প্রায় আড়াই মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন চীনা ব্যবসায়ী তার কেনিয়ান কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বর্ণবাদী মন্তব্য করছেন৷ এক পর্যায়ে কেনিয়ার প্রেসিডেন্টকে ‘বানর' বলে গাল দিলেন তিনি৷ তাকে গ্রেপ্তার করেছে কেনিয়ার পুলিশ৷
বিজ্ঞাপন
চীনা ঐ নাগরিকের নাম লিউ জিয়াকি৷ তিনি চীনা এক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন৷ গত বৃহস্পতিবার এই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে কেনিয়া সরকার৷ তার কাজের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ তাকে তার দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে কেনিয়ার অভিবাসন বিভাগ৷
চীনা ওই নাগরিকের সঙ্গে তার কেনিয়ান কর্মচারীদের বিতণ্ডার এক পর্যায় থেকে ভিডিওটি ধারণ করা হয়৷ সেখানে দেখা যায়, ঐ নাগরিক একের পর এক বর্ণবাদী মন্তব্য করে যাচ্ছেন৷ তিনি বলছেন, ‘‘সব কেনিয়ান বানরের মতো৷ এমনকি উহুরু কেনইয়াতা (কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট)৷ সবাই৷''
তখন একজন কর্মচারী বলছেন, ‘‘আপনি তাহলে চীন চলে যান৷'' তখন আরো আগ্রাসী হয়ে লিউ বলেন, ‘‘আমি এখানকার না৷ আমার এখানে ভালোও লাগে না৷ এসব বানরের মতো লোকদের সঙ্গে কথা বলতেও ভালো লাগে না৷ এদের গায়ে গন্ধ, এরা গরীব, বোকা ও কালো৷ আমি দেখতে পারি না এদের৷ তোমরা সাদা নও কেন, অ্যামেরিকানদের মতো?''
তিনি তারপর মন্তব্য করেন, কেনিয়ায় তিনি আছেন শুধু ‘টাকার জন্য'৷
ভিডিওটি সামাজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়৷ অনেকেই তার শাস্তি দাবি করেন৷ তারা বলেন যে, একে এত সহজে দেশে ফেরত পাঠানো ঠিক হবে না৷
নাইরোবিতে চীনা অ্যাম্বেসির একজন মুখপাত্র বলেন, লিউ'র নিয়োগকর্তা তাঁদের জানিয়েছেন যে, ঘটনাটি গত জুনের৷ এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ তারা কেনিয়ান সহকর্মীদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন৷
জেডএ/এসিবি
বেচারা ওরাংউটান
ইন্দোনেশিয়ায় বনভূমি উধাও আর দাবানলের শিকার শুধু মানুষই হচ্ছে না, ওরাংউটানরাও পড়েছে বিপদে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Fully Handoko
সংখ্যা কমছে
২০০৮ সালের হিসেবে বোর্নিও ওরাংউটানের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৬ হাজার৷ কিন্তু সেই সংখ্যাটা কমে ৩০ থেকে ৪০ হাজার হয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷ অবৈধভাবে গাছ কেটে বনভূমির এলাকা কমিয়ে ফেলা ও দাবানল – এই দুটি অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও বোর্নিওতেই মূলত ওরাংউটানদের বাস৷
ছবি: picture alliance/dpa
দাবানলের শিকার
সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ার বনাঞ্চলগুলোতে দাবানলের সংখ্যা বেড়ে গেছে৷ ফলে সেখানকার পরিবেশ প্রায়ই কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে৷ ‘বোর্নিও ওরাংউটান সার্ভাইভ্যাল ফাউন্ডেশন’ (বিওএসএফ) বলছে, বিরূপ পরিবেশের কারণে অন্তত ১৬টি শিশু ওরাংউটানের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ তবে কতটি ওরাংউটান মারা গেছে সেই সংখ্যা জানাতে পারেনি সংস্থাটি৷
ছবি: Reuters/FB Anggoro/Antara Foto
বেশি ঘুমাচ্ছে
কুয়াশাচ্ছন বনের কারণে ওরাংউটানদের ঘুমের সময়ে পরিবর্তন হয়েছে৷ সাধারণ সময়ে তারা বিকাল ৫টায় ঘুমিয়ে ভোর সাড়ে চারটা থেকে ৫টার মধ্যে উঠে গেলেও এখন তারা দুপুর আড়াইটা-তিনটায় ঘুমিয় পরদিন সকাল ৬টার দিকে ঘুম থেকে উঠছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi
বাসা বানানোতেও পরিবর্তন
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ওরাংউটানদের অনেক কিছুই পাল্টেছে৷ আগের চেয়ে একটু নীচু করে অর্থাৎ ভূমির কাছাকাছি বাসা তৈরি করছে তারা৷ এছাড়া খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন এসেছে৷
ছবি: picture-alliance/WILDLIFE
মানুষের এলাকায় ঢুকে পড়ছে
ওরাংউটানরা সাধারণত লাজুক স্বভাবের হয়ে থাকে৷ মানুষের সংস্পর্শে আসতে চায়না তারা৷ কিন্তু দিন দিন বাসস্থানের এলাকা কমে যাওয়ায় খাদ্য ও বাসস্থানের খোঁজে তারা প্রায়ই মনুষ্য অঞ্চলে ঢুকে পড়ছে৷