আন্তর্জাতিক প্রাণী দিবসটা একটু আলাদাভাবেই পালন করেন ফিলিপাইন্সের পোষা প্রাণীর মালিকরা৷ তবে করোনার কারণে এবার আয়োজনটি ছিল ব্যতিক্রমী৷
বিজ্ঞাপন
একদিকে বিশ্ব প্রাণী দিবস, অন্যদিকে অ্যাসিসির পশুপ্রেমী সেইন্ট ফ্রান্সিসের ভোজসভা৷ ম্যানিলার বাসিন্দারা এদিন তাদের পোষা প্রাণীদের নিয়ে বের হন যাজকদের আশীর্বাদ নিতে৷
গত রোববারও বেরিয়েছিলেন তারা প্রিয় কুকুর, বিড়াল কিংবা পাখিদের সঙ্গে করে৷ তবে প্রাণীরা ছিল মালিকদের গাড়ির ভিতরে৷ ক্যাথলিক যাজকরা বাইরে দাঁড়িয়ে তাদের আশীর্বাদ করেছেন৷ দূর থেকে গায়ে ছিটিয়ে দিয়েছে পবিত্র পানি৷ করোনার কারণেই ছিল এমন সতর্কতা৷
আয়োজকদের একজন রিচি পাসকুয়েল বলেছেন, ‘‘আমাদেরকে এবার ‘নিউ নর্মাল’- এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে৷ তবে মহামারি প্রাণীদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা প্রদর্শন থেকে কখনো বিচ্যুত করতে পারে না৷’’
যা কিছুই ঘটুক এ দিন প্রাণীদের আশীর্বাদধন্য না করার বিষয়টি ভাবতে পারেন না সেখানকার অনেকেই৷ যেমন আর্লেনে প্যাড্রোন৷ ‘‘বিষয়টি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা, পোষা প্রাণীরা আমাদের পরিবারেরই সদস্য,’’ গাড়ি নিয়ে যাজকের আশীর্বাদ জলের অপেক্ষারত অবস্থায় বলছিলেন তিনি৷ এর মাধ্যমে প্রাণীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে এমনটাই তাদের বিশ্বাস৷
বর্তমানে ফিলিপাইন্সে তিন লাখ ২২ হাজার কোভিড আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ৷
এফএস/এসিবি (রয়টার্স)
১০ জুলাইয়ের ছবিঘরটি দেখুন...
করোনায় বেড়েছে প্রাণী হত্যা
বন্যপ্রাণী শিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে করোনায়৷ ইউরোপের সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলোতে পশু ও পাখি শিকার করা হচ্ছে অবৈধভাবে৷ বিশেষ করে শিকারি পাখি ও স্টার্জন মাছ বেশি হুমকির মুখে৷
ছবি: Gábor Deák
ফ্যালকাও ও কার্লোর ব্যস্ততা
সম্প্রতি ফ্যালকাও ও কার্লো নামের দু’টি কুকুরের ব্যস্ততা বেড়েছে৷ তারা বন্যপ্রাণীর বিরুদ্ধে অপরাধ চিহ্নিতকরণ দলের অংশ৷ কোথায় কোন ঈগল মরে পড়ে আছে, কোথায় মাংস পঁচে গেছে, কোথায় ডিম বিষাক্ত হয়ে আছে, এসব খুঁজে বের করা এদের কাজ৷ হাঙ্গেরিতে থাকে এরা৷
ছবি: Gábor Deák
বেড়েছে বন্যপ্রাণী শিকার
লকডাউন প্রাণীদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল৷ এরা এতটাই নির্ভীক হয়ে উঠেছিল যে হরিণ,বনবিড়ালসহ অনেক প্রাণীর শহরে আনাগোণা দেখা গিয়েছিল৷ কিন্তু এ সময় বিপদেও পড়েছে অনেক প্রাণী৷ গুলি করে, ফাঁদ পেতে বা বিষ দিয়ে এদের হত্যাও করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/R. Sturm
বেশি ঝুঁকিতে হিংস্র পাখিরা
ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া শিকারী পাখিদের হত্যা করা বা তাদের ঘর নষ্ট করা অপরাধ৷ অথচ হিসেব করে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে ৩০০ জোড়া স্ত্রী হ্যারিয়ার পাখি থাকার কথা, সেখানে এখন ১০ থেকে ১৫ জোড়া দেখা যাচ্ছে৷ পাখি সুরক্ষায় যুক্তরাজ্যের রয়াল সোসাইটি বলছে, এর কারণ অবৈধ পাখি শিকার৷
ছবি: RSPB
দায় শখের পাখি শিকারির?
এপ্রিলের লকডাউনের সময় এই লাল চিলটির মরদেহ চেক রিপাবলিকের ক্লাটোভিতে পাওয়া যায়৷ ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপে শখের শিকারিদের পছন্দের ‘গেম বার্ড’ বলে পরিচিত পাখি ও খরগোশগুলো শিকারি পাখিদের কারণে ঝুঁকিতে ছিল৷ এদের অনেককে মেরে ফেলার এটা একটা কারণ৷ এছাড়া গৃহপালিত প্রাণীদের রক্ষায়ও এমন কাজ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷
ছবি: Klára Hlubocká
স্নিফার ডগের অবদান
স্লোভাকিয়ায় শিকারি পাখি সংরক্ষকরা জানিয়েছেন, তাদের দলে স্নিফার ডগ বা প্রখর ঘ্রাণশক্তির কুকুরগুলো যোগ দেয়ার পর থেকে কাজে অনেক সুবিধা হয়েছে৷ এমনকি অবৈধ শিকারের উৎপাতও কমেছে৷
ছবি: Gábor Deák
অবৈধ মাছ শিকার
শুধু যে বন্যপ্রাণীরাই মানুষের অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তা নয়, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া ও ইউক্রেনে অবৈধ মাছ শিকারও হয়েছে অনেক৷ এদের দৌরাত্ম্যে সবচয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিলুপ্তপ্রায় স্টার্জন মাছ৷ ডায়নোসরের আমল থেকে পানির তলে ঘুরে বেড়ানো এই মাছগুলো ধরা এখন নিষিদ্ধ৷ কিন্তু করোনাকালে দুর্বৃত্তরা শোনেনি সে কথা৷