ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের হিসাবে, দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ১০ম লিবিয়া৷ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি, ঘুষ আর স্বজনপ্রীতি দেশটিকে এই অবস্থানে এনেছে৷

দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে আফগানিস্তান৷ অবশ্য, বৈশ্বিকভাবে তাদের অবস্থান নবম৷ দুর্নীতির দিক থেকে আফগানিস্তানের পরেই আছে বাংলাদেশ৷

দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় অষ্টম অবস্থানে আছে ইকুটেরিয়াল গিনি৷ দুর্নীতির দায়ে ফ্রান্সে সাজাও খেটেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট টিওডোরো ওবিয়াং-এর ছেলে টিওডোরিন ওবিয়াং৷

দুর্নীতির ধারণাসূচকে সপ্তম অবস্থানে আফ্রিকার দেশ গিনি বিসাউ৷ ২০১৪ সালে দুর্নীতির ধারণাসূচক প্রকাশের সময় টিআই বলেছিল, দেশটিতে দুর্নীতির জন্য সহায়ক একটি পরিবেশ তৈরি করেছে সরকার৷ মাদক পাচারের অন্যতম আন্তর্জাতিক রুটও দেশটি৷

দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে আছে সুদান৷ প্রাকৃতিক সম্পদ সংস্থান এবং দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে সেখানে দুর্নীতির সুযোগ আরো বেড়েছে৷

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তীব্র বিরোধের মধ্যে শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে আছে উত্তর কোরিয়া৷ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রিত দেশটির বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর৷

দুর্নীতির তালিকায় নিচের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে ইয়েমেন৷ উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত দেশও এটি৷

২০০৫ সালে সুদান থেকে স্বাধীন হওয়া দেশটির অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ মুষ্টিমেয় ধনীদের হাতে৷ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ধারণা সূচকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সাউথ সুদান আছে তিন নম্বরে৷

দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় নম্বরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়া৷ ইসলামিক স্টেটকে কেন্দ্র করে নানামুখী যুদ্ধ চলছে সেখানে৷ ক্ষমতাসীন বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো৷

২০১৮ সালের ধারণাসূচক অনুযায়ী, সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে সোমালিয়া৷ গৃহযুদ্ধ, অভ্যন্তরীণ নানা সংঘাত আর দারিদ্র্য নিয়ে চলা দেশটির অনেক মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করে থাকেন৷