1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রার্থী হওয়ার সুযোগ শেষ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩ ডিসেম্বর ২০১৩

বিরোধী দলের নির্বাচন প্রতিহত করার আন্দোলনের মুখেও নির্বাচনের কাজ তফশিল অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে৷ সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়া শেষ হয়েছে৷ ফলে তফশিল অনুযায়ী আর প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকলো না৷

SBB-64333 : Parliament House in Dhaka ; Bangladesh picture-alliance/Dinodia Photo
ছবি: picture-alliance/Dinodia Photo

এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জেপি, জাসদ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি৷ এছাড়া আছে বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী৷ সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়া শেষ হওয়ার পর এপর্যন্ত ৫০টিরও বেশি আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার খবর পাওয়া গেছে৷ আর প্রতি আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন গড়ে ৩ জনেরও বেশি৷

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন এবার প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা নির্বাচনে না থাকায় সবাই ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার সুযোগ নিতে চাইছেন৷ তাই আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি৷ কারণ ৩০০ আসনের কমপক্ষে শতকরা ১০ ভাগ আসনে আওয়ামী লীগের অজনপ্রিয় প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন৷ তাই স্বাভাবিক কারণেই সেখানে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছেন৷ এর ফলে দল থেকে বহিষ্কার হলেও ক্ষতি নেই৷ কারণ এমপি হতে পারলে দল আবার টেনে নেয়৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার বলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছাড়াও আরো অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকার কারণ, সবাই মনে করছেন এটাই বড় সুযোগ৷ এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে সাংসদ হওয়া যাবে৷ তারা মনে করছেন ভোটাররা আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করলে বিএনপি না থাকায় ভোটাররা স্বতন্ত্রদের দিকে ঝুঁকতে পারেন৷

ছবি: DW

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবার বিদ্রোহী প্রার্থীদের তেমন নিরুৎসাহিত করা হবে না৷ কারণ আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা মনে করছেন প্রার্থী বেশি হলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে৷ তারা মনে করেন ভোটার উপস্থিতি ৬০ ভাগের বেশি হলে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার তেমন সুযোগ থাকবে না৷

কিন্তু অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার বলেন ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করাই হবে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ৷ কারণ রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে সাধারণ মানুষ এখন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না৷ বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দল এই নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে৷ তাই নির্বাচন পর্যন্ত যদি সহিংসতা চলে তাহলে কতভাগ ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন তা নিয়ে সংশয় আছে

এদিকে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবারো এক বিবৃতিতে নির্বাচন স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে৷ তিনি নির্বাচন কমিশনকে প্রহসনের একতরফা নির্বাচনে ‘সরকারের ক্রীড়নক' হিসেবে ব্যবহার না হতে বলেছেন৷ তিনি বলেন এখনো আলোচনার দরজা খোলা আছে৷ রাজনৈতিক সমঝোতার সুযোগ এখনো আছে৷

নির্বাচন কমিশনের তফশিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ ও ৬ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বর৷ আর নির্বাচন হবে ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি৷ ফলে এই তফশিল পরিবর্তন ছাড়া আর প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই৷ তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন রাজনৈতিক সমঝোতা হলে তফশিল পরিবর্তন হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ