নাইরোবির সাফারি পার্ক
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২![Niedersachsen/ Ein noch namenloses Steppenzebra-Fohlen steht am Mittwoch (23.11.11) im Steppengehege am Sambesi im Zoo in Hannover neben seiner Mutter, der Zebrastute Ela. Das Junge kam am 12. November 2011 mit etwa 30 Kilogramm Geburtsgewicht zu Welt. Die Steppenzebras teilen sich das Gehege mit Thomson-Gazellen, Impalas (Schwarzfersen-Antilopen) und der groessten Antilopenart der Welt, den Elenantilopen. Die Zebras erreichen ein Alter zwischen 30 und 35 Jahren. Seine Mutter erkennt das Zebra-Fohlen uebrigens an den individuellen Streifen. Foto: Joerg Sarbach/dapd](https://static.dw.com/image/15735024_800.webp)
শুধু যে পার্ক বা সংরক্ষণ কেন্দ্র তাই নয়, বড় শহর থেকে একটু দূরে গেলেই চোখে পড়ে অপার সুন্দর প্রকৃতি৷ আর সেখানেও আছে বন্ধুসুলভ প্রাণীর ছড়াছড়ি৷
মানব শিশুর চোখে চোখ রেখে কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আছে এক বয়স্ক জিরাফ৷ আরেকটি জিরাফ তার সুদীর্ঘ গলা প্রায় মাটির কাছে নামিয়ে এনে চুমু খাচ্ছে ছোট্ট কোনো শিশুর হাতে৷ অন্য একটি জিরাফ তার ভেজা ভেজা জিব দিয়ে চেটে দিচ্ছে অন্য আরেক শিশুর হাত৷ আর তাদের বাবা-মায়েরা আনন্দের সাথে ক্যামেরায় বন্দি করছে সেসব ছবি৷
না, এমন দৃশ্য বাংলাদেশে নেই৷ কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আছে৷ নাইরোবিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পার্ক, সাফারি পার্ক, প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র আর অভয়ারণ্যগুলিতে এমন দৃশ্য চোখে পড়বে রাশি রাশি৷
দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ, যারা আফ্রিকান এই দেশে বেড়াতে আসে, তারা অন্তত একটি বারের জন্য হলেও ঘুরে যায় এসব পার্কের দু'একটিতে৷ বিশেষ করে এই পার্কগুলো শিশুদের জন্য ভীষণ আনন্দের৷
হাতি, জিরাফ, গন্ডার, হরিণ থেকে শুরু করে নানা জাতের প্রাণী আছে পার্ক আর সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে৷ কোনো পার্কে আপনি হয়তো ঘুরতে পারবেন সারাদিন, কোথাও আবার দিনে মোটে একঘন্টা খোলা৷
শুধু পার্ক বা অভয়ারণ্য যে আছে সে দেশে তা কিন্তু নয়৷ শুনলে হয়তো একটু অবাক হবেন এতিম হয়ে যাওয়া বন্য প্রাণীদের লালন-পালনের জন্যেও সে দেশে আছে একধরণের এতিমখানা৷ ধরুন যে বাচ্চা হাতিটার মা মারা গেছে, বা যে জিরাফটার মা-কে মেরে ফেলেছে শিকারীর দল সে বাচ্চাটার কী হবে এখন? তাকে পেলে-পুষে বড় করার জন্যও ব্যবস্থা আছে এই এতিমখানায়৷
ধরেন, আপনি নাইরোবি থেকে একটু দূরের শহর নাইভাসাতে গেলেন৷ সেখানে হয়তো আপনি রাত কাটালেন বনের ভেতর কাঠের তৈরি ছোট্ট কোনো ঘরে৷ কিংবা তাঁবু খাটিয়ে আপনি নিচ্ছেন রোমাঞ্চকর বুনো রাতের স্বাদ৷ তো, সেখানে আপনাকে সঙ্গ দেবে পালে পালে বানর, বেবুন আর হরিণ জাতীয় প্রাণী৷
আর ঘর বা তাঁবু থেকে বেরিয়ে আপনি যদি একটু হাঁটতে বেরোন কিংবা সাইকেলে চেপে ঘুরে আসেন ইতিউতি - তো দেখবেন পাহাড় ঘেরা সেই এলাকায় সামনেই রয়েছে কী সুন্দর ছোট্ট এক হ্রদ৷ সেই হ্রদে গোলাপি পালক মেলে পদ্ম ফুলের মতো ফুটে আছে অজস্র কানঠুটি পাখি৷
প্রাণীদের অদ্ভুত সঙ্গ, নীল হ্রদ, গোলাপি পাখির ডানা আর দূরের পাহাড় সব দেখে ছেলে-বুড়ো সবাই যেনো বিমুঢ় হয়ে যায়৷
প্রতিবেদন: আফরোজা সোমা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারুক