1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুকের সঙ্গে প্রেম?

সোনিয়া আঙ্গেলিকা ডিন/এপিবি৮ আগস্ট ২০১৪

ফেসবুক – সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটি নাকি অনেককেই যৌন আনন্দ বা মাদকের নেশার মতো একটা আমেজ দিতে পারে৷ মনোবিজ্ঞানীদের মত এমনটাই৷ কিন্তু সে তো শুধু গোড়ার দিকে৷ তা এখনও কি ফেসবুকের সঙ্গে আপনার প্রেমের সম্পর্ক?

Symbolbild Facebook
ছবি: Reuters

ফেসবুকে আগের মতো সেই রোমাঞ্চ আর পান না বা ফেসবুক খুলতেই আর ইচ্ছে করে না? আপনার মতো অনেকেরই কিন্তু আজ এ অবস্থা৷ বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘদিন যাবৎ ফেসবুক ব্যবহার করছেন৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করার ক্ষমতা হারাচ্ছে৷

এই যেমন, একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ডয়চে ভেলের কাছে৷ তিনি ফেসবুকের একনিষ্ঠ ভক্ত এবং ব্যবহারকারী ছিলেন৷ প্রতিনিয়ত ফেসবুক খুলে বসে থাকতেন৷ কিন্তু ঠিক এক বছর আগে একদিন ফেসবুকে লগ ইন করতে গিয়ে তাঁর হঠাৎই মনে হলো – ‘‘কেন ফেসবুক খুলছি? এখানে তো আমার জন্য কোনো চমক অপেক্ষা করছে না৷ আসলে হয়ত শুধুমাত্র অভ্যাসের কারণে এটা করছি৷''

‘কেন ফেসবুক খুলছি? হয়ত শুধুমাত্র অভ্যাসের কারণেইএটা করছি৷'ছবি: DW/A. Islam

তিনি বলেন, ‘‘ফেসবুকের সাথে আমার একটা বন্ধন বা শেকড় তৈরি হয়েছিল৷ কিন্তু সেই সম্পর্কের নির্যাস এখন হারিয়ে গেছে৷ ফেসবুকে নিয়মিত পোস্ট দেয়া, ছবি আপলোড করা, শেয়ার করা – এর অর্থ মাধ্যমটির সাথে একটা সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়া৷ ঠিক যেন প্রেমের মতোই এ সম্পর্ক, যেখানে ফেসবুক না খুলতে পারলে জাগে বিরহ, না পাওয়ার বেদনায় কাতর হয় ব্যবহারকারী৷ তার ওপর ফেসবুক আমাদের জন্মদিনটাও মনে রাখে৷ এটাকে তো প্রেমই বলা যেতে পারে৷''

ব্রিটিশ মনোবিজ্ঞানী সুজান কুইলিয়াম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ফেসবুকের সাথে ব্যবহারকারীর প্রেমের সম্পর্ক হতেই পারে৷ কেননা সম্পর্কের সাথে জৈবিক এবং আবেগ অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত৷ ফেসবুক ও তার ব্যবহারকারী একে-অপরের সঙ্গ উপভোগ করেন, দু'জনে একসঙ্গে বেশিরভাগ সময় কাটায় এবং এর ফলে ব্যবহারকারীর শরীরে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা সাধারণত মানুষ যৌন সম্পর্কের চরম মুহূর্তে পৌঁছালে হয়ে থাকে৷'' সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে ব্যবহারকারীর সম্পর্কটাও ঠিক তাই বলে জানালেন তিনি৷

সুজান আরো জানান, ‘‘সম্পর্কে দেয়া-নেয়ারও একটা ব্যাপার থাকে৷ ফেসবুকের মাধ্যমে যখন কারো উপহার পাওয়া, যেমন লাইক বা কমেন্ট পাওয়াটা কমে যেতে থাকে, তখন প্রেমের রোমাঞ্চও হারিয়ে যায়৷ এমনকি যদি দেখা যায় ফেসবুকের কোনো বন্ধু বিশ্বাসঘাতকতা করছে, বা ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাহলে সেটা তাঁর মধ্যে উদ্বেগ ও হতাশার জন্ম দিতে পারে৷ এমনকি তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য, যেটা কাউকে তিনি জানাতে চায় না, সেটা প্রকাশ হয়ে পড়লে, সেটা নিয়েও শঙ্কিত হয়ে পড়ে ব্যবহারকারী৷ তখন তিনি ভাবতে থাকেন ফেসবুকের সাথে সম্পর্ক আর রাখবেন না, ভেঙে দেবেন৷

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, ব্যবহারকারীরা যদি বিচার করেন – এ সম্পর্ক থেকে তাঁদের লাভটা বেশি না ক্ষতি, সেই বিচারে মনে হয় লাভের পাল্লাটাই ভারী হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ