1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফাস্ট ফুড

চিপোন্ডা চিম্বেলু / এআই২১ জানুয়ারি ২০১৩

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফাস্ট ফুড একটি শিশুর হাঁপানি হওয়ার শঙ্কা বাড়ায় প্রায় ৪০ শতাংশ৷ ৩১টি দেশের শিশুদের উপর এক গবেষণা থেকে জানা গেছে এ তথ্য৷ আর এ শঙ্কা থেকে বাঁচতে শিশুদেরকে দিতে হবে স্বাস্থ্যকর খাদ্য৷

ছবি: picture alliance/Lajos-Eric Balogh

ফাস্ট ফুড খেলে শিশুদের হাঁপানি, একজিমা বা চর্মরোগ এবং নাকের সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়৷ ‘থোব়্যাক্স' জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য৷ এতে দেখা যাচ্ছে, যে সব অল্প বয়সি শিশু-কিশোর সপ্তাহে তিন বা তার বেশি বার ফাস্ট ফুড খায়, তাদের হাঁপানি হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি৷ ছয় থেকে সাত বছর বয়সিদের মধ্যে এই শঙ্কা ২৭ শতাংশ৷ গবেষকরা বলছেন, অল্প বয়সিদের মধ্যে যারা ফলমূল এবং শাকসবজি বেশি খায়, তাদের হাঁপানি বা অ্যালার্জির ঝুঁকি অনেক কম থাকে৷

সর্বশেষ গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত লেখক  অধ্যাপক লুইস গার্সিয়া-মার্কোস এর মতে, এক্ষেত্রে ফাস্ট ফুড খাওয়া ছাড়াও কিছু ফ্যাক্টর রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সারা বিশ্বেই এমনটা ঘটছে৷ এসব রোগের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে পৃথিবীর পশ্চিমাকরণ বা ম্যাকডোনাল্ডাইজেশনও দায়ী৷''

ছোটবেলায় হাঁপানি এবং অ্যালার্জি বিষয়ক গবেষণা প্রকল্প আইসাক'এর জন্য ১৯৯৪ সাল থেকেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন৷ এখন অবধি ১০০টি দেশের বিশ লাখের মতো শিশুকে এই গবেষণা প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষা করা হয়েছে৷

ছোটরা কি খাচ্ছে, তার খেয়াল রাখা দরকারছবি: MEHR

মাক্স রুবনার ইন্সটিটিউটের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ বের্নহার্ড ওয়াটসেল এই বিষয়ে বলেন, ‘‘যেসব শিশু ফাস্ট ফুডে অভ্যস্ত তারা সাধারণত বাড়িতেও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খায়৷ তাদের মধ্যে মাংস এবং শর্করা গ্রহণের প্রবণতা বেশি৷''

গবেষকদের প্রকাশ করা এসব উদ্বেগজনক তথ্যের প্রভাবও অবশ্য জনজীবনে পড়তে শুরু করেছে৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে ক্যালিফোর্নিয়ার কথা৷ সেখানকার রাজ্য কর্তৃপক্ষ ২০১০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে রেস্তরাঁয় ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার বিক্রি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে৷ এছাড়া নিউ ইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ রেস্তরাঁয় চিনিযুক্ত বড় পানীয় বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গত সেপ্টেম্বর থেকে৷

ওয়াটসেল মনে করেন, জার্মানিতে এরকম উদ্যোগ খুব সহজে হয়ত দেখা যাবে না৷ কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপের খাদ্য পরিবেশ প্রমিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি৷ তাঁর চেয়ে বরং আপাত সমাধান হচ্ছে, শিশুদেরকে স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া৷ যাতে করে তারা ফাস্ট ফুডে আগ্রহী না হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ