১৯৪৬ সালের এক সকাল৷ নিউ ইয়র্কের এক রাস্তায় একটা বাস থামলো৷ বাস থেকে নামল এক ১৫ বছর বয়সি কিশোরী৷ তাকে দেখে এক ফটোগ্রাফারের মনে হলো, ‘‘মেয়েটির চেহারায়, দৈহিক গড়নে মডেল হবার সব উপাদান আছে৷’’ সেই মেয়েই কার্মেন ডেল’অরেফিস৷ ইটালিয়ান-হাঙ্গেরিয়ান বাবা-মায়ের সন্তান কার্মেনের এভাবেই মডেলিং দুনিয়ায় পদার্পন৷ ওপরের ছবিটি ১৯৬৫ সালের৷

কবি নজরুল লিখেছিলেন, ‘হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান৷’ কার্মেনের জীবনেও দারিদ্র্যের কষাঘাত ছিল৷ বাড়িতে টেলিফোন ছিলনা বলে, কাজ দিতে চাইলেও এজেন্সি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতো না৷ অনেক সুযোগ নষ্ট হয়েছে এ কারণে৷ বাবা-মায়ের বাসভাড়া দেয়ার ক্ষমতা ছিল না বলে রোলারস্কেটিং করে কর্মস্থলে যেতেন কার্মেন৷ তখন বয়স মাত্র ১৫৷

ঐ ১৫ বছর বয়সেই ‘ভোগ’-এর মতো বিখ্যাত ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদকন্যা হয়ে যান কার্মেল ডেল’অরেফিস৷ তখন তিনি সবচেয়ে কম বয়সি মডেলদের একজন৷ কার্মেনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখতে ওপরের প্লাস (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷

অভিনয়ও করেছেন কার্মেন ডেল’অরেফিস৷ ১৯৬৬ সালে প্রথম ছবি৷ ছবির নাম ছিল ‘দ্য লাস্ট অফ দ্য সিক্রেট এজেন্টস’৷ তারপর দীর্ঘ ৩০ বছর আর ঐ পথ মাড়াননি৷ তবে ১৯৯৬ সালে আবার রূপালি পর্দা আলোকিত করতে দেখা যায় তাঁকে৷ সেই থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চারটি পূর্ণ দৈর্ঘ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন৷ এর বাইরে ছয়টি টিভি সিরিয়ালেও অভিনয় করেছেন কার্মেন৷

কৈশোরেই পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে খুব কম বয়সে প্রাচুর্যের মুখও দেখেছিলেন কার্মেন৷ শুরুতে ঘণ্টায় সাড়ে সাত ডলার পারিশ্রমিক দিয়ে যারা ভারতো ‘ঢের হয়েছে’, একসময় মোটা অঙ্কের চেক পাঠিয়েও তারা ধন্য হতেন৷ কিন্তু স্বামীর প্রতারণা নিঃস্ব করেছিল তাঁকে৷খুব দৃঢ়চেতা বলেই সামলে উঠে এখনো মডেলিংয়ে টিকে আছেন কার্মেন৷

কার্মেনের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে, ১৯৩১ সালে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা খুব মনে আছে৷ সেই যুদ্ধের পরও অনেকগুলো বছর গেল৷ ফেলে আসা সময় নিয়ে ভাবলে অ্যামেরিকান মডেলের নিজেকে ‘ইতিহাসের সাক্ষী’ বলে মনে হয়৷ এক সাক্ষাৎকারে তাই কার্মেন বলেছেন, ‘‘আমি জীবনের এমন একটা সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি, যখন মনে হচ্ছে যে এ সময়টা একান্তই আমার৷ গোটা একটা ইতিহাসের সাক্ষী আমি৷ দীর্ঘ একটা সময়ের অভিজ্ঞতা আছে আমার ঝুলিতে৷’’

এখনো তাঁকে দেখলে থমকে দাঁড়ায় অনেক তরুণ৷ তাছাড়া এই বয়সে মডেলিং করছেন বলে মিডিয়ার চোখও থাকে তাঁর দিকে৷ পাঁচ বছর আগেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সি মডেলের স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি৷ বয়সকে হার মানানো এমন এক তারকার দিকে সবার চোখ থাকাই তো স্বাভাবিক! (কার্মেনের সবচেয়ে বেশি বয়সি মডেল হবার খবর পড়তে ওপরের প্লাস (+) চিহ্নে ক্লিক করুন)

৮৫ বছর বয়সেও মডেলিংয়ে আছেন কার্মেন৷ নিজেকে একেবারেই ‘বুড়ো’ ভাবেন না৷ বরং বয়সের প্রশ্ন তুললেই বলে ওঠেন, ‘‘বুড়ো তো সবাইকেই হতে হবে, মরতেও হবে একদিন৷ কিন্তু ঠিক কীভাবে আমরা বুড়ো হবো, কীভাবে জীবনটা কাটাবো – সেটা তো আমাদেরই হাতে৷ তাই আমি জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত কাজ করে যেতে চাই৷’’

‘‘চোখের ফোলাভাব কমাতে আলু পাতলা পাতলা স্লাইস করে কেটে বন্ধ দু’চোখের পাতার ওপর দিয়ে রাখুন৷ ২০ মিনিট পর দেখবেন চোখের ফোলাভাব বা ক্লান্তি পালিয়ে গেছে এবং নিজেকে বেশ তরতাজা দেখাচ্ছে৷’’ এই টিপসটি হলিউডের সুপার মডেল সিন্ডি ক্রফোর্ড-এর৷

‘ওয়েনএভার, ওয়েরএভার’ এবং ‘হিপস ডোন্ট লাই’ গান করে বিখ্যাত পপ তারকা শাকিরার সৌন্দর্যের গোপন রহস্য: প্রচুর প্রোটিন ও আঁশ সমৃদ্ধ ডুমুর ফল৷ এতে ক্যালোরি কম হলেও সহজে পেট ভরে৷ এই ফলে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাসের মতো মিনারেল৷ এছাড়া ভিটামিন ‘বি -১’ থাকার কারণে এটা হজমেও সাহায্য করে৷

‘‘আমার দিন শুরু হয় পানি মেশানো এক গ্লাস লেবুর রস দিয়ে৷ কারণ লেবুতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ শরীরের টিস্যুগুলোকে জোড়া লাগিয়ে শক্ত বা সোজা রাখে এবং কোলাজেন উৎপাদন করতেও সাহায্য করে৷’’ জানান বিশ্বখ্যাত গায়িকা রিহানা৷

‘‘মুখের ত্বককে সুন্দর ও নরম রাখতে বাজারের পিলিং-এর বদলে আমি সপ্তাহে দু’দিন মিল্ক পাউডার দিয়ে ঘষে ঘষে মুখ পরিষ্কার করি৷ এতে মুখের ত্বক নরম আর চকচকে দেখায়৷ যাদের ত্বকের সমস্যা রয়েছে, তারাও এটি ব্যবহার করতে পরেন৷’’ এই পরামর্শটি মার্কিন নায়িকা, প্রযোজক ও সাবেক মডেল ক্যামেরন ডিয়াজ-এর৷

ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ধরে রাখতে এবং সেজেও না সাজার ভাব দেখাতে ‘‘প্রথমে ঠোঁটে লাল লিপস্টিক মাখুন এবং আলতোভাবে একটু একটু করে মুছে ফেলুন৷ এবার রং ছাড়া লিপগ্লস লাগিয়ে নিন৷ দেখবেন আপনাকে কেমন ফ্রেশ লাগছে৷’’ জানান অ্যামেরিকান অভিনেত্রী ও মডেল হ্যালি বেরি৷

‘‘যার চোখের রং নীল, তার আইশ্যাডোর রং হবে ব্রোঞ্জ আর ব্রাউনের মিশ্রণ৷ আর ব্রাউন রঙের চোখের জন্য নিতে হবে নীল এবং নীলের কাছাকাছি কোনো রং৷ সোজা কথা দু’টো রং যেন প্রায় একই হয়৷ চোখকে আরো আকর্ষণীয় করতে আইশ্যাডোর রঙেরই মাস্কারা ব্যবহার করবেন৷’’ এই টিপস বিশ্বখ্যাত কসমেটিকস কোম্পানি শানাল-এর মেকআপ শিল্পী মার্টিন স্মিড-এর৷

মেকআপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ফাউন্ডেশন ক্রিম কেনার সময় দোকানেই হাতে বা অন্য কোথাও না লাগিয়ে, একটা ‘স্যাম্পেল’ নিয়ে বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করুন৷ তখন যদি দেখেন যে তা আপনার ত্বকের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে, তাহলেই কিনুন৷ এই পরামর্শ বিখ্যাত প্রসাধনী নির্মাতা ল’রিয়েল কোম্পানির বিউটি এক্সপার্ট মিরিয়াম জ্যাকস-এর৷

‘‘চুল শ্যাম্পু করার আগে আমি প্রতিবারই কয়েক ফোটা নারকেল তেল চুলের আগায় ভালো করে ঘষে নেই৷ নারকেল তেল পেয়ে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ৷ এ কথা জানান মার্কিন অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি৷

গোসলের আগে চুল খুব ভালো করে আচড়ে নিন, বিশেষ করে যারা হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করেন তারা৷ এমনটা করলে চুলে জট লেগে চুল ছিড়বে না৷ এই পরামর্শ জার্মানির শোয়ার্ৎসকপ্ফ কোম্পানির হেয়ার এক্সপার্ট আর্মিন মোরবাখ-এর৷

‘আয়রন ম্যান’ খ্যাত হলিউড তারকা গুয়েনেথ পাল্ট্রো জানান, ‘‘আমি শপথ করে বলছি যে, আমার ত্বক চর্চায় ওমেগা-৩ তেলের ওপরে আর কিছু নেই৷ আমি সবচেয়ে ভালো বোধ করি এই তেল মেখে৷’’

ছোটবেলা থেকেই মিডিয়ায় কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন নায়লা৷ ডেন্টাল কলেজে পড়ার সময় নিজের মেধা ও সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করার ইচ্ছা প্রবল হয়৷ শুরুটা এভাবেই৷ বর্তমান সময়ের আলোচিত মডেল নায়লা নাঈম সম্পর্কে আরো জানতে দেখুন পরের ছবিগুলো৷

নায়লা নাঈম মনে করেন, সৃষ্টিকর্তা তাঁকে একজন পরিপূর্ণ স্বাভাবিক মানুষ হিসাবে তৈরি করেছেন৷ এটা তাঁর কাছে বিশাল ব্যাপার৷ নায়লার কথায়, ‘‘নিজেকে স্বাভাবিক ও সুন্দর একজন মানুষ হিসাবে দেখতে পারাটা আমাকে মুগ্ধ করে৷’’

বাংলাদেশের মডেল কন্যাদের সচরাচর যেসব পোশাকে দেখা যায় সেসব থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম নায়লা নাঈম৷ অনায়াসেই বিকিনি পরে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন তিনি৷ তাঁর মধ্যে কোন ধরনের জড়তাও নেই৷

স্বল্পবসনে তোলা নায়লা নাঈমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনার জন্ম দিয়েছে৷ তিনি অবশ্য সমালোচনায় পিছিয়ে যাবার পাত্র নন৷ ডয়চে ভেলেকে নায়লা বলেন, ‘‘অনেকে হয়তো ব্যাপারটিকে সহজভাবে নিতে পারেননি এবং সমালোচনা করেছেন৷ কিন্তু অনেকেই কিন্তু এই একই কাজগুলোর অনেক প্রশংসাও করেছেন৷’’

নায়লা নাঈম তাঁর অনুসারীদের কাছে গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সমালোচনার মাঝে সৃজনশীল কিছু পেলে সেটাকে গ্রহণ করতে বা সেখান থেকে কিছু শেখার থাকলে সেটাকে ইতিবাচকভাবে নিতে আপত্তি নেই আমার৷’’

বলাবাহুল্য বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ৷ নায়লা অবশ্য তাঁর কাজের ক্ষেত্রে ধর্মকে কোন বাধা মনে করেন না৷ বরং তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের নিজেদের একটা স্বকীয় সংস্কৃতি আছে৷ দেশীয় সংস্কৃতির কথা এবং ধমীয় মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে যতটুকু অগ্রগতি সম্ভব ঠিক ততখানি এগিয়ে যাওয়া আমি সমর্থন করি৷’’

বিকিনি কিংবা পশ্চিমা আদলে তৈরি স্বল্প পোশাকে সাবলীল হলেও কখনো মডেলিং বা অভিনয়ের প্রয়োজনে নগ্ন বা বিবসনা হবেন না নায়লা৷ নিজের এই অবস্থানের কথা পরিষ্কার জানিয়েছেন তিনি৷ নায়লা বলেন, ‘‘আমাকে কখনোই এইরকম কোন দৃশ্যে দেখা যাবার সম্ভাবনা নেই যেটা আমাদের সংস্কৃতির সাথে পুরোপুরি বেমানন৷’’

নায়লা নাঈম এখন অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন৷ মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয়ে মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি৷ রানআউট, আদি, ওয়ান মিলিয়ন ডলারসহ কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করছেন তিনি৷ শীঘ্রই সংগীত শিল্পী প্রীতম আহমেদ এর সাথে একটি মিউজিক ভিডিওতে দেখা যাবে তাঁকে৷

মডেলিং এর মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করলেও বাংলা চলচ্চিত্রে স্থায়ী ঠিকানা তৈরি করাই নায়লার বর্তমান লক্ষ্য৷ ভবিষ্যতে দর্শকদের গতানুগতিক ধারার বাইরে ব্যতিক্রমধর্মী কিছু উপহার দিতে চান তিনি৷ পশুপ্রেমিক নায়লা ভবিষ্যতে পশুপাখির জন্য একটি চিকিৎসা কেন্দ্র ও অভয়ারণ্য গড়তে আগ্রহী৷

মডেল, অভিনেত্রী নায়লা নাঈমকে পাওয়া যাবে ফেসবুকেও৷ তাঁর আনুষ্ঠানিক পাতার ঠিকানা: www.facebook.com/artist.nailanayem৷ বর্তমানে (১২.০৫.২০১৪) এই পাতায় অনুসারীর সংখ্যা ষাট হাজারের মতো৷