1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রায় তিন লাখ মানুষও পারল না কুকুরটিকে বাঁচাতে

১৭ এপ্রিল ২০১৮

একটি দাবি নিয়ে এক হয়েছিলেন ২ লাখ ৯০ হাজার মানুষ৷ সবাই চেয়েছিলেন একটি কুকুরকে বাঁচাতে৷ কিন্তু জার্মানির নগর প্রশাসন সিদ্ধান্তে অটল, তাই বাঁচানো গেল না কুকুরটিকে!

Niedersachsen Langenhagen: Der Staffordshire-Terrier-Mischling «Chico»
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Dittrich

ইউথ্যানশিয়া মানে যন্ত্রণাহীন মৃত্যু৷ কিন্তু মৃত্যুই তো! আর সেই মৃত্যুই বরণ করতে হয়েছে জার্মানির হানোফার শহরের একটি কুকুরকে৷ অপরাধ– সে  তার মনিব এবং মনিবের সন্তানকে হত্যা করেছে৷

স্ট্যাফোর্ডশায়ার টেরিয়ার প্রজাতির কুকুরটির নাম ছিল চিকো৷বন্ধ ফ্ল্যাটে সে তার মালিক ও মালিকের ছেলেকে মেরে ফেলে৷ মৃতদেহ পরীক্ষার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে চিকোকে যন্ত্রণা্হীন মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ঘোষণা দেয় হানোফার কর্তৃপক্ষ৷

নগর কর্তৃপক্ষের তরফে ইউডো মোলার জানান, কুকুরটির হিংস্রতার জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়াটাই শ্রেয়৷ কারণ, হেফাজতে রাখার সময়েও দেখা গেছে যে, কুকুরটির মধ্যে সামাজিকভাবে মেলামেশার প্রবণতা খুব কম৷

কী করেছিল চিকো? এই মাসের গোড়ার দিকে একটি বন্ধ ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে ৫২ বছরের একজন মহিলা ও তার ২৭ বছরের ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷ জানালা থেকে মহিলার মেয়ে তার ভাইয়ের প্রাণহীন দেহ দেখতে পায় এবং পুলিশকে ব্যাপারটা জানায়৷ এরপর ফ্ল্যাট ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখা যায় দু'জন মরে পড়ে আছে৷

শুক্রবার মৃতদেহ পরীক্ষার পর জানা যায় ঐ দু'জনের মৃত্যুর জন্য চিকোই দায়ী৷ তারপরেই চিকোর জন্য যন্ত্রণাহীন মৃত্যুদন্ডের আদেশ কার্যকর করার কথা ভাবেন হানোফার প্রশাসন৷

কিন্তু পশুপ্রেমীরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন৷ চিকোর প্রাণ রক্ষার অনুরোধ সম্বলিত ২ লক্ষ ৯০ হাজার দরখাস্ত জমা পড়ে নগর কর্তৃপক্ষের কাছে ৷ দরখাস্তগুলোতে বলা হয়, মৃত্যুদন্ড নয়, চিকোকে স্বাধীন পশুচিকিৎসকের হাতে তুলে দেওয়া হোক৷ চিকোর মৃত্যু কাম্য নয়৷

চিকোই তো এমন একমাত্র কুকুর নয় যে এমন করেছে৷ এর আগে গত সপ্তাহে স্ট্যাফোর্ডশায়ার টেরিয়ারের মিশ্র জাতির একটি কুকুরের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ উঠেছিল৷ ৭ মাসের একটি শিশুহত্যার দায়ে সেই কুকুর এখনো হেফাজতে৷

অবশ্য চিকোর জীবন আর দীর্ঘ হয়নি৷ হানোফার প্রশাসন জানিয়েছে, তাদের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে, অর্থাৎ চিকো র কোলে ঢলে পড়েছে৷

পিএস/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

    

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ