জার্মান গাড়ি নির্মাতা ফল্কসভাগেন-এর (বাংলাদেশে ভক্স ওয়াগেন নামে পরিচিত) সাবেক প্রধান নির্বাহী মার্টিন ভিন্টারকর্নের বিরুদ্ধে মার্কিন নিয়ন্ত্রকদের ভাঁওতা দেবার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন মার্কিন কৌঁসুলিরা৷
বিজ্ঞাপন
ফল্কসভাগেন কোম্পানির ডিজেল গাড়িগুলি থেকে বাস্তবিক কি পরিমাণ বায়ুদূষণকারী গ্যাস নির্গত হয়, তা নিয়ে কেলেঙ্কারির সূত্র হলো একটি সফটওয়্যার, যা নিয়ন্ত্রকদের মাপার সময় এই গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ কমিয়ে দেয় বটে, কিন্তু বাস্তবে সেই গাড়ি যখন রাস্তায় চলে, তখন দূষণ তার অনেক বেশি হয়৷ ২০১৪ সালে এই কেলেঙ্কারি প্রথম ফাঁস হয়৷ ‘ডিজেলগেটের’ ফলশ্রুতি হিসেবে ভিন্টারকর্ন ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পদত্যাগ করেন৷ তবে পদত্যাগের সময় তিনি বলেন যে, জ্ঞাতসারে তিনি কোনো অন্যায় করেননি৷
ঘটনাচক্র
- গত মার্চ মাসে সরকারি কৌঁসুলিরা গোপনে যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সেই অভিযোগপত্রটি বৃহস্পতিবার ডেট্রয়েটের একটি জেলা আদালতে খোলা হয়;
- অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে যে, ফল্কসভাগেন যে যুক্তরাষ্ট্রে ফল্কসভাগেন নির্মিত ডিজেল গাড়ি থেকে গ্যাস নির্গমন সংক্রান্ত সরকারি পরীক্ষায় কারচুপি করেছে, সে বিষয়ে ভিন্টারকর্নকে দু'বার অবহিত করা হয়েছিল: একবার ২০১৪ সালের মে মাসে, একবার ২০১৫ সালের জুলাই মাসে, অর্থাৎ ডিজেল কেলেংকারি ফাঁস হবার বেশ কিছু আগে;
- সব মিলিয়ে ভিন্টারকর্নের বিরুদ্ধে তিনবার ‘ওয়্যার ফ্রড’ বা আইটি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জোচ্চুরি, ও একবার ‘ক্লিন এয়ার অ্যাক্ট’ নামধারী বায়ুদূষণ সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়েছে;
- আদালতের এক মুখপাত্র বলেছেন যে, দোষী সাব্যস্ত হলে ভিন্টারকর্নের ২৫ বছর অবধি কারাদণ্ড এবং ২,৭৫,০০০ ডলার (২,৩০,০০০ ইউরো) অবধি জরিমানা হতে পারে;
- ডেট্রয়েটে মার্কিন অ্যাটর্নির (সরকারি কৌঁসুলির) অফিস থেকে জানানো হয়েছে যে, ভিন্টারকর্নকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷
‘একেবারে ওপর মহল পর্যন্ত’
জার্মানরা আজও যে সব গাড়ি নিয়ে পাগল...
এই সব মডেলের গাড়ি দেখে গাড়ি প্রেমিকদের চোখে আজও জল আসে৷ ফল্কসভাগেন থেকে বিএমডাব্লিউ, ওপেল থেকে মার্সিডিজ বেঞ্জ অবধি জার্মান গাড়ি নির্মাতারা নানা ‘কাল্ট মডেল’ তৈরি করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
ফল্কসভাগেন বিটল (১৯৩৮)
এক কথায় ‘ওল্ড ফেইথফুল’৷ সর্বসাকুল্যে দু’কোটি দশ লাখের বেশি বিটল তৈরি হয়েছে৷ ফল্কসভাগেন বিটল সম্ভবত বিশ্বের প্রখ্যাততম মোটরগাড়ি৷ ১৯৩৮ থেকে ২০০৩ সাল অবধি বিটল-এর ডিজাইন বিশেষ বদলায়নি৷ ‘হার্বি’ ফিল্মটার কথা মনে করুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ফল্কসভাগেন টি-ওয়ান (১৯৫০)
...বলতে বোঝায় ফল্কসভাগেন ক্যাম্পার ভ্যান, যা হিপি আন্দোলনের সময় খুব জনপ্রিয় হয়েছিল৷ জার্মানরা এর নাম দিয়েছিলেন ‘বুলি’৷ সে-যাবৎ এক কোটির বেশি ফল্কসভাগেন বাস বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে টি-ওয়ান মডেলের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮ লাখ৷
ছবি: DW/M. Reitz
মেসারস্মিট কেবিন স্কুটার (১৯৫৩)
মেসারস্মিট যে আদতে এয়ারোপ্লেন তৈরি করত, তিন চাকার এই এয়ায়োডাইনামিক গাড়িটির চেহারা দেখলেই তা বোঝা যায়৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিমান তৈরি বন্ধ হয়ে যায়, কাজেই মেসারস্মিট কিছুদিন ইঞ্জিনিয়ার ফ্রিটৎস ফেন্ড-এর সঙ্গে ‘ফ্লিটৎসার’ গাড়ির মডেলটি নিয়ে কাজ করে৷ তবে ১৯৫৬ সালের মধ্যেই মেসারস্মিট আবার বিমান উৎপাদনে ফেরে৷
ছবি: picture alliance/dpa/H. Galuschka
মার্সিডিজ ৩০০ এসএল (১৯৫৪)
গাড়িটার ডাকনাম হয়েছিল ‘গালউইং’ বা ‘গাঙচিলের পাখা’, কারণ দরজাগুলো ঠিক সেভাবেই ওপরের দিকে খুলত৷ ৩০০ এসএল সিলভার অ্যারো রেসিং কার-গুলো থেকেই মার্সিডিজ বেঞ্জ আবার মোটর রেসিং-এ ফেরে৷ লে মান্সের ২৪ ঘণ্টার মোটর দৌড় আর ক্যারেরা প্যানঅ্যামেরিকানা রেসিং ইভেন্টে জেতার পর ৩০০ এসএল গাড়ির একটি রাস্তায় চলা ও চালানোর মতো মডেল বার করা হয়৷
ছবি: Daimler AG
বিএমডাব্লিউ ইসেটা (১৯৫৫)
১৯৫৫ থেকে ১৯৬২ সাল অবধি ভালোই রোজগার করেছে বিএমডাব্লিউ এই ‘বাবল কার’ বা ‘বুদবুদ গাড়ি’-টি তৈরি করে৷ সস্তার কিন্তু কাজের এই মিনিগাড়িটিতে একটি মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন লাগানো ছিল৷ খুলতে হতো সামনে, ঠিক একটা ফ্রিজিডেয়ারের মতো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kneffel
পোর্শে নাইন-ইলেভেন (১৯৬৩)
ভাবলেই আশ্চর্য লাগে, পোর্শে ৯১১ স্পোর্টিং মডেলটি চলে আসছে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে! মোটরগাড়ির ইতিহাসে খুব কম মডেলই এতদিন ধরে চলে৷ তার উঁচু করা হেডলাইট আর পিছনদিকে নীচু বুট দেখলেই নাইন ইলেভেনকে চেনা যায়৷
ছবি: picture-alliance//HIP
মার্সিডিজ বেঞ্জ ৬০০ (১৯৬৪)
টেলিফোন, এয়ার কন্ডিশনিং আর ফ্রিজ লাগানো এই জার্মান লাক্সারি সেডানটি সত্তর আর আশির দশকে পোপ থেকে শুরু করে জন লেনন অবধি সেলিব্রিটিদের খুব প্রিয় ছিল৷ এমনকি ১৯৫৫ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন রাষ্ট্রীয় সফরে জার্মানিতে আসেন, তখন জার্মান সরকার মাননীয় অতিথির জন্য একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ ৬০০ ভাড়া করেছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ট্রাবান্ট ৬০১ (১৯৬৪)
ফল্কসভাগেন বিটল পশ্চিম জার্মানিতে যা ছিল, পূর্ব জার্মানিতে ট্রাবান্ট ৬০১ ছিল ঠিক তাই৷ প্লাস্টিকের বডি আর টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন সংযুক্ত এই ‘ট্রাবি’ ছিল এক হিসেবে পূর্ব জার্মানির প্রতীক৷ আজও প্রায় ৩৩,০০০ ‘ট্রাবি’ জার্মানির পথেঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷
ছবি: Imago/Sven Simon
ভার্টবুর্গ ৩৫৩ (১৯৬৬)
আইসেনাখ শহরের কাছে ভার্টবুর্গ দুর্গ, তারই নামে নাম রাখা হয়েছিল পূর্ব জার্মানির এই দ্বিতীয় আইকনিক গাড়িটির৷ তৈরি হতো প্রধানত রপ্তানির জন্য, যেমন হাঙ্গেরি অথবা ব্রিটেনে৷ তবে পশ্চিম জার্মানিতে ভার্টবুর্গ গাড়ির বিশেষ চাহিদা ছিল না৷
ছবি: picture-alliance/ZB/J. Wolf
ওপেল মান্টা (১৯৭০)
সৃষ্টি হয়েছিল মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য একটি স্পোর্টস মডেল হিসেবে – পরে সেটাই জার্মানির ‘ইয়ং ম্যান’-দের কাছে অভীপ্স বস্তু হয়ে দাঁড়ায়৷ মান্টা চালকদের নিয়ে জার্মানিতে অসংখ্য রসিকতা আছে: বিশেষ করে মান্টা চালকদের বুদ্ধি – অথবা তার অভাব নিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ফল্কসভাগেন গল্ফ (১৯৭৪)
১৯৭৪ সালে ফল্কসভাগেন কোম্পানি তাদের প্রথম গল্ফ মডেল বার করে – সুবিখ্যাত বিটল গাড়ির উত্তরসূরি হিসেবে৷ কমপ্যাক্ট হলেও, গল্ফ ছিল বেশ ‘স্পোর্টি’ আর তেলও খেতো কম – যা সত্তরের দশকের ‘অয়েল ক্রাইসিসে’ খুবই কাজে লেগেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
11 ছবি1 | 11
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল (সর্বোচ্চ সরকারি কৌঁসুলি) জেফ সেসন্স একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে, এই অভিযোগ প্রমাণ করে যে, ‘‘ফল্কসভাগেনের আইনগত শর্তাবলী ফাঁকি দেওয়ার প্রচেষ্টা সংস্থাটির একেবারে ওপর মহল পর্যন্ত গেছে৷’’
ফল্কসভাগেন বলেছে যে, তারা ব্যক্তিগত আইনগত মামলা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করবে না এবং ফল্কসভাগেন পূর্বাপর মার্কিন আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে৷
আদালতে হাজির হতে হবে না: মার্কিন প্রশাসন বলেছে যে, ভিন্টারকর্ন জার্মানিতে অবস্থান করছেন, বলে তাদের ধারণা৷ ৭০ বছর বয়সি ভিন্টারকর্ন যদি সত্যিই জার্মানিতে থাকেন, তবে তাঁর একটি মার্কিন আদালতে আসামি হিসেবে হাজির হওয়ার সম্ভাবনা কম, কেননা জার্মান সরকার অতি বিরল উপলক্ষ্যে একজন জার্মান নাগরিককে হস্তান্তরের অনুরোধ গ্রাহ্য করেন৷
শুধু ভিন্টারকর্ন নন: মার্কিন কৌঁসুলিরা ডিজেল কেলেংকারির ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ফল্কসভাগেন কোম্পানির আটজন ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন৷ ইতিমধ্যে তাদের মধ্যে দু'জন দোষ স্বীকার করেছেন, বাকি ছ'জন জার্মানিতে রয়েছেন, কাজেই তাদের যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তরের কোনো সম্ভাবনা নেই৷
জার্মান তদন্ত চলেছে: ডিজেল গাড়ি থেকে গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ সংক্রান্ত কেলেংকারিতে ভিন্টারকর্ন সহ ফল্কসভাগেন কোম্পানির অপরাপর নির্বাহীদের ভূমিকার ব্যাপারে জার্মান কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব তদন্ত চালাচ্ছেন৷ জার্মানিতেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে জুয়াচুরি ও ফাটকাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে৷
এসি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এপি, এএফপি)
গতবছরের জুলাই মাসের ছবিঘরটি দেখুন...
ইউরোপে পেট্রোল-ডিজেলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার?
শুধু জার্মানিতে ডিজেলগেট কেলেঙ্কারির কারণে নয়, বায়ুদূষণ কমাতে ডিজেল ও পেট্রোলচালিত গাড়ি ধাপে ধাপে বন্ধ করার জন্য চাপ বাড়ছে গোটা ইউরোপে৷ কিন্তু এমন বৈপ্লবিক পদক্ষেপের পথে রয়েছে অনেক বাধা-বিপত্তি ও জটিলতা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Woitas
বিকল্প জ্বালানির ধীর অগ্রগতি
২০১৬ সালের হিসেব অনুযায়ী গোটা ইউরোপে মাত্র ০ দশমিক ২ শতাংশ গাড়ি পুরোপুরি বিদ্যুৎচালিত ছিল৷ হাইব্রিড গাড়ি ধরলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ৷ প্রযুক্তির উন্নতি সত্ত্বেও রাজনৈতিক সদিচ্ছা, অবকাঠামোর অভাবের মতো অনেক কারণে ইউরোপে পরিবহণের ক্ষেত্রে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার এখনো নগণ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Woitas
গাড়ি কোম্পানিগুলির প্রতিরোধ
পেট্রোল-ডিজেল ‘লবি’ প্রচলিত গাড়ির পক্ষে যে সব যুক্তি দেখায়, কর্মসংস্থান তার মধ্যে অন্যতম৷ যেমন জার্মানির গাড়ি শিল্পের সংগঠন ভিডিএ-র দাবি, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রচলিত পেট্রোল-ডিজেল ইঞ্জিন উৎপাদন বন্ধ করলে জার্মানিতে প্রায় ছ’লক্ষ মানুষ চাকরি হারাতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jan Woitas
বিকল্প জ্বালানি ও কর্মসংস্থান
বিকল্প জ্বালানির সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপানের ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের যে জোয়ার দেখা গেছে, ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রেও তেমনটা ঘটবে বলে পূর্বাভাষ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ একটি হিসেব অনুযায়ী ২০১৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ইউরোপে এক্ষেত্রে ২৫ হাজার নতুন চাকরি হবে৷
ছবি: picture alliance/dpa/U. Zucchi
দুর্বল ব্যাটারি নিয়ে সমস্যা
ইলেকট্রিক গাড়ির অন্যতম সমস্যা ঘনঘন ব্যাটারি চার্জের প্রয়োজনীয়তা৷ তার উপর চার্জিং-স্টেশনের সংখ্যা এখনো কম৷ সেই নেটওয়ার্ক বাড়ালে ও ব্যাটারির দাম কিলোওয়াট-প্রতি ১০০ মার্কিন ডলারে নেমে এলে প্রচলিত গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে ইলেকট্রিক গাড়ি৷ ২০২০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে এমনটা সম্ভব হবে বলে পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld
নিষেধাজ্ঞার পথ
ব্রিটেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে দেশে ২০৪০ সাল থেকে কোনো নতুন পেট্রোল ও ডিজেলচালিত গাড়িকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে না৷ ইউরোপে একের পর এক দেশ ও শহর এমন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে চলেছে৷ বায়ুদূষণ কমাতে ও বিকল্প জ্বালানিচালিত গাড়ির উৎপাদনকে উৎসাহ দিতে এমন সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/S.Barbour
‘একলা চলো রে’ নীতির সমস্যা
ইউরোপের গাড়ি শিল্প পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত৷ তাই ব্রিটেনের মতো দেশ বা কিছু শহর বিচ্ছিন্নভাবে পেট্রোল-ডিজেল বর্জন করলে নির্গমনহীন গাড়ি তৈরির প্রয়াস উলটে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন৷ আমদানি-রপ্তানির ক্ষতি, যন্ত্রাংশ সরবরাহে বিঘ্নের ফলে বিকল্প জ্বালানির গাড়িতে বিনিয়োগ কমে যাবার আশঙ্কা রয়েছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/L. M. Mirgeler
চাপের মুখে গাড়ি শিল্প
জার্মানির দু’টি প্রধান গাড়ি কোম্পানি ‘ক্লিন ডিজেল’ প্রযুক্তিতে বিশাল বিনিয়োগ করেছে৷ কিন্তু ২০১৫ সালে অ্যামেরিকায় গাড়ির কার্বন নির্গমন পরীক্ষায় কারচুপি স্বীকার করে নেয় ফলক্সভাগেন কোম্পানি৷ আউডি, পর্শে সহ কোম্পানির এই অসৎ কাজ জার্মানির পরিবহণ কর্তৃপক্ষ ধরতে পারেনি৷ তাই জার্মান গাড়ি শিল্প ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চাপের মুখে পড়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch
পরিবর্তনের শীর্ষে ভলভো
সুইডেনের ভলভো কোম্পানি জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৯ সালের পর তারা আর কোনো পেট্রোল ও ডিজেলচালিত গাড়ি উৎপাদন করবে না৷ এই প্রথম কোনো বড় আকারের গাড়ি কোম্পানি এমন সাহসি পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ উল্লেখ্য, সুইডেন ২০৪৫ সালের মধ্যে সব ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বন্ধ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে৷