প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রথম এশিয়া সফর
১২ নভেম্বর ২০০৯বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, উত্তর কোরিয়া ও ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বিতর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আফগানিস্তার নীতিও চীন এবং অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ওবামার আলোচনায় যথেষ্ট গুরুত্ব পেতে পারে৷
জাপানের প্রধানমন্ত্রী হাতোয়ামা ক্ষমতায় এসেই এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার এবং ওয়াশিংটনের প্রভাবমুক্ত কূটনীতি বেগবান করার ঘোষণা দেওয়ায় জাপান-মার্কিন মেরুকরণ নিয়ে নতুন জল্পনার শুরু হয়েছে৷ ওকিনাওয়া দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ঘাঁটির ভবিষ্যত নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেতে পারে তাদের আলোচনায়৷ আগামী বছর জাপান-মার্কিন নিরাপত্তা চুক্তির ৫০ বছর পূর্তির প্রাক্কালে ওই বিমান ঘাঁটি সরিয়ে নিতে জোর আন্দোলন গড়ে উঠছে দেশটিতে৷ এছাড়া আফগানিস্তান মিশনের জন্য জাপানি সহায়তা নবায়নের প্রতিশ্রুতি চাইতে পারেন ওবামা৷ আর হাতোয়ামা চাইবেন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে আরও সক্রিয় হোক যুক্তরাষ্ট্র৷
মার্কিন সিনেটররা চান অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত বিকাশমান অ্যাপেক দেশগুলোর সঙ্গে সিঙ্গাপুর, পেরু, চিলি এবং অস্ট্রেলিয়ার মতোই বাণিজ্য চুক্তি করতে ওইসব দেশের নেতাদের রাজী করানোর চেষ্টা করুন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷
এছাড়া, সিঙ্গাপুরেই এই প্রথম ১০জাতি আসিয়ান জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ওবামা৷ ওই বৈঠকে অন্যান্য ইস্যুর মধ্যে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু-চির মুক্তি এবং দেশটিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়েও কথা হতে পারে৷
মার্কিনিদের রাষ্ট্রীয় ঋণের সবচে বড় বিদেশী মালিকানা তাদের হাতে থাকায় এবং দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হওয়ায় চীন এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ৷ বাণিজ্য, চীনের বিতর্কিত মুদ্রানীতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনে দ্বিপাক্ষিক ভূমিকাই ওবামার কাছে গুরুত্ব পাবে৷ তবে, উত্তর কোরিয়া ও ইরানের পরমাণু ইস্যু নিয়ে চীনের প্রতিশ্রুতিও চাইতে পারেন ওবামা৷
এই সফরে ওবামার অন্যতম লক্ষ্য থাকবে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া মুক্তবাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা ত্বরান্বিত করা৷
প্রতিবেদক: মুনীর উদ্দিন আহমেদ
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার