1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মৈত্রী চুক্তির ৫০ বছর

২২ জানুয়ারি ২০১৩

১৯৬৩ সালের ২২শে জানুয়ারি তখনকার জার্মান চ্যান্সেলর কনরাড আডেনাউয়ার এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট শার্ল দ্য গল-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল তথাকথিত ‘এলিসে’ চুক্তি, যা আজও দুই দেশের সম্পর্কের বুনিয়াদ৷

ARCHIV - Der französische Staatspräsident Charles de Gaulle (r) und der deutsche Bundeskanzler Konrad Adenauer unterzeichnen am 22.01.2963 im Elysee-Palast in Paris den deutsch-französischen Freundschaftsvertrag. Foto: dpa (zu dpa "Deutsch-französische Freundschaft" vom 03.03.) nur s/w +++(c) dpa - Report+++
ছবি: picture-alliance/dpa

এলিসে চুক্তির গুরুত্ব ফ্রান্স ও জার্মানির কাছে আজও অসীম৷ সেই চুক্তির অর্ধশতাব্দী পূরণ উপলক্ষ্যে হালের ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ বার্লিনে এসেছেন; তিনি এবং জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ২০০ জার্মান ও ফরাসি ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন; দু'দেশের মন্ত্রীসভার ও প্রায় ৪০০ সাংসদদের পৃথক পৃথক যৌথ অধিবেশন হচ্ছে স্মারক দিবসে৷

১৯৬৩ সালের ২২শে জানুয়ারি তখনকার জার্মান চ্যান্সেলর কনরাড আডেনাউয়ার এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট শার্ল দ্য গল-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল তথাকথিত ‘এলিসে’ চুক্তি, যা আজও দুই দেশের সম্পর্কের বুনিয়াদছবি: AP

বৃহত্তর আঙ্গিকেও এই চুক্তিকে ইউরোপীয় ঐক্যের ভিত্তিপ্রস্তর বলা হয়৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরঁ ফাবিয়ুস এলিসে চুক্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি জার্মান পত্রিকাকে যুগ্ম সাক্ষাৎকার দিয়েছেন৷ সেই সাক্ষাৎকারে তাঁদের বক্তব্য হলো: ইউরোপ মূল সমস্যা নয়, ইউরোপ হল সমস্যার সমাধান৷ তাঁরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরে ভাঙনের বিপদ রুখতে চান৷ ইউরোপীয় ঋণ সংকটের ফলে যে জাতীয়তাবাদী প্রবণতার সৃষ্টি হয়েছে, তার মোকাবিলা করতে চান৷

আডেনাউয়ার এবং দ্য গল, মিতেরঁ এবং কোল, সার্কোজি এবং ম্যার্কেল – সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফরাসি-জার্মান মৈত্রী ও সখ্যতার বিভিন্ন পরিচয় অতীতে পাওয়া গেছে৷ ওলঁদকে ঠিক ম্যার্কেলের বন্ধু পর্যায়ে ফেলা চলে না, অন্তত গতকাল অবধি চলত না৷ ইউরোজোন এলাকার সমস্যা দূর করার পন্থা নিয়ে উভয়ের মতপার্থক্য রয়েছে: ওলঁদ চান সরকারি ব্যয় বাড়াতে, ম্যার্কেল তা কমাতে৷

২০১১ সালে লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের সময় জার্মানি দূরে থেকেছে৷ এবার মালিতেও জার্মান সৈন্য পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা বার্লিনের নেই৷ ফ্রান্সের সঙ্গে এক্ষেত্রে জার্মানির দৃষ্টিভঙ্গির এই ফারাককে ম্যার্কেল স্বীকার করেছেন, কিন্তু গুরুত্ব দিতে চাননি৷ জার্মানি যে তার সহযোগীকে একা রাখবে না, সে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন৷

এলিসে চুক্তির গুরুত্ব ফ্রান্স ও জার্মানির কাছে আজও অসীম৷ সেই চুক্তির অর্ধশতাব্দী পূরণ উপলক্ষ্যে হালের ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ বার্লিনে এসেছেনছবি: Reuters

৫০ বছর আগে এলিসে প্রাসাদে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তার মূল সূত্র ছিল, উভয় দেশ বিদেশনীতি ও প্রতিরক্ষানীতির ক্ষেত্রে মন্ত্রীপর্যায়ে নিয়মিত বৈঠক ও আলাপ-আলোচনা করবে৷ লিবিয়া কি মালির ক্ষেত্রে তা-তে বিশেষ লাভ হয়নি৷ অপরদিকে দুই দেশের মধ্যে মানবিক পর্যায়ে এক নতুন, আন্তরিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যে কখন তার স্থান করে নিয়েছে, দুই প্রতিবেশির কেউই সেটা খেয়াল করেনি৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ