কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্লাজমা থেরাপি নিয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি নেত্রী তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন বলেও জানান তিনি৷
বিজ্ঞাপন
জাফরুল্লাহ তাঁর প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৈরি কিট দিয়ে পরীক্ষা করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হন বলে জানায় বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
মঙ্গলবার বিকালে তিনি বিডিনিউজকে প্লাজমা থেরাপি নেয়ার কথা জানান৷
৭৯ বছর বয়সি জাফরুল্লাহ বলেন, ‘‘আমি আজকে বিকালে ‘ও’ পজেটিভ ব্লাড গ্রুপের ২০০ এমএল প্লাজামা নিয়েছি৷ এখন আমি ভালো অনুভব করছি৷’’
কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের দেহ থেকে প্লাজমা নিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে৷ এর মধ্য দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে তা সেরে ওঠায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
প্লাজমা দিন জীবন বাঁচান
02:32
গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট’ নামের ব়্যাপিড টেস্টিং কিট এখনও সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন পায়নি৷ তাদের উদ্ভাবিত কিট অনুমোদনে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ গড়িমসি করছে অভিযোগ তুলে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন জাফরুল্লাহ৷
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কেবল ‘রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন’ বা আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতেই করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার অনুমতি রয়েছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত৷
তবে জাফরুল্লাহ আরটি-পিসিআর টেস্ট করাবেন না বলে জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘পিসিআর টেস্ট কেন করব? আমি তো ব়্যাপিড কিট দিয়ে টেস্ট করে দেখেছি৷ আবার কেন? এটা (পিসিআর) অপ্রয়োজনীয়৷’’
জাফরুল্লাহ দীর্ঘ দিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছেন৷ তাঁর নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হয়৷ প্রতি সপ্তাহে তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ডায়ালিসিস করে থাকেন৷ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে ধানমণ্ডির বাসায় একটি কক্ষে তিনি আইসোলেশনে রয়েছেন এবং সেখানেই কিডনি ডায়ালিসিস করেছেন৷
‘প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী খোঁজ নিয়েছেন’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি অসুস্থ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তাঁর খবর নিয়েছেন৷ খবর নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও৷
স্বাধীনতা পদকে ভূষিত জাফরুল্লাহ জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছেন৷
এসএনএল/জেডএইচ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
১৯ মে’র ছবিঘরটি দেখুন...
‘করোনাটুন’: কভিড-১৯ যখন কার্টুন
করোনা ভাইরাস ছাড়া গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আর কোন খবর নেই। আতঙ্ক এবং দুঃখ প্রকাশের জন্য কার্টুনিস্টদের কেবল কয়েকটি আঁচড় কাটতে হয়েছে। তবে কিছু কার্টুন এই সংকট শেষ হওয়ার আভাস দিচ্ছে।
ছবি: Toonpool
উহান, কোয়ারান্টিন
প্রথমে সবাই ভেবেছিল করোনা ভাইরাস কেবল চীনের সমস্যা। উহানের নামও কেউ শোনেনি। বেইজিং কর্তৃপক্ষ বিপজ্জনক এই ভাইরাস ছড়ানোর খবর গোপন রেখেছিল। এরপর উহান শহর আর হুবেই প্রদেশের মানুষকে গৃহবন্দি করে রাখে তারা। পুরো বিশ্ব এটা দেখে ভেবেছিল এই পদ্ধতি নিরাপদ।
ছবি: Toonpool
ভূ-পর্যটক
কিন্তু এই ভাইরাসকে কোন সীমান্ত আটকে রাখতে পারেনি। ডাচ কার্টুনিস্ট জির্ড রোয়ার্ডস ভূ-পর্যটকের নতুন সংস্করণ তুলে ধরেছেন। হঠাৎ করেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক মানুষ অসুস্থ হতে শুরু করে এবং অনেকে মারা যায়।
ছবি: Toonpool
কভিড-১৯ এবং মানবজাতি
পুরো বিশ্বের মানুষের কাছে এই ভাইরাস অপ্রতিরোধ্য। কোন ভ্যাকসিন নেই, নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। পাওলো স্যালেরি সেই হতাশা’র অনুভূতি ফুটিয়ে তুলেছেন তার শিল্পের মাধ্যমে।
ছবি: Toonpool
দুঃস্বপ্ন
এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে বিশ্বের আক্রান্ত দেশগুলোতে ঘরে থাকার নির্দেশ জারি হয়। কিন্তু ঘরে থাকলেও মানুষের মনে আতঙ্ক ছিলো। তুর্কি কার্টুনিস্ট মেনেকসে ক্যাম এখানে একটি ছবি এঁকেছেন যেখানে একটি মেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছে এবং ভেড়া গোনার বদলে ভাইরাসের সংখ্যা গুণছে।
ছবি: Toonpool
আমি আমার দলকে চাই
সামাজিক দূরত্বের কারণে সবাই নিজেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মানুষ মনে করছিলেন। এই কার্টুনে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড দলের একজন ভক্ত তার প্রিয় বোরসিগপ্লাৎস স্কয়ার ছেড়ে যেতে চাচ্ছেন না, এই স্থানে ক্লাবটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আর যেখানে অনেক শিরোপা জয়ের উদযাপন হয়েছে।
ছবি: Toonpool
সংগীত যখন যোগাযোগের মাধ্যম
ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইটালির মানুষ লকডাউনের সময় প্রতি সন্ধ্যায় বারান্দা থেকে সংগীত পরিবেশন করেছেন। কখনো কখনো অনেকে নার্স ও চিকিৎসকদের সম্মান জানাতে হাততালি দিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছেন। বারান্দার এই সংগীত সবাইকে এই বার্তাই দিয়েছে ‘সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।“
ছবি: Toonpool
দূরত্ব বজায় রাখুন
ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে কড়া কারফিউ ছিলো। জার্মানিতে মানুষের বাইরে বের হওয়ায় বাধা ছিলো না। কিন্তু দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ ছিলো। নির্দেশ অমান্য করলে বড় ধরণের জরিমানা গুণতে হতো।
ছবি: Toonpool
যেদিকে তাকাও মুখোশ আর মুখোশ
মুখে মাস্ক পড়লে সংক্রমণের ঝুঁকি কম। তাই বেশ কয়েকটি দেশে এটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু যখন দোকানগুলোর সব মাস্ক বিক্রি হয়ে যায় তখন কি করার আছে? রুশ কার্টুনিস্ট সের্গেই বেলোসেরোভ তাই এতে নতুন সংস্করণ যোগ করেছেন।
ছবি: Sergei Belozerov/toonpool
হাত পরিষ্কার
হাত ধুতে থাকো, ধোও, ধুতে থাকো ধোও। করোনা প্রতিরোধ করতে প্রতিটি দেশের রাজনীতিবিদ এবং চিকিৎসকরা এই কথা বার বার বলেছেন। স্যাম চাচা সেটাই করছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের উদ্ভট কথায় কান দিও না।
ছবি: Toonpool
ভয়াবহ লড়াই
সময়ের বিরুদ্ধে লড়াই। গবেষণাগারগুলো ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে। যতদিন না ভ্যাকসিন পাওয়া যায় ততদিন মানবজাতির সঙ্গে এই ভাইরাসের লড়াইকে কার্টুনের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন ফিলিপাইন্সের শিল্পী জাখ। তিনি বলছেন এই সংগ্রাস চলবে। এর ফলাফল অনিশ্চিত।
ছবি: Toonpool
দৈত্যের পূর্বাভাস
নিজের নাগরিকদের বাঁচাতে বিশ্ব নেতারা লকডাউন জারি করেন, যার ফলে অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক কোম্পানি ঋণে জর্জরিত। ত্রাণ কার্যক্রম চালু হলেও লাখ লাখ মানুষ জানেন না কীভাবে তারা বাড়ি ভাড়া দেবেন বা খাবারের অর্থ জোগাড় করবেন। চীনের রডরিওগো’র কাছে ভাইরাসের চেয়েও বড় দৈত্য অর্থনৈতিক সংকট।
ছবি: Toonpool
ইতিহাসের পাতায়
স্প্যানিশ ফ্লু এর মত একদিন এই মহামারি ইতিহাস হবে। দাদা-নানারা তাদের নাতি নাতনিদের গল্প করবেন কীভাবে তারা খাবার জমা করে রেখেছিলেন। আর দোকানে যখন টয়লেট পেপার শেষ হয়ে গিয়েছিল, তখন কি দুর্দশা হয়েছিল তাদের।