1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রাণভয়ে দেশে ফিরতে চায় না সৌদি তরুণী

৭ জানুয়ারি ২০১৯

দেশে ফিরলেই তাঁকে হত্যা করা হবে এমন আশঙ্কায় সৌদি আরবে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন থাইল্যান্ডে আটক হওয়া তরুণী রাহাফ মোহাম্মাদ আল কানুন৷ সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছেন রাহাফ৷

Rahaf Mohammed Alqunan
ছবি: picture alliance/AP Photo/Human Rights Watch/Rahaf Mohammed Alqunun

গত শনিবার কুয়েত থেকে ট্রানজিটে ব্যাংককের সূবর্ণভূমি বিমানবন্দরে আটক হন এই সৌদি তরুণী৷ তিনি জানান, তিনি বাড়ি থেকে পালিয়েছেন৷ সেখানে তাঁকে ক্রমাগত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হতো৷ তিনি টুইটারবার্তায় জানান, তাঁর জ্ঞাতি ভাই তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছে৷ রাহাফ আরবি ও ইংরেজি দুই ভাষায় লেখা টুইটারবার্তায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃ্ষ্টি আকর্ষণ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যারা আমাকে রক্ষা করতে পারেন৷''


রাহাফ পরিবারের সঙ্গে কুয়েতে বেড়ানোর সময় পালান৷ ব্যাংকক হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি ৷ তিনি দাবি করেন, সূবর্ণভূমি বিমানবন্দরে তাঁর পাসপোর্ট ও কাগজ জোর করে কেড়ে নেয় সৌদি ও কুয়েতি কর্মকর্তারা৷ পরে তাঁকে আটক করে বিমানবন্দরের একটি হোটেলে রাখা হলে তিনি টুইটারবার্তায় জানান, মানবাধিকার কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে তিনি দেখা করবেন না৷

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে ব্যংককে অন অ্যারাইভাল ভিসার আবেদন করলে আটক হন রাহাফ৷ থাই বিমানবন্দর কর্তৃ্পক্ষ জানায়, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, রিটার্ন টিকেট  না থাকায় তাঁকে অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে রাহাফ তাঁর পাসপোর্টের ছবিও পোস্ট করেন টুইটারে৷

এদিকে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পরিচালক মাইকেল পেইজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিপদগ্রস্ত এই তরুণীকে ফেরত পাঠানো উচিত হবে না৷ 

আজ সোমবার থাইল্যান্ডের সময়  বেলা ১১টার কুয়েতগামী ফ্লাইটে রাহাফকে  সৌদি আরব পাঠানোর কথা ছিল৷ তবে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর এশিয়া উপপ্রধান পরিচালক ফিল রবার্টসন এক টুইটারবার্তায় জানিয়েছেন, যে বিমানে রাহাফকে ফেরত পাঠানোর কথা ছিলো সেটি তাঁকে ছাড়াই কুয়েত রওনা হয়েছে৷ বিমানে রাহাফ ছিলেন না৷  এদিকে থাইল্যান্ডে জার্মানির রাষ্ট্রদূত  গেয়র্গ স্মিড্ট এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ এক টুইটারবার্তায় তিনি বলেন, ‘‘আমরা থাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি৷ একইসঙ্গে রাহাফ যেসব দেশে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছি৷''

এফএ/এসিবি (এএফপি/ রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ