ধর্ম-ক্লাসের পরিবর্তে নীতিতত্ত্ব ক্লাস: প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের এই অধিকার নেই৷ জার্মানির ফেডারেল প্রশাসনিক আদালতের এক রায়ে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে৷ অবশ্য ইতোমধ্যে কয়েকটি রাজ্য ধর্মের বিকল্প ক্লাস চালু করেছে৷
বিজ্ঞাপন
মানুষের কি পশুপাখি খাওয়া উচিত? কোনো নিকট আত্মীয় মারা গেলে কী করা উচিত? ন্যায়বিচারের মানে কী? বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গ রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে এই ধরনের দার্শনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় না৷
ধর্মক্লাসের বিকল্প চাই
তিন ছেলের মা আনা ইগনাটিউস বিষয়টি অনুচিত বলে মনে করেন৷ তাঁর সন্তানরা কোনো ধর্মের অনুসারী নয়৷ কিন্তু তাই বলে তারা নৈতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে, এটা মানা যায় না৷ তাই এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন তিনি৷
সব দেশেই শিক্ষার ধরণ আলাদা
বিশ্বের প্রায় সব দেশেই শিক্ষকরা চক দিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডে লেখেন – এ দৃশ্য তাই সবারই জানা৷ কিন্তু তারপরও দেশ ভেদে এর পার্থক্য রয়েছে, বিশেষকরে আজকের এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে৷
ছবি: Getty Images
সব স্কুল কি এক রকম?
সারা বিশ্বের ছাত্ররা একইভাবে পড়ালেখা শেখে? না, তবে প্রায় সব দেশেই শিক্ষকরা চক দিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডে লেখেন – এ দৃশ্য তাই সবারই জানা৷ কিন্তু তারপরও দেশ ভেদে এর পার্থক্য রয়েছে৷ কোনো দেশে ছাত্র-ছাত্রীরা খোলা আকাশের নীচে মাটিতে পা মুড়ে বসে লেখাপড়া করে, কোথাও আবার স্কুল বেঞ্চে বসে৷ আবার কোনো কোনো দেশের ছাত্রদের রয়েছে নিজস্ব ল্যাপটপ৷
ছবি: AP
ডিজিটাল স্কুলের বই
দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাল সিস্টেমে চলে৷ প্রতিটি ক্লাস রুমেই রয়েছে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট৷ সরকারের ইচ্ছে সব স্কুল বই পুরোপুরিই ই-বুকে রূপান্তরিত করার৷ ডিজিটাল সিস্টেমে লেখাপড়া করতে কোনো ছেলে-মেয়ের যেন অসুবিধা না হয় এবং ডিজিটাল বইয়ের অভাবে যেন কারো লেখাপড়া বন্ধ না হয়, সেজন্য সরকার বিনা মূল্যে তাদের ট্যাবলেট এবং কম্পিউটার দিয়ে থাকে৷
ছবি: AP
গ্রামের স্কুলে যাওয়ার অসুবিধা
অন্যভাবেও পড়াশোনা চলতে পারে৷ কোনোরকমে ঝুলানো একটি ব্ল্যাকবোর্ড এবং কয়েকটি কাঠের বেঞ্চই আফ্রিকার ঘানার এই স্কুলটির জন্য যথেষ্ট৷ এই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত বিনা বেতনে লেখা পড়া করা যায়, যদিও কাগজে কলমে রয়েছে ক্লাস নাইন পর্যন্ত লেখপড়া বাধ্যতামূলক৷ পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি হওয়ায় গ্রামের ছাত্রদের অনেকেরই লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন হয়৷
ছবি: Fotolia/Living Legend
টাচপ্যাডের মাধ্যমে লেখা শেখা
তবে জার্মানির এই স্কুলটি ব্যতিক্রম৷ কাগজ, পেন্সিল ছাড়া ছাত্ররা পুরোপুরি স্মার্টবোর্ড এবং নেটবুকের মাধ্যমে লেখা শেখে৷ ডিজিটাল নেটওয়ার্কিং-এর ছাত্রদের যোগাযোগের কাজে সাহায্য করে এবং কর্মদক্ষতা বাড়ায়৷ জার্মানিতে এখনো দুই মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ লিখতে পড়তে পারেন না, যদিও পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে জার্মানির সবাই লেখাপড়া জানেন৷
ছবি: AP
শিল্পোন্নত দেশগুলোতে ছোটবেলা থেকেই সুবিধা
শিল্পোন্নত দেশ মানেই সে দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যদেশের চেয়ে লেখাপড়ায় অনেক বেশি এগিয়ে থাকা৷ এমনকি ছোট বাচ্চাদেরও সেভাবেই তৈরি করা হয়, যেমন অ্যামেরিকার এই স্কুলটিতে৷ শিল্পোন্নত দেশগুলোতে ছোটবেলার শিক্ষাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং ৭০ শতাংশ বাচ্চাই প্রাইমারি স্কুলে যাওয়ার আগে অনেককিছু শিখে ফেলে৷ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১০ জনের মধ্যে হয়ত তিনজন কিন্ডারগার্টেনে যাওয়ার সুযোগ পায়৷
ছবি: AP
যেখানে শিক্ষা অর্থের জন্য বাঁধাগ্রস্থ
কেনিয়াতে সব ছাত্রই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা বেতনে পড়তে পারে৷ তারপরও অনেকে তার আগেই স্কুল ছেড়ে দেয়৷ স্কুল ড্রেস, বই, খাতা, জুতো ইত্যাদি জোগাড় করা অনেক বাবা মায়ের জন্য কষ্টকর হয় দাঁড়ায়৷ সেখানে ছাত্রের সংখ্যা অনেক বেশি এবং পড়াশোনার মানও নিম্ন৷ যাঁদের সামর্থ রয়েছে সে রকম অনেক বাবা-মা তাঁদের বাচ্চাদের প্রাইভেট স্কুলে পাঠান৷
ছবি: DW/J.Bruck
স্কুল ড্রেস পরে লেখাপড়া
ইংল্যান্ডে স্কুল ড্রেস ছাড়া কেউ স্কুলে যায় না৷ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কুল ড্রেস পরা বাধ্যতামূলক৷ কারণ স্কুল ড্রেস যার যার স্কুলের পরিচয় বহন করে এবং পড়াশোনার প্রতি উৎসাহী করে৷ দরিদ্র পরিবাররের ছেলে-মেয়েরা স্কুল ড্রেসের জন্য স্কুল থেকে টাকা পেয়ে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb
খোলা আকাশের নীচে ক্লাসরুম
একটি পাবলিক পার্কে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে পাকিস্তানের একটি স্কুলে৷ গরিব বাবা-মায়েরা পয়সার অভাবে এমন স্কুলেই তাঁদের সন্তানদের পাঠিয়ে থাকেন৷ পাকিস্তানে শিক্ষা খাতে ব্যয় কমানো হয়েছে, কারণ সরকার শিক্ষার চেয়ে সামরিক খাতে বেশি খরচ করে৷ যা ছাত্ররাও বুঝতে পারছে৷
ছবি: AP
কমপক্ষে মৌলিক শিক্ষা থাকতে হবে
আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ ও নানা সমস্যার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত৷ বিশেষকরে মেয়েদের ক্ষেত্রে একথাটি বেশি প্রযোজ্য৷ প্রতি দশজনের একজন লিখতে পড়তে পারে সেখানে৷ তবে এ হার পুরুষদের ক্ষেত্রে শতকরা ৪০ জন৷ তাছাড়া স্কুলগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট স্কুলও নেই, অভাব রয়েছে শিক্ষক এবং শিক্ষার সরঞ্জামেরও৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মেয়েরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত
আফগানিস্তানের মতো প্রায় একই অবস্থা দক্ষিণ সুদানেও৷ এদেশেও মেয়েদের প্রতি পাঁচজনের একজন লিখতে ও পড়তে পারে৷ সেজন্যই বিদেশি সাহায্য সংস্থাগুলো সুদানের মেয়েদের শিক্ষার দিকে বিশেষ নজর দিয়ে থাকে৷ বহু বছরের গৃহযুদ্ধ সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ঘুণ ধরিয়ে দিয়েছে৷ অনেক স্কুলেই বই-খাতা এবং টেবিল-বেঞ্চও ঠিকমতো নেই৷
ছবি: dapd
কো-এডুকেশন পছন্দ নয়
কো-এডুকেশন? না, ইরানে সেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়৷ ছেলে এবং মেয়ে আলাদাভাবে পড়াশোনা করে ইরানে৷ এমন কি এই ইহুদি স্কুলেও ইসলামিক স্কুল ড্রেস পরা বাধ্যতামূলক৷ এখানে মেয়েরা যে ধর্মেরই হোক না কেন সবাইকেই চুল ঢেকে রাখতে হবে, অর্থাৎ হিজাব পরতে হবে৷
ছবি: AP
ধনী-গরিবের পার্থক্য
ব্রাজিলের গ্রামাঞ্চলের ছাত্রদের জন্য লেখাপড়া করা বেশ কঠিন৷ কারণ সেখানকার স্কুলগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই৷ যেমন মন্টে আলেগ্রের এই স্কুলটির মতো ৷ যদিও ব্রাজিল শিল্পোন্নত দেশগুলোর একটি, তারপরও এদেশে গরিব এবং ধনীদের মধ্যে অনেক পার্থক্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাংলাদেশের অবস্থা অনেকটা একই রকম
বাংলাদেশের গ্রামের স্কুল এবং রাজধানী ঢাকা শহরের স্কুলের মধ্যে বিশাল পার্থক্য৷ বড় শহরগুলোতে ছাত্ররা কম্পিউটার বা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে৷ আর গ্রামের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কম্পিউটার ব্যবহার করার ইচ্ছা – এখনো স্বপ্ন!
ছবি: Getty Images
13 ছবি1 | 13
কিন্তু লাইপসিশ শহরের ফেডারেল প্রশাসনিক কোর্টের রায়ে বলা হয়, প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত নীতিশাস্ত্র শিক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়নি৷ তাই এক্ষেত্রে আইনগত ভিত্তিও নেই৷
বিচারকরা মৌলিক আইনের একটি ধারা উল্লেখ করে জানান, সরকারি স্কুলে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক৷ এর বাইরে নীতিশাস্ত্র ও মূল্যবোধ শিক্ষার প্রয়োজন মনে করা হয়নি৷ বিচারকরা আরো বলেন, মৌলিক আইনে ধর্মীয় বিশ্বাসকে বিশেষভাবে সুরক্ষিত করা হয়েছে৷
আইনের সংস্কার প্রয়োজন
সমালোচকরা মনে করেন সনাতন এই আইনের সংস্কার প্রয়োজন৷ ‘‘সেকুলার বা ধর্মনিরেপক্ষ শিক্ষা জার্মানিতে অনেক বছর ধরেই ছায়াঢাকা হয়ে রয়েছে৷'' বলেন বার্লিনের দর্শনের প্রফেসর মার্কুস টিডেমান৷ দর্শন ছাড়া হাইস্কুল বা আবিট্যুর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার কথা পাশের দেশ ফ্রান্সে চিন্তাই করা যায় না৷ সেখানে রাষ্ট্র ও ধর্ম কঠোরভাবে পৃথক করা হয়েছে৷
বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গের শিক্ষা এবং বিজ্ঞান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ডোরো মরিটৎসও মনে করেন সনাতন পদ্ধতির ধর্মশিক্ষা যুগোপযোগী নয়৷ ‘‘আমাদের প্রয়োজন মূল্যবোধ শিক্ষা৷'' এছাড়া প্রাথমিক স্কুলের যে সব ছাত্রছাত্রী ধর্ম-ক্লাসে অংশ নেয় না, তাদের তত্ত্বাবধানের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কিছু অসুবিধাও দেখা দেয়৷ জানান ডোরো মরিটৎস৷
জার্মানির ১৬টি রাজ্যের মধ্যে নয়টি রাজ্য ধর্মক্লাসের বিকল্প ক্লাস চালু করেছে৷ এর মধ্যে পুবের পাঁচটি রাজ্যই রয়েছে৷ মেকলেনবুর্গ-ফোরপমার্ন রাজ্যে এই ক্লাসের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শিশুদের সাথে দর্শনশাস্ত্র'৷ ব্রান্ডেনবুর্গে এই ক্লাসকে বলা হয় ‘জীবনচর্চা, নীতি এবং ধর্মশাস্ত্র'৷ ক্যাথলিক অধ্যুষিত বাভেরিয়ায় এই ক্লাসের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নীতিশাস্ত্র'৷
শিক্ষা রাজ্য সরকারের অধীনে
জার্মানিতে শিক্ষার্থীরা যেভাবে বসবাস করেন
এর আগে কখনো প্রথম সেমিস্টারে এত ছাত্র দেখা যায়নি৷ ক্লাসে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি থাকার জায়গাও তো চাই? থাকার জায়গা পাওয়া কিন্তু মোটেই সহজ ব্যাপার নয়৷ এই ছবিঘরের মধ্য দিয়ে জানা যাক কে কোথায় জায়গা পায়৷
ছবি: DW/V. Wüst
অনিশ্চয়তা
নতুন সেমিস্টার শুরু হয়েছে, কিন্তু হোস্টেলগুলোতে জায়গা নেই৷ এখন শিক্ষার্থীরা কি করবে? মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই তো চাই! একটা ব্যবস্থা তো করতেই হবে! মিউনিখ এবং ফ্রাংকফুর্ট সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর৷ বাভারিয়া রাজ্য একটি ঘর ভাড়া গড়ে ৪৯৩ ইউরো আর ফ্রাংকফুর্টে ৪২১ ইউরো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মায়ের কাছে থাকা
শতকরা ২৭ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনার সময় মায়ের কাছেই থাকে৷ এতে করে শুধু যে খরচ কম হয় তা নয়, মায়ের কাছে থাকার আরামই আলাদা৷ কাপড়চোপড় সবসময় ধোঁয়া থাকে আর ফ্রিজ থাকে ভর্তি, অর্থাৎ খাওয়া-দাওয়ার চিন্তা নেই৷ তাছাড়া সন্তান যত বড়ই হোক না কেন বাবা-মায়ের কাছে তারা সবসময়ই আদরের৷
ছবি: Fotolia/Jeanette Dietl
জরুরি অবস্থায় জিমে থাকা
প্রথম সেমিস্টারে প্রায় সমস্যা হয় বড় শহরগুলোতে, বিশেষ করে মিউনিখ, কোলোন বা ফ্রাংকফুর্টে৷ এত ভাড়া দিয়ে অনেকের পক্ষেই বাসা নেওয়া সম্ভব হয় না, তাই অনেক সময় ক্যাম্পাসের জিমে একটি ম্যাট্রেস পেতেই রাতে ঘুমোতে হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
হোস্টেলে জায়গা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার!
শতকরা মাত্র ১২ জন ছাত্র হোস্টেলে জায়গা পেয়ে থাকে৷ বেশিরভাগ সময় সেখানে দুই তিনজনকে একসাথে থাকতে হয়৷ কোলোনের একটি ছাত্রদের হোস্টেলের ভাড়া ২৩০ ইউরো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
থাকার জন্য কন্টেনার
৮০’র দশক থেকেই অনেক ছাত্র কন্টেনার-এ থাকা শুরু করে৷ কন্টেনার ঘরগুলো খুবই ছোট ছোট৷
ছবি: Manfred Kovatsch
নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে থাকা
কোনো কোনো মালিক তাঁদের ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল বা স্কুলের ঘরগুলো একেবারে খালি রাখতে চান না৷ তাই অনেক সময় ছাত্রদের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে সেখানে থাকতে দেন৷ তবে সেখানে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়৷ যেমন ধূমপান করা, কুকুর-বেড়াল পোষা বা কোনো ধরনের পার্টি করার অনুমতি থাকেনা সেখানে৷
ছবি: DW/L.Heller
বিদায় বাড়ি !
তবে সব শিক্ষার্থী কিন্তু বাবা-মায়ের সাথে থাকতে পারেনা কারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রায়ই থাকে বাড়ি থেকে অনেক দূরে৷ অর্থাৎ মায়ের হোটেল থেকে এবার বিদায়ের পালা!
ছবি: DW/V. Wüst
7 ছবি1 | 7
জার্মানিতে শিক্ষাবিভাগ রাজ্য সরকারগুলির অধীনে৷ এ কারণে রাজ্যগুলি নিজেরাই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷ বার্লিন এক্ষেত্রে এক বিশেষ বিধিনিয়ম চালু করেছে৷ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য নীতিশাস্ত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ অতিরিক্ত বিষয় হিসাবে কেউ স্বেচ্ছায় ধর্মতত্ত্ব নিতে পারে৷
নীতিবিদ্যার প্রফেসর মার্কুস টিডেমান একে এক দিক নির্দেশক পথ বলে মনে করেন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘বিভিন্ন সংস্কৃতি থেকে আসা বাচ্চারা যাতে একসাথে ন্যায়নীতি ও সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে ও আলোচনা করতে পারে, সেই রকম ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়৷ তাদের আলাদা করে রাখাটা ঠিক নয়৷''
এছাড়া জার্মান বাচ্চাদেরও ব্যাপটাইজ করানোর প্রবণতা কমে আসছে৷ আর এ জন্য মা-বাবারা ধর্মের বিকল্প কোনো বিষয় খোঁজেন৷
ক্যাথলিক গির্জা স্বাগত জানায়
ক্যাথলিক গির্জার পক্ষ থেকে জানানো হয়, যারা কোনো কারণে ধর্ম বিষয়ক ক্লাসে অংশ নিতে পারছে না, তাদের জন্য নীতিশাস্ত্র চালু করাকে স্বাগত জানায় তারা৷ তবে এটা বাধ্যতামূলক করার পক্ষপাতী নয় ক্যাথলিক গির্জা৷ এ বিষয়ে আদালতের রায় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি গির্জা কর্তৃপক্ষ৷
অন্যদিকে আনা ইগনাটিউস আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে কার্লসরুয়ে-র সাংবিধানিক আদালতে আপিল করবেন৷ ২০১০ সাল থেকে এই ব্যাপারে অনবরত চেষ্টা করে আসছেন তিনি৷ মামলায় তিনবার হেরে গেলেও হাল ছাড়ার মানুষ নন দর্শনে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী এই নারী৷