ভারতীয় বিমান ধরতে এসে বিস্ফোরণের মুখোমুখি হয়েছিলেন ১৬০ জন আফগান শিখ এবং হিন্দু। কোনো মতে প্রাণে বেঁচেছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
কোনো মতে প্রাণে বাঁচলেন আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসতে চাওয়া ১৬০ জন শিখ এবং হিন্দু। ভারতীয় বিমান ধরার জন্য বুধবার থেকে বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। তারা যেখানে দাঁড়িয়েছিলেন, ঠিক সেখানেই বিস্ফোরণ হয়েছে। দিল্লির গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রেসিডেন্ট মনজিনদার সিং সিরসা সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণের সামান্য আগে তাদের ওখান থেকে সামান্য দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর পেয়েছেন তিনি। পরে আটকে যাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে তার কথাও হয়েছে। তারা বিমানবন্দরের অদূরে একটি গুরুদ্বারে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে তাদের ভারতে আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি টুইটও করেছেন সিরসা।
গত এক সপ্তাহে একাধিক আফগান শিখ এবং হিন্দুকে ভারতে উড়িয়ে এনেছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমান। আফগানিস্তানে কর্মরত ভারতীয় ছাড়াও ভারতের সঙ্গে কর্মরত আফগানদেরও আসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এসেছেন বেশ কিছু আফগান প্রশাসনের কর্মকর্তা। তবে ভারত সরকার গোড়াতেই জানিয়ে দিয়েছিল, উদ্ধারের ক্ষেত্রে আফগান সংখ্যালঘুদের গুরুত্ব দেওয়া হবে বেশি। অর্থাৎ, হিন্দু এবং শিখদের। ইতিমধ্যেই বহু আফগান শিখ ভারতে এসেছেন। শিখ ধর্মগ্রন্থ মাথায় করে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেছেন তারা। তবে এখনো বহু শিখ এবং হিন্দুর আসা বাকি বলে জানিয়েছেন সিরসা। আফগান গুরুদ্বার কমিটির সঙ্গে তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানিয়েছেন। সেই সূত্রেই ১৬০ জন শিখ এবং হিন্দু শরণার্থীর কথা জানতে পেরেছেন তিনি। এর মধ্যে ১৪৫ জন শিখ এবং ১৫ জন হিন্দু আছেন।
ইসলামিক স্টেট খোরাসান কারা?
কাবুল বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট খোরাসান। তালেবানের সঙ্গে এই গোষ্ঠীর বিরোধ কোথায়?
ছবি: Xinhua/imago images
ভয়াবহ কাবুল বিস্ফোরণ
বৃহস্পতিবার জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুল বিমানবন্দর। অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। ইসলামিক স্টেট খোরাসান গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
ছবি: REUTERS
সতর্কতা জারি হয়েছিল
মার্কিন সেনা এবং যুক্তরাজ্যের সেনা আগেই ইসলামিক স্টেট খোরাসান নিয়ে সতর্কতা জারি করেছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে এই গোষ্ঠী ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধি করছে। তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র আছে। যে কোনো সময় তারা হামলা চালাতে পারে।
ছবি: REUTERS
মৃত্যু হয়েছে তালেবানের
বিস্ফোরণে বেশ কিছু তালেবানেরও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ইসলামিক স্টেট খোরাসানকে রুখতে তারা বিমানবন্দরের বাইরে চেকপোস্ট তৈরি করেছিল।
ছবি: Konstantinos Kololokouris
কেন খোরাসান
আইএসআইএস জঙ্গিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ইসলামিক স্টেট খোরাসান। মধ্যযুগে আফগানিস্তান, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে খোরাসান প্রদেশ বলা হতো। সেখান থেকেই খোরাসান শব্দটি নিয়েছে এই গোষ্ঠীটি।
ছবি: picture-alliance/dpa/TTP
তালেবান সমঝোতার রাস্তায়
ইসলামিক স্টেটের এই গোষ্ঠীটি মনে করে, অ্যামেরিকার সঙ্গে আলোচনা করে তালেবান সমঝোতার রাস্তায় চলে গেছে। সে কারণে তালেবানকে পছন্দ করে না এই গোষ্ঠী।
তালেবান আফগানিস্তান দখল করার পর তাদের সঙ্গে আইএস খোরাসানের একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। বেশ কিছু খোরাসান জঙ্গি তালেবানের হাতে মারা গেছে। তারাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
ছবি: Rahmat Gul/AP/picture alliance
বিশ্বাসের বিভেদ
তালেবান ইসলামের দেওবন্দি মতে বিশ্বাসী। ইসলামিক স্টেট বিশ্বাস করে ইসলামের সালাফি আন্দোলনে। ফলে গোড়া থেকেই এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মতপার্থক্য আছে।
ছবি: AFP/B. Kilic
কে কী চায়
তালেবান দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানকে ইসলামিক আমিরাত বানানোর লক্ষ্যে লড়াই চালাচ্ছিল। আইএস চায় গোটা মধ্য এশিয়া। বস্তুত, তালেবান আফগানিস্তান দখলের পর বহু ইসলামি গোষ্ঠী উল্লাস প্রকাশ করলেও আইএস তা করেনি।
ছবি: Sefa Karacan/AA/picture alliance
কাবুলে ইসলামিক খোরাসান
মার্কিন গোয়েন্দাদের বক্তব্য, শুধু কাবুলে এই মুহূর্তে অন্তত দেড় হাজার আইএস-কে যোদ্ধা আছে। তারা ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধি করছে। সিরিয়া, ইরাক থেকেও যোদ্ধাদের নিয়ে আসা হচ্ছে।
ছবি: AFP/Getty Images
মোট যোদ্ধার সংখ্যা
জাতিসংঘের একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, সব মিলিয়ে হাজার দশেক ইসলামিক স্টেট খোরাসানের যোদ্ধা আছে। দ্রুত তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে।
ছবি: Wakil Kohsar/AFP/Getty Images
জিহাদই একমাত্র রাস্তা
ইসলামিক স্টেট খোরাসান মনে করে, জিহাদের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে হবে। অমুসলিমদের সঙ্গে সমঝোতা নয়, তাদের শাস্তি দিতে হবে।
ছবি: Xinhua/imago images
11 ছবি1 | 11
কাবুল বিমানবন্দরে এখন দিনে দুইটি ভারতীয় বিমান নামতে পারছে। কিন্তু বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি বদলাতে পারে বলে মনে করছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিমানবন্দরের সুরক্ষা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। ফলে আটকে পড়া শরণার্থীদের কীভাবে উদ্ধার করা হবে, তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আফগানিস্তানকে ঘিরে চীন, পাকিস্তান, ভারতের নতুন ‘লড়াই’
লড়াইটা বেশি চলছে পর্দার আড়ালে৷ এ লড়াইয়ে পাকিস্তান আর চীন এ মুহূর্তে অনেক সুবিধাজনক অবস্থায়৷ তবে তালেবান ফিরে আসায় দুর্ভাবনায় পড়লেও ভারতও হাল ছাড়ছে না৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
ছবি: Hoshang Hashimi/AFP
তালেবান-পাকিস্তান সম্পর্ক
তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের সম্পর্ক সবসময়ই বেশ ভালো৷ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তালেবানকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে বহুবার৷ গনি সরকারবিরোধী যুদ্ধে তালেবানকে সহায়তার অভিযোগও আছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে৷ পাকিস্তান অবশ্য সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ ওপরের ছবিতে পাকিস্তানের খাইবার জেলার আফগানিস্তান সংলগ্ন তোরখাম সীমান্তে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে পাহাড়া দিচ্ছে তালেবান ও পাকিস্তানের সেনারা৷
তালেবান প্রায় পুরো আফগানিস্তানের দখল নেয়ায় পাকিস্তানে নানা পর্যায় থেকে ব্যাপকভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা হয়েছে৷ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তালেবানের আগমনে আফগানিস্তান ‘দাসত্বের শৃঙ্খলমুক্ত হলো’৷
ছবি: Saiyna Bashir/REUTERS
পাকিস্তানে উচ্ছ্বাসের কারণ
নিউইয়র্কের ইথাকা কলেজের শিক্ষক রাজা আহমেদ রুমি বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং টেলিভিশনে যে উল্লাস দেখা গেছে তার মূল কারণ আফগানিস্তানের ওপর ভারতের যে প্রভাব গড়ে উঠেছিল তা দূর হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়া৷’’ ১৯৪৭-এর পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তান যে নিজেদের মধ্যে তিনবার বড় যুদ্ধে জড়িয়েছে এবং সে কারণে পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে যে ভারতবিরোধী মনোভাব কাজ করে তা-ও মনে করিয়ে দেন তিনি৷
ছবি: Rahmat Gul/AP/picture alliance
সম্পর্ক আরো ভালো করার চেষ্টা
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তালেবানের সরকারের রূপরেখা তৈরির কাজে অংশ নিচ্ছেন পাকিস্তানের কয়েকজন কর্মকর্তা৷ এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, পাকিস্তান চায় আফগানিস্তানে অংশগ্রহণমূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক৷ তবে এ ক্ষেত্রে আফগান নাগরিকদেরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা উচিত বলে মনে করেন তিনি৷
ছবি: AFP via Getty Images
‘সময়মতো’ এগিয়ে এসেছে চীন
চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের৷ অন্যদিকে ভারত-চীনের বৈরিতাও চলছে দীর্ঘদিন ধরে৷ ফলে তালেবানের আগমনে সেখানে ভারতের প্রভাব কমবে বলে চীনও খুশি৷ চীন বলছে, তালেবানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো রাখা জরুরি, কারণ, তালেবান শিনজিয়াং অঞ্চলকে ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম) জঙ্গি সংগঠনের প্রভাবমুক্ত রাখার কাজে সহায়তা করতে পারবে৷
ছবি: Li Xueren/Xinhua News Agency/picture alliance
তালেবান প্রশ্নে চীন-ভারতের মিল!
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, তালেবানের সার্বিক ক্ষমতাবৃদ্ধির প্রশ্নে চীন আর পাকিস্তানের অবস্থান বাস্তবে এক নয়৷ সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ-এর অধ্যাপক ঝ্যাং লি-ওর মতে, ‘‘পাকিস্তান যেমন আফগানিস্তানকে ভারতবিরোধী অবস্থানে দেখতে চাইবে, চীনের বেলায় এমন দৃষ্টিভঙ্গি অত্যাবশ্যক নয়৷ চীন সবার আগে চায় শিনজিয়াং অঞ্চলে কোনোভাবেই যাতে সন্ত্রাসবাদ বিস্তার লাভ না করে৷’’
ছবি: Reuters
চীনের ‘অস্বস্তি’
চীনের বিরুদ্ধে রয়েছে মুসলিম নিপীড়ন, বিশেষ করে উইগুরদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালানোর সুদীর্ঘ অভিযোগ৷ বেইজিং এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে সব সময়৷তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হলেও এ বিষয়টি দু পক্ষের মধ্যে অস্বস্তি হয়ে থাকবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা৷
ছবি: Emrah Gurel/AP Photo/picture alliance
চীনের কাছে তালেবানের প্রত্যাশা
দিল্লির সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের স্ট্র্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর অধ্যাপক ব্রহ্মা চেলানি মনে করেন, আফগানিস্তানে নিজেদের দখল প্রতিষ্ঠার পর থেকে দু ধরনের সহায়তা জরুরি ভিত্তিতে চাইছে তালেবান৷ এক, তালেবান সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে কূটনৈতিক সহায়তা, দুই, অবকাঠামো নির্মাণ এবং সার্বিক অবস্থার উন্নয়নে অর্থনৈতিক সহায়তা৷ অধ্যাপক ব্রহ্মার মতে, চীন দুই ধরনের সহায়তা দিতেই এখন পুরোপুরি প্রস্তুত৷
ছবি: Hoshang Hashimi/AFP
সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা এবং ভারতের আশঙ্কা
ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানে ঢুকে হত্যা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী৷ ১৯৯৯ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয় আফগানিস্তানের কান্দাহারে৷ পাকিস্তানি তিন জঙ্গিকে জেল থেকে মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে বিমানের যাত্রীদের ফেরত পেয়েছিল ভারত৷ অন্যদিকে বিমান ছিনতাইকারীদের নিরাপদে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল তালেবান৷ আবার যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে চায় ভারত৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ভারতের আরেক আশঙ্কা
গত ২০ বছর আশরাফ গনি সরকারের পাশে ছিল ভারত৷ এ সময়ে আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশেই উন্নয়নমূলক নানা ধরনের প্রকল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে দেশটি৷ কাবুলে জাতীয় সংসদ ভবনও তৈরি হয়েছে ভারতের অর্থায়নে৷ মোদী সরকারের আশঙ্কা, তালেবান ক্ষমতায় আসায় সমস্ত বিনিয়োগ ‘ভেস্তে’ যেতে পারে৷
ছবি: courtesy PIB, Gov. of India
ভারতের কৌশলগত ভুল
যুক্তরাষ্ট্র যখন তালেবানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে, তখনো ভারত পুরোপুরি এবং শুধুই আশরাফ গনি সরকারের পাশে থেকে কৌশলগত ভুল করেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন৷ তাদের মতে, তালেবান একে একে আফগানিস্তানের সব রাজ্য দখলে নিতে শুরু করার পরও যে ভারত তালেবানবিরোধী বক্তব্যে অটল ছিল কূটনৈতিকভাবে তা-ও এখন ভুল প্রমাণিত৷
ছবি: courtesy PIB, Gov. of India
চীন, পাকিস্তান সুবিধাজনক অবস্থানে, তবু আশাবাদী ভারত
তালেবান ফেরায় আফগানিস্তানে পাকিস্তান এবং চীনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা স্পষ্টতই উন্মুক্ত৷ তবে ভারত একটু দেরিতে হলেও পরিস্থিতি বুঝে কৌশল পরিবর্তন করেছে৷ কাবুলে এক সময় ভারতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা জয়ন্ত প্রসাদ মনে করেন, ভারত এখন সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ‘লং গেম’ খেলবে, অর্থাৎ লম্বা সময় নিয়ে চেষ্টা করবে এবং তাতে তালেবানের সঙ্গে একটা সমঝোতার সম্পর্ক গড়া হয়ত সম্ভবও হবে৷