরাও চার্লস ব্রিজ দেখে মুগ্ধ হন ও নিজেদের তোলা ছবি পাঠান৷ স্ডেনেক বললেন: ‘‘প্রতিদিন আমি ব্রিজ পার হয়ে কাজে যাই৷ কিন্তু আমার কাছে এটা শুধু রাস্তা নয়৷ আমি এখানে দার্শনিক চিন্তার প্রেরণা পাই: ইতিহাস ও অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনা করি৷''

স্ডেনেক বার্গম্যান স্বয়ং চার্লস ব্রিজের ইতিহাসে তাঁর ছাপ রেখেছেন৷ তাঁর উদ্যোগে ২০০৯ সাল থেকে প্রতিবছর মে মাসে একটি বড় উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে৷ চার্লস ব্রিজ আর তার রক্ষাকর্তাদের সম্মানে এই উৎসব৷ তখন শুধু চার্লস ব্রিজের ওপরেই যে তারাদের মেলা বসে, এমন নয়!

সুজানে ডাউস/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ