1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রয়োজনে তালেবানের সঙ্গে কথা: ম্যার্কেল

২৬ আগস্ট ২০২১

কিছুদিনের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার কাজ শেষ হবে। প্রয়োজনে কথা বলা হবে তালেবানের সঙ্গেও। জানালেন জার্মান চ্যান্সেলর।

আঙ্গেলা ম্যার্কেল
ছবি: Richard Drew/AP/dpa/picture alliance

বুধবার আফগানিস্তান পরিস্থিতি এবং উদ্ধারকাজ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত জার্মানির সেনা বিমান চার হাজার ৬০০ জার্মান নাগরিক এবং তাদের সঙ্গে কাজ করা আফগান নাগরিককে উদ্ধার করতে পেরেছে। ৩১ অগাস্টের মধ্যে যাতে উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ করা যায়, তার জন্য প্রাণপাত করছে জার্মান সেনা। একইসঙ্গে এদিন তালেবান নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন চ্যান্সেলর। জানিয়েছেন, বাস্তব হলো, তালেবান ক্ষমতায় এসে গেছে। ফলে প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলেও বসতে হবে। তালেবানের সঙ্গে কথা বলতে 'লজ্জা' পেলে চলবে না।

মঙ্গলবারই মার্কিন প্রেসিডেন্টজো বাইডেন জানিয়েছিলেন, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে তালেবানের কথা হচ্ছে। উদ্ধারকাজে সাহায্য না করলেও বাধা দিচ্ছে না তালেবান। বস্তুত, খানিকটা হুমকির সুরেই বাইডেন জানিয়েছিলেন, তালেবান সহায়তা না করলে ৩১ অগাস্টের মধ্যে উদ্ধারকাজ শেষ করা যাবে না। এবং সেক্ষেত্রে তালেবান মার্কিন সেনাকে দোষও দিতে পারবে না। বাইডেন বলেননি, তবে মঙ্গলবারই অ্যামেরিকার একটি প্রথমসারির সংবাদমাধ্যম খবর করেছিল, সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার মার্কিন গুপ্তচর বাহিনী সিআইএ প্রধান কাবুলে গিয়ে তালেবানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বৈঠক করে এসেছেন।

এরপরেই ম্যার্কেলের ঘোষণা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে। ম্যার্কেল অবশ্য তালেবানের সঙ্গে বৈঠকের নির্দিষ্ট কোনো সময় ধার্য করেননি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জি-৭ বৈঠকের আগেও অধিকাংশ দেশ তালেবানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পক্ষপাতী ছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, তালেবানের সঙ্গে একরকম সমঝোতায় যাওয়ার রাস্তা খোঁজা হচ্ছে।

অ্যামেরিকা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, তালেবানের মুখের কথায় তারা ভুলবে না। বাস্তবে তারা মানবাধিকারের বিষয়গুলিকে কতটা প্রাধান্য দেয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা হবে। ম্যার্কেল অবশ্য এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেননি।

উদ্ধারকাজের বিষয়ে ম্যার্কেল জানিয়েছেন, ৩১ অগাস্টের মধ্যে যাতে তা শেষ করা যায়, সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। তবে ৩১ অগাস্টের পরেও জার্মানি আফগানিস্তানের পাশে থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ম্যার্কেলের বক্তব্য, যে সমস্ত আফগান দীর্ঘদিন জার্মানিকে সাহায্য করেছে, জার্মানির বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকেছে, তাদের ছেড়ে আসা হবে না। পাশাপাশি মানবাধিকার এবং অন্যান্য বিষয়ে জার্মানি আফগানিস্তানকে আর্থিক সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন ম্যার্কেল। ইতিমধ্যেই সাহায্যের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল জার্মান প্রশাসন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ