1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রাচীরের গায়ে ক্লাসিক চিত্রকর্ম

২৪ ডিসেম্বর ২০২০

ক্লাসিক যুগের বিখ্যাত চিত্রকর্মগুলি মিউজিয়ামের চার দেওয়ালের মধ্যেই শোভা পায়৷ একটি ফাউন্ডেশন সেই সব ছবিকে আধুনিক যুগের উপযোগী করে তুলে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে৷

ক্লাসিক যুগের বিখ্যাত চিত্রকর্মগুলি মিউজিয়ামের চার দেওয়ালের মধ্যেই শোভা পায়৷ একটি ফাউন্ডেশন সেই সব ছবিকে আধুনিক যুগের উপযোগী করে তুলে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে৷
ছবি: Reuters/F. Bensch

জার্মানির পশ্চিমে এসেন শহরে দুটি মিউরাল বা দেওয়াল চিত্র ধীরে ধীরে পূর্ণতা পাচ্ছে৷ টেলমো ও মিল নামের নেদারল্যান্ডসের দুই স্ট্রিট আর্ট শিল্পী ‘ওয়ালস অফ ভিশন' নামের শিল্প প্রকল্পের আওতায় সৃষ্টির কাজে মেতে আছেন৷ টেলমো পিপারের মতে, প্রাচীন মাস্টারপিস হিসেবে পরিচিত চিত্রগুলিকে আধুনিক যুগে পরিবেশন করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ তিনি বলেন, ‘‘ক্লাসিক যুগ, বাস্তববাদ ও প্রাচীন ওলন্দাজ চিত্রশিল্পীরাই আমাদের মূল লক্ষ্য বা প্রেরণা ছিল৷ ক্লাসিকাল আর্টের নিদর্শনগুলির সঙ্গে দেওয়ালচিত্রের মেলবন্ধন একেবারে আদর্শ কাজ৷’’

এই স্ট্রিট আর্ট প্রকল্পের জন্য দুই চিত্রশিল্পী যে যার পথে এগিয়ে গেছেন৷ দুজনেই ভবনের বাইরে প্রায় ১৭০ বর্গ মিটার জুড়ে ছবি এঁকেছেন৷ মিল ক্রুৎসমান ১৮৮৮ সালের একটি তৈলচিত্রকে ভিত্তি করে নিজের ছবি এঁকেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘মূল তৈলচিত্রটির সৃষ্টা ভিনসেন্ট ফান গখ, নাম ‘দ্য সোয়ার"৷ তাঁর ছবির পটভূমি অত্যন্ত রঙিন ও উজ্জ্বল হলেও চরিত্রগুলি অত্যন্ত অন্ধকার৷ আমি ঠিক এর বিপরীতটাই করেছি৷ ফলে এখন পটভূমি সূক্ষ্ম হলেও চরিত্র খুব উজ্জ্বল৷’’

স্ট্রিট আর্ট শিল্পী হিসেবে মিল ক্রুৎসমান স্বীকার করেন, ‘‘ফান গখের মতো ছবি আঁকা বড় চ্যালেঞ্জ৷ তাঁর তুলির আঁচড়ের রেলিয়েফ আমি সৃষ্টি করতে চেয়েছি৷ ফলে সেটা খুব কঠিন কাজ হয়েছে৷ এটাই তো তাঁর সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য৷’’

এদিকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে টেলমো পিপার দ্বিতীয় মিউরালের কাজ করছেন৷ তিনি ১৮৫৭ সালে ফ্রান্সের শিল্পী জঁ-ফ্রঁসোয়া মিয়ে-র আঁকা ‘ওম্যান উইথ এ রেক’ নামের তৈলচিত্র বেছে নিয়েছেন৷ ফসল তোলার পর খেত খালি করার কাজ তিনি দেখেছেন৷ টেলমো মনে করেন, ‘‘আজকাল প্রকৃতির কোলে আবর্জনা ও প্লাস্টিক বড় সমস্যা৷ ফসল তোলার পর এখন প্লাস্টিক দূর করতে হয়৷ তাই আধুনিক প্রেক্ষাপটে আমি সে রকম কিছু করতে চেয়েছিলাম৷ সে সময়কার চিত্রশিল্পীদের যুগে প্লাস্টিকের সমস্যা ছিল না৷ আবর্জনাও অন্যরকম ছিল৷ তাই আমার মতে, আধুনিক ও ক্লাসিক যুগের শিল্পের মধ্যে এটা ভালো মেলবন্ধন৷’’

‘ওয়ালস অফ ভিশন’ ড. হান্স রিগেল ফাউন্ডেশনের এক সিরিজ প্রকল্প৷ শিল্পকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া এই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ ‘পাবলিক স্পেস’ বলে পরিচিত যে কোনো জায়গায় তা স্থান পেতে পারে৷

বার্লিনের ইনারফিল্ডস টিম ২০১৯ সালে সেই ডাকে প্রথম সাড়া দিয়েছিল৷ কোলন শহরে তারা ২৬০ বর্গমিটার মিউরাল সৃষ্টি করেছিল৷ ১৮১৮ সালে জার্মানির রোম্যান্টিসিস্ট চিত্রশিল্পী কাস্পার ডাভিড ফ্রিডরিশের আঁকা ‘ওয়ান্ডারার অ্যাবাভ দ্য সি অফ ফগ' ছবিটি সেই শিল্পের ভিত্তি ছিল৷ ২০২০ সালের গ্রীষ্মে গেলজেনকিয়র্শন শহরে জার্মান স্ট্রিট আর্ট শিল্পী কেস ম্যাকলেম ‘দ্য বাটারফ্লাই হান্টার’-এর নিজস্ব রূপ ফুটিয়ে তুলেছিলেন৷ রোম্যান্টিক চিত্রশিল্পী কার্ল স্পিৎসভেগের মূল ছবিতে সরঞ্জামগুলিও তুলে ধরা হয়েছিল৷

নতুন রূপে বিখ্যাত চিত্র

04:31

This browser does not support the video element.

প্রকল্পের প্রধান আলেক্সান্ডার কুকলা সরাসরি গ্রাফিটি শিল্পীদের দ্বারস্থ হন৷ তিনি বলেন, ‘‘এভাবে আমরা আরও ভালোভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছানোর আশা করছি৷ ড. হান্স রিগেল ফাউন্ডেশন পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও গ্রাফিক আর্ট সম্পর্কে আগ্রহ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে৷ তরুণতরুণীদের কাছে শিল্পের এই রূপ বেশ জনপ্রিয় এবং শহরের বুকে এমন শিল্প ছড়িয়ে রয়েছে৷’’

মিল ক্রুৎসমান ও টেলমো পিপার এসেন শহরে আট দিনে কাজ শেষ করেছেন৷ তাঁরা ১২০ লিটারেরও বেশি রং ও ২০টি স্প্রে পেন্ট ব্যবহার করেছেন৷

এসেনের পর অন্যান্য শহরেও প্রকল্প ছড়িয়ে দেবার পরিকল্পনা রয়েছে৷ নতুন মিউরালের খসড়া প্রস্তুত হয়ে গেছে৷ অনুকরণ করার জন্য ছবির অভাব নেই৷

ডরোটেয়া প্রেচ/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ