1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিক নিপীড়নের হাতিয়ার’

১৭ জুন ২০২২

সাংবাদিকদের উৎকর্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিতের বদলে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিক নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা৷ তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান৷

সাংবাদিকদের উৎকর্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিতের বদলে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিক নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা৷ তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান৷
ছবি: DW

সম্প্রতি সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রেস কাউন্সিল৷ মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদন দিলে তা সংসদে উঠবে৷ ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ ইউটিউব টকশো-তে এ আইন নিয়ে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হক নাসিম বলেন, ১৯৭৪ সালের আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হলে শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ তিরস্কার করা যায়৷ কিন্তু এতে বাদিপক্ষ সন্তুষ্ট না হওয়ায় আইনটি পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ এই আইন প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করবে বলে মনে করেন তিনি৷

তিনি বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের নিয়ে বিতর্ক হলে সেটা প্রেস কাউন্সিলেই আসা উচিত, এটা আমরা মনে করি৷ আসে না কারণ এটা কার্যকর মনে করে না তারা৷ এজন্যই তারা অন্যান্য কোর্টে চলে যান৷ তাতে সাংবাদিকদের হ্যারেসমেন্ট আরো বেশি হয়৷’’

তবে দ্য ডেইলি স্টার বাংলা পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা মনে করেন, এই আইন সাংবাদিকদের উপর আরো চাপ বৃদ্ধি করবে৷ আইনটি প্রেস কাউন্সিল করতে চায় নাকি সরকারের মতামতের প্রতিফলন,  এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ এই সাংবাদিক বলেন, ‘‘প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিক বা সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণের কোনো প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথা নয়৷ প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের, সংবাদপত্রের উৎকর্ষ সাধনের প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথা৷’’

তিনি অভিযোগ করেন উল্টো আইনের মাধ্যমে ‘পর্যায়ক্রমে সাংবাদিকদের চার দিক থেকে আটকানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে'৷ গত কয়েক বছরে সাংবাদিকদের উপর নিপীড়ন নির্যাতন, ডিজিটাল আইনে মামলা কিংবা বেতন না দেয়া নিয়ে প্রেস কাউন্সিলের কী ভূমিকা ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ বলেন, ‘‘প্রেস কাউন্সিলের ভূমিকা শুধু সাংবাদিকদের শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে শক্তিশালী হওয়া দরকার এটা এক ধরনের সাংবাদিকদের নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷’’

তবে বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হক নাসিম তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন৷ সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষতার জন্য তারা দেশজুড়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বলে জানান৷ সাংবাদিকদের আইনগত বিষয়গুলো আদালত দেখবে বলে উল্লেখ করেন৷ তিনি দাবি করেন, ‘‘এই আইন সাংবাদিকদের দমন করার জন্য নয়, অপসাংবাদিকতাকে দমন করার জন্য৷’’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সময়ও সরকারের পক্ষ থেকে একই ধরনের কথা বোঝানো হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন গোলাম মোর্তোজা৷ তিনি বলেন, এখন সাংবাদিকদের নিপীড়ন করার জন্য প্রেস কাউন্সিলকে ব্যবহার করা হচ্ছে৷  সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য প্রেস কাউন্সিলকে ব্যবহার করা হচ্ছে না৷ প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় আছে৷ সেই সংকটজনক অবস্থায় আপনাদের করণীয় ঠিক করুন৷’’

এফএস/এআই

সাংবাদিকতার পুকুরে কুমির আনতে খাল কাটলো কারা?

57:40

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ