1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভাষা শিক্ষায় বিশেষ সহায়তা

আলোইস ব্যাগার / আরবি১২ জুলাই ২০১৩

বনের এরিশ কেস্টনার স্কুলে ক্লাস থ্রির ১২টি দেশের ২৩ জন ছাত্রছাত্রীকে পড়ান গাব্রিয়েলা শেফার৷ এমরের মতো কারুর কারুর রয়েছে কয়েকটি ‘দেশ’৷ সে জানায়, ‘‘আমার বাবা এসেছেন ইরান থেকে৷ বাসায় আমরা ফার্সি ভাষায় কথা বলি৷’’

Fotos der Erich-Kästner-Schule in Bonn, aufgenommen am 5.6.13 von Alois Berger Lehrerin Gabriala Schäfer mit Schülern Copyright: DW/A. Berger ***NUR ZUR EINMALIGEN VERWENDUNG FÜR DIE REPORTAGE VON HERRN BERGER***
ছবি: DW/A. Berger

এমরে বেশ গর্বিত যে সে জার্মান ভাষার পাশাপাশি অনর্গল ফার্সি বলতে পারে৷ হ্যাঁ, জার্মান ভাষা শিখতে তেমন অসুবিধা হয়নি এমরের৷ যদিও প্রথম দিকে তাকেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে৷

এমরে, পাউলিনে, আলি এবং লেওর মতো নানা দেশ ও জাতির ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা করে এরিশ কেস্টনার স্কুলে৷ কিন্তু এ নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা দেখা দেয় না সেখানে৷ স্কুলটি শহরের এমন এক অংশে অবস্থিত, যেখানে সামাজিক ভাতার ওপর নির্ভরশীল মানুষের বসবাস বেশি৷ কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে রয়েছে এক রঙিন মিশ্রণ৷

বিশেষ করে বিদেশি বাচ্চাদের মধ্যে অনেকেই ডাক্তার, প্রফেসর বা পদস্থ ব্যক্তির সন্তান৷ স্কুলে গেলে লক্ষ্য করা যায়, একই দেশ থেকে এলেও বাচ্চারা পরস্পরের সঙ্গে তাদের মাতৃভাষায় কথাবার্তা বলছে না৷ অবশ্য টিফিনের সময় অনেক সময় ভিনদেশি ভাষায় কথাবার্তা বলে ছেলে-মেয়েরা৷ বিশেষ করে ‘গোপন' কোনো বিষয় থাকলে৷

আলাদা কোচিং-এর ব্যবস্থা

ভাষার কারণে যে সব বিদেশি বংশোদ্ভূত বাচ্চা ক্লাসের পড়া ঠিকমতো বুঝতে পারে না, তাদের জার্মান ভাষা শেখার জন্য বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে এরিশ কেস্টনার স্কুলে৷ যেখানে এই ধরনের প্রতিটি বাচ্চার জন্য আলাদা আলাদা কোচিং দেওয়া হয়৷ অভিবাসী শিশুদের জন্য দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে জার্মান পড়ানোর ব্যবস্থা প্রায় সব স্কুলেই রয়েছে৷ কিন্তু এরিশ কেস্টনার স্কুলের, বিশেষ করে জার্মান অভিভাবকরা মনে করেন, এই ব্যবস্থা যথেষ্ট ছিল না৷

আর তাই তো, ছেলে-মেয়েরা যেন শিক্ষায় সবচেয়ে ভালো সহায়তা পায়, সেজন্য অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তারা৷ এই লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয় একটি সমিতি৷ যেটি স্কুল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় অর্থায়নের দিকটি দেখাশোনা করছে৷ অনেক বাবা-মা সমিতিতে মোটা অঙ্কের অর্থ দান করে থাকেন৷

এই সব অভিভাবক বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার ব্যাপারে চিন্তিত, নাকি সহপাঠীদের ভাষা সমস্যার কারণে সন্তানদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে শংকিত, তা নিয়ে মাথা ঘামান না শিক্ষিকা গাব্রিয়েলা শেফার৷ অল্প অর্থের বিনিময়ে ভাষার দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের যে সাহায্য করা যাচ্ছে, এটাই তাঁর কাছে বড় কথা৷

জাতীয়তা নিয়ে মাথা ঘামানো হয় না

গাব্রিয়েলা শেফারের ক্লাস থ্রি-তে বাচ্চাদের জাতীয়তা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না৷ যেমন শাংহাই থেকে আসা ভিক্টরকেও আলাদা করে চোখে পড়ে না৷ মাত্র দু'বছর আগে জার্মানিতে এসেছে সে৷ জার্মান ভাষা একটুও জানতো না৷ কিন্তু এখন বেশ ভালোই পারে৷ তাই এমরে ও অন্য আরো কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে সাধারণ ক্লাসের পর বইয়ে ভর্তি পাশের ছোট ক্লাসরুমটিতে নিয়মিত যেতে হয় তাকে৷ ভাষা শিক্ষক মার্কুস ভল্ফ এই সব বাচ্চাদের নিয়ে জার্মান ভাষা চর্চা করেন৷ ‘‘আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে মিলে প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাঠ্যক্রম তৈরি করেছি৷ কেননা একেক জনের চাহিদা একেক রকমের৷'' জানান এই শিক্ষাবিদ৷

ভিক্টর, লেও, আলির মতো অনেক বাচ্চাই জার্মানের পাশাপাশি দ্বিতীয় আরেকটা ভাষা জানে বলে বেশ গর্বিত৷ তাদের এই দক্ষতা মাঝে মাঝে ক্লাসে কাজেও লেগে যায়৷ ‘‘কোনো শব্দের ইংরেজি না জানা থাকলে লেওর কাছে সাহায্য পাওয়া যায়৷'' জানায় রাবেয়া৷ আর জার্মানির এলা বলে, ‘‘তারা নিজেদের ভাষায় কী যেন বলে, চীনা ভাষায় হাতের তালুতে লেখে৷ সত্যি কী সুন্দর্য''!

বনের এরিক ক্যাস্টনার স্কুলছবি: DW/A. Berger

ঠিক পথেই এগুচ্ছে স্কুলটি

জার্মান ছাত্রছাত্রীদের হাবভাব দেখেই বোঝা যায় যে, এরিক ক্যাস্টনার স্কুল সঠিক পথেই এগুচ্ছে৷ জানান ক্লাস টিচার গাব্রিয়েলা শেফার৷ তাঁর কথায়, বাচ্চারা ‘‘অন্যান্য দেশের ছেলে-মেয়েদের স্বাভাবিক বলেই মনে করে৷ তাদেরকে সাহায্য করতে পেরে খুশিও হয়৷'' ভিক্টর, এমরে ও লেও তাদের পূর্ব পুরুষের দেশ ও পরিবার সম্পর্কে গল্পগুজব করতে থাকলে এলা জড়সড় হয়ে পাশে বসে থাকে৷ মনে হয় যেন একটু ঈর্ষাও অনুভব করে৷ আর তাই তো নিজেকেও ‘কিছুটা অভিবাসী' বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করে মেয়েটি৷ বলে, ‘‘আমি এলা৷ আমি দক্ষিণ জার্মানি থেকে এসেছি৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ