1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রেসিডেন্টের ক্ষমায় মুক্ত মিয়ানমারের দুই সাংবাদিক

৭ মে ২০১৯

মিয়ানমারের রাখাইনে ১০ মুসলিম রোহিঙ্গার হত্যা নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন ওয়া লন ও কিঁয় সোয়ে৷ ৫১১ দিন বন্দি থাকার পর প্রেসিডেন্টের ক্ষমায় মঙ্গলবার তাঁরা ছাড়া পেয়েছেন৷

Myanmar, Yangon: Freilassung der Journalisten Kyaw Soe Oo und Wa Lone
ছবি: picture-alliance/AP/T. Zaw

মিয়ানমারের রাখাইনে ১০ মুসলিম রোহিঙ্গার হত্যা নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন ওয়া লন ও কিঁয় সোয়ে৷ ৫১১ দিন বন্দি থাকার পর প্রেসিডেন্টের ক্ষমায় মঙ্গলবার তাঁরা ছাড়া পেয়েছেন৷

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ১০ মুসলিম রোহিঙ্গা পুরুষ ও ছেলেকে হত্যা করা হয়৷ সেই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়ায় ঐ বছরের ডিসেম্বরে রয়টার্সের হয়ে কর্মরত মিয়ানমারের ঐ সাংবাদিকদের আটক করা হয়েছিল৷

তাঁদের বিরুদ্ধে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট' ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল৷

এই দুই সাংবাদিক আটকের ঘটনায় নোবেলজয়ী অং সান সুচি'র আমলের মিয়ানমারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছিল৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন দেশ সাংবাদিকদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল৷

কারাগারে থাকা অবস্থায় ঐ দুই সাংবাদিককে ২০১৯ সালের পুলিৎজার পুরস্কার দেয়া হয়৷

যেভাবে মুক্তি

গতমাসের ১৭ তারিখে মিয়ানমারে নববর্ষ শুরু হয়েছে৷ এই উপলক্ষ্যে প্রতিবছর কয়েক হাজার বন্দিকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট৷ রয়টার্সের দুই সাংবাদিকও সেই ক্ষমার আওতায় মুক্তি পেলেন৷

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে তাঁদের সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল৷ সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে গতমাসে তা খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷

মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হিতায় জানিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদে দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ঐ দুই সাংবাদিককে মুক্ত করার ব্যাপারে নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

কারাগার থেকে বের হওয়ার পর ওয়া লন তাঁদের মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার পরিবার ও সহকর্মীদের দেখা পেয়ে আমি খুবই খুশি৷ নিউজরুমে ফিরে যেতে আর তর সইছে না৷''

রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক স্টেফান আডলার বলেছেন, ‘‘মিয়ানমার আমাদের  সাহসী সাংবাদিকদের ছেড়ে দেয়ায় আমরা দারুণ খুশি৷

‘‘৫১১ দিন আগে আটক হওয়ার পর তাঁরা বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন,'' বলেন তিনি৷

রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের হয়ে আইনি লড়াই চালিয়েছিলেন আমাল ক্লুনি৷ তাঁদের মুক্তির পর তিনি বলেন, ‘‘আমি আশা করছি, তাঁদের মুক্তি মিয়ানমারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে নতুন একটি সংকেত হয়ে উঠবে৷''

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ