যেমন সুন্দর, তেমন সাবলীল, তেমন তার ক্ষিপ্রতা৷ বিজ্ঞানীরা এবার এই মার্জার ফেরারি-র বনেট খুলে দেখেছেন, ইঞ্জিনটা কী ভাবে চলে৷ ও রকম আচমকা দৌড় দিতে তার বেশি পরিমাণ শক্তি খরচ হয় না তো?
বিজ্ঞাপন
আসল কথা হল, আফ্রিকায় চিতাবাঘের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে কমে এসেছে এবং বিজ্ঞানীরা তার কারণ বোঝার চেষ্টা করছেন৷ সেই গবেষণার ফলাফল এবার প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স' পত্রিকায়৷ গবেষকরা দু'সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বটসোয়ানা-র দু'টি এলাকায় ১৯টি বন্য, মুক্ত চিতাবাঘের গতিবিধির উপর নজর রেখেছেন৷ তাঁরা চিতাবাঘগুলিকে আইসোটোপ-যুক্ত জলের ইনজেকশন দেওয়ার পর, পরে জন্তুগুলির মলমূত্র বিশ্লেষণ করে দেখেছেন৷
জীব-জন্তুর বসন্ত মানেই বাচ্চা-কাচ্চা
জার্মানির চিড়িয়াখানায় বেশিভাগ পর্যটকদের ভিড় হয় বসন্তকালে৷ কারণ জীব-জন্তুরা তখন সন্তানের জন্ম দেয়৷ আর এই শিশু প্রাণীরা সাধারণত হয় বুদ্ধিমান ও আবেগপ্রবণ৷
ছবি: Lutz Schnier
সত্যিকারের বানর প্রেমী
লাইপসিশ: চিড়িয়াখানায় বানর মা কুমিলিকে দেখে বোঝা যায় যে, মাতৃত্বের আনন্দ তার চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে৷ তবে ছোট্ট মেয়ে দিয়ারাকে দেখে মনে হচ্ছে যে, পৃথিবীর আলো দেখে সে এখনো তেমন খুশি হতে পারেনি৷ দিয়ারা যেন খানিকটা ভীত৷
ছবি: Zoo Leipzig
এত উঁচু অবস্থায় কেউ জন্মায় না
বার্লিন: জিরাফের মেয়ে বিনে, দুই মিটার উঁচু হওয়ার কারণে ৩০শে এপ্রিল ওর জন্মের সময় বেশ কষ্ট হয়েছে৷ তবুও বিনে জন্মের মাত্র ৪০ মিনিট পরেই হাঁটতে শুরু করে দেয়৷
ছবি: Tierpark Berlin
এত ছোট্ট প্রাণী !
ফ্রাংকফুর্ট: জীবজন্তুদের মধ্যে এই প্রাণীটিকেই সবচেয়ে ছোট প্রাণী দলের মধ্যে ফেলা হয়৷ অর্থাৎ মাত্র ২০ সেন্টিমিটার৷ দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা এই প্রাণীরা খুবই লাজুক স্বভাবের হয়৷ ওদের পা এতটাই ছোট যে, কোথাও পালিয়ে যেতে চাইলেও ওরা যেতে পারে না৷
ছবি: Zoo Frankfurt/Winfried Faust
মিশ্র দম্পতির সন্তান
ডর্টমুন্ড: কী খুসি, মেয়ে হয়েছে, মেয়ে! ও কিন্তু সত্যিকার অর্থেই মিশ্র দম্পতির বাচ্চা৷ বাবা আমারি এসেছে জার্মানির ইয়ারফুর্ট শহরের চিড়িয়াখানা থেকে আর মা সাকিনা দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাধীনতা ভোগ করা মেয়ে৷
ছবি: Stadt Dortmund
চিড়িয়াখানায় বিশেষ শো
কোলন: এ বছর কার্নিভালের সময়, অর্থাৎ গোলাপি সোমবার কোলন চিড়িয়াখানায় দেড় কেজি ওজনের এই ভালুক ছানাটির জন্ম হয়৷ এটাও যেন ছিল কার্নিভালের উৎসবের মতোই আনন্দের৷ কারণ এর আগে কখনো এ চিড়িয়াখানায় এই বিশেষ দিনে কোনো প্রাণীর জন্ম হয়নি৷
ছবি: Kölner Zoo
তুমিই কি আমার ‘মা’?
মিউনিখ: লম্বা লেজওয়ালা ‘কাটা’ প্রজাতির মা বানর তার শিশুটিকে সাথে নিয়ে ‘হেলাব্রুন’-এর পশু পার্ক থেকে মিউনিখ শহরে এসেছে৷ এই প্রজাতি বানরের আসল বাড়ি কিন্তু মাদাগাস্কারে৷
ছবি: Münchener Tierpark Hellabrunn AG
বিদেশিদের সাথে যোগাযোগ
বার্লিন: পূর্ব আফ্রিকার এই জেব্রাদের অন্য পশুদের কাছাকাছি যেতে বা থাকতে কোনো ভয় নেই৷ যে কোনো জায়গাতেই ওরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে৷
ছবি: Zoo Berlin
খেলনা নয়, আসল ভাল্লুক
হামবুর্গ: হামবুর্গের হাগেনবেক চিড়িয়াখানার প্রধান আকর্ষণ এখন ইগোর আর ইভান৷ এরা দু’জনই জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পৃথিবীর আলো দেখেছে৷
ছবি: Lutz Schnier
8 ছবি1 | 8
বিজ্ঞানীদের যা চমকে দেয়, তা হল এই যে, দৃশ্যত চিতাদের তাদের শিকার, অর্থাৎ গ্যাজেল কিংবা ইম্পালা জাতীয় হরিণদের পিছনে দৌড়তে গিয়ে অপেক্ষাকৃত কম শক্তি খরচ করতে হয়৷ অথচ স্তন্যপায়ী জীবদের মধ্যে বিশ্বের দ্রুততম প্রাণী হল এই চিতাবাঘ: শূন্য থেকে ঘণ্টায় ষাট মাইল স্পিডে পৌঁছতে তাদের লাগে মাত্র তিন সেকেন্ড – যা কিনা প্রায় একটা উঁচুদরের ফেরারি গাড়ির মতোই! অবশ্য চিতারা এই গতি বেশিক্ষণ বজায় রাখতে পারে না, তাই তাদের এক দৌড়েই শিকার ধরতে হয়, দম ফুরিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত৷
গবেষকদের সংগৃহীত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে যে, চিতারা এ ভাবে শিকার ধরার জন্যই তৈরি৷ ও রকম দৌড়ের পর তাদের হাঁপ নিয়ে সুস্থ হতেও বেশি সময় লাগে না – অর্থাৎ তাদের জীবনধারার বিশেষ কোনো হেরফের হয় না৷ আরেকটি সাধারণ বিশ্বাস হল: যেহেতু সিংহ বা হায়েনার মতো জন্তুরা চিতাদের শিকার কেড়ে নেয়, সেহেতু চিতাদের শিকার ধরতে ও খাদ্য সংগ্রহ করতে বড় বেশি সময় ও শক্তি ব্যয় করতে হয়৷ বিজ্ঞানীদের তথ্য দেখাচ্ছে, এ বিশ্বাসও ভ্রান্ত৷
বস্তুত চিতাদের সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম হয় শিকারের খোঁজে হাঁটাহাঁটি করায় – কেননা মানুষের বসতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিতাদের হ্যাবিট্যাট বা বাসস্থানের ক্ষতি হয়েছে; উন্মুক্ত তৃণভূমি কমে এসেছে, পড়েছে কাঁটাতারের বেড়া; বেড়েছে মানুষের শিকার, যা কিনা আবার চিতারও শিকার৷ কাজেই চিতাদের সব মিলিয়ে দিনে ত্রিশ কিলোমিটার হাঁটতে হচ্ছে: গ্রীষ্মের গরমে জল ছাড়া বালিয়াড়ির উপর দিয়ে মাইলের পর মাইলের হাঁটা চিতাবাঘের পক্ষেও সুখকর অভিজ্ঞতা নয়৷
একশো বছরের মধ্যে আফ্রিকায় চিতার সংখ্যা এক লাখ থেকে কমে দশ হাজারে দাঁড়ানোর পিছনে হয়তো একটাই ব্যাখ্যা আছে: সেটা হল মানুষ৷
এসি/এসবি (রয়টার্স)
বুদ্ধিমান প্রাণী
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা ঈশপের গল্পে কাকের কৃতিত্ব প্রমাণ করে ছেড়েছেন৷ আরো অনেক প্রাণী আছে যাদের বুদ্ধিমত্তা আপনাকে অবাক করতে বাধ্য৷ এমন কিছু প্রাণীরই কৃতিত্বের প্রমাণ মিলবে এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সাক্ষী তোতা
আফ্রিকায় অ্যালেক্স নামের এক প্রজাতির তোতা পাখি আছে, যারা ৫০ ধরনের আকার এবং ছয় পর্যন্ত সংখ্যা গুনতে পারে৷ এমনই এক তোতার মৃত্যুর আগের রাতে তার মনিব বলেছিল, ‘‘আমি তোকে ভালোবাসি’’৷ তোতার জবাব ছিল, ‘‘আমিও’’৷ আর ভারতের আগ্রায় সাংবাদিকের স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর কিনারা করে সবাইকে বিস্মিত করে দিয়েছিল যে তোতা তার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে!
ছবি: picture-alliance/dpa
বুদ্ধিমান ডলফিন
সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে ডলফিন বা শুশুকদের সবচেয়ে বুদ্ধিমান মনে করা হয়৷ এরা বেশ সামাজিক, কেননা শিষ দিয়ে তারা একে অপরের সাথে ভাব বিনিময় করে৷ এরা দীর্ঘদিন নিজের সন্তানের সাথে সাথে থাকে এবং তাদের জরুরি কাজ শেখায়৷
ছবি: Fotolia/davidpitu
প্রভুভক্ত প্রাণী
প্রাণীদের মধ্যে মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু বলা হয় কুকুরকে৷ কুকুরকে ভালোমত প্রশিক্ষণ দেয়া হলে তারা ইশারা মেনে সব কায়দা রপ্ত করতে পারে৷ প্রভুর ভালো-মন্দ বোঝার ক্ষমতাও রয়েছে এই প্রাণীর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ধীর কিন্তু বুদ্ধিমান
গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের এই কচ্ছপের চলন দেখে অনেকেই বিরক্ত হতে পারে৷ কিন্তু এরা ভীষণ চালাক৷ এরা মানুষের কণ্ঠস্বর শুনে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তা মনে রাখতে পারে৷ তবে দুঃখের বিষয় এই প্রাণী দিন দিন বিলুপ্ত হতে চলেছে৷
ছবি: picture alliance/dpa
শিল্পী মন
ঘোড়া এমন একটি প্রাণী যাদের চিন্তা-ভাবনাতেও ভিন্নতা রয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘোড়া মুখে তুলি নিয়ে এমন সব ছবি এঁকেছে, যা বিস্মিত করেছে বিশ্ববাসীকে৷ ভেনিস ও রোমের আর্ট গ্যালারিতে ঐ ঘোড়ার আঁকা ছবিগুলোর প্রদর্শনী হয়েছিল৷
ছবি: Fotolia/dozornaya
প্রখর স্মৃতিশক্তি
কুকুরের মতো বিড়ালকেও প্রশিক্ষণ দিলে অনেক খেলা শেখানো যায়৷ ওরা অনেক কিছুই দেখে দেখে শিখতে পারে৷ আর এদের স্মৃতিশক্তিও প্রখর৷
ছবি: picture-alliance/Zoonar
কাকের কৃতিত্ব
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কাকেদের কয়েকটি প্রজাতি নাকি খুবই বুদ্ধিমান৷ তাদের ঠোঁটে করে পাথর তুলে একটি টিউবে ফেলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ প্রশিক্ষণের পর তাদের সামনে কয়েকটি টিউব রাখা হয়৷ তার কয়েকটির মধ্যে পানি, বাকিগুলির মধ্যে বালু ছিল৷ দেখা গেল, কাকেরা বেছে বেছে জলভরা টিউবেই পাথর ফেলছে৷
ছবি: dapd
বুদ্ধিমান শিম্পাঞ্জি
শিম্পাঞ্জি ভীষণ বুদ্ধিমান৷ আর হবে নাই বা কেন? মানুষের সাথে তাদের জীনগত বৈশিষ্ট্য ৯৮ ভাগ মিলে যায়৷ তাই অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে এই প্রাণী৷
ছবি: picture alliance/dpa
জ্যোতিষী পল
অক্টোপাস পলের কথা মনে আছে? ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে ভবিষ্যতবাদী করে যে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল৷ বিজ্ঞানীদের মতে, অক্টোপাসের কিছু প্রজাতির বুদ্ধিমত্তা মানব শিশুর সমান৷