ফিলিপাইন্সের মতো উন্নয়নশীল দেশে বেড়ে চলা জনসংখ্যার চাহিদা মেটানো কঠিন কাজ৷ একইসঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণও জরুরি৷ এক যাজকের নেতৃত্বে একদল মানুষ ছোট আকারে হলেও দূষণমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
নাগরিক প্রতিরোধ
আটিমোনান এলাকার প্যারিশের মানুষ এক পরিকল্পিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাইটের দিকে চলেছেন৷ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে কি? সাইটে কী চলছে, তার হুবহু বিবরণ নথিভূক্ত করেন তাঁরা৷
স্থানীয় পাদ্রি নোয়েল ভিলারেয়াল বলেন, চারিদিকে গাছ কাটা হচ্ছে৷ কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সমুদ্র দূষিত হবে বলে তাঁর আশঙ্কা৷ তাঁর মতে, ‘‘বিশ্বজুড়ে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি ত্যাগ করার যে অভিযান চলছে, আমরা তাতে যোগ দিচ্ছি৷ আন্তর্জাতিক এই আন্দোলনে আমরা শামিল হচ্ছি৷ শুধু স্থানীয় পর্যায়ে নয়, বৃহত্তর পরিসরে কিছু করার চেষ্টা করছি৷ আমাদের এখানকার মানুষের সুরক্ষার পাশাপাশি পৃথিবীর সুরক্ষার বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হচ্ছি৷'' কয়লাবিদ্যুৎসৌরশক্তির নানাবিধ প্রয়োগের দৃষ্টান্তবেড়ে চলা বিদ্যুতের চাহিদা
পরিবেশ নিয়ে জার্মানরা বরাবরই সচেতন৷ তা জৈব খাবার হোক, জ্বালানি সাশ্রয় কিংবা আবর্জনা আলাদা বা পুনর্ব্যবহার করা – এ সব নিয়ে জার্মানদের ভাবনার শেষ নেই৷ তবে এরপরও অনেকেরই রয়েছে নানা ভুল ধারণা৷ তারই কিছু নমুনা থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দেশীয় ফল ও সবজি
দেশীয় ফল ও সবজি খাওয়ার কথা আজকাল প্রায়ই শোনা যায়৷ কিন্তু নিজের দেশের শাক-সবজি ও ফল তখনই ভালো, যদি সেসব ফ্রিজে রাখা না হয়৷ অর্থাৎ মৌসুমি ফল আর সবজি৷ ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণে যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হয়, বিদেশ থেকে জাহাজে পণ্য পরিবহণ করতে তার চেয়ে অনেক কম নিঃসরণ হয়৷
ছবি: DW/M. Mamun
পানির অপচয় নয়
দাঁত ব্রাশের সময় ট্যাপের পানি ছেড়ে রাখা মানেই পানির অপচয়! তাই পানির খরচ কমাতে প্রায় সকলেই এ ব্যাপারে সচেতন জার্মানিতে৷ কিন্তু পানির বড় বড় পাইপগুলোতে জলবণ্টন বা পানির ফোর্স বাড়ানোর যে বাড়তি জল দেওয়া হয়, তা নিয়ে কেউ ভাবেন না৷ এতে যে জল অপচয় হয়, তা নিয়ে প্রশ্নও করেন না কেউ!
ছবি: picture-alliance/dpa/J.Büttner
বিদ্যুৎ সাশ্রয়
জার্মানিতে অনেকেই এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যাওয়ার সময় লাইট অফ করে যান৷ ধারণা, এতে করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে৷ কিন্তু সেটা মোটেই ঠিক নয়৷ বরং কিছুক্ষণ পর আবারো নতুন করে লাইট ‘অন’ হতে যে জ্বালানি খরচ হয়, তা কিছুক্ষণ ‘অফ’ থাকার চেয়ে অনেক বেশি৷
ছবি: Fotolia/Marco2811
ওয়াশিং মেশিনের শর্ট প্রোগ্রাম বিদ্যুৎ বাঁচায়?
মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় ‘শর্ট প্রোগাম’ বা দ্রুত কাচার ‘অপশন’-টি বেছে নিলে কম জ্বালানি খরচ হয় বলেই বিশ্বাস করেন কেউ কেউ৷ এটাও কিন্তু সঠিক নয়৷ কারণ অনেকক্ষণ ধরে মেশিন চললে এবং ধীরে ধীরে চললে জ্বালানি খরচ তো কম হয়ই, কাপড়ও ভালো পরিষ্কার হয়৷ হালের মেশিনগুলোতে অবশ্য পরিবেশবান্ধব ‘ইকো প্রোগ্রাম’ রয়েছে, যা জ্বালানি সাশ্রয় করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/gms AEG
হাত দিয়ে বাসন ধোয়া কি পরিবেশবান্ধব?
মোটেই না৷ কারণ ট্যাপের গরম পানি ছেড়ে রেখে একটি করে বাসন ধুলে, বিদ্যুৎ এবং পানি দু’টোরই বেশি খরচ হয়৷ অন্যদিকে মেশিনে ধোয়ার সময় বিদ্যুৎ ও পানি – দু’টোই কম খরচ হয়৷ তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি ডিশওয়াশারটি বাসন দিয়ে পুরো ভরে নিয়ে তারপর চালানো হয়৷ এতে কম খরচে একসঙ্গে অনেক বাসন ধোয়া হয়ে যায়!
ছবি: Colourbox/Viacheslav
5 ছবি1 | 5
তাঁর আর্থিক সহায়তায় চালিত অন্যতম প্রকল্প হলো এই সবুজ টিলা৷ এক বছর আগেওজায়গাটি ছিল দুর্গন্ধের ভরা আবর্জনার পাহাড়৷ম্যানিলার সবচেয়ে বড় জঞ্জালের স্তূপ ছিল সেটি৷ এখন সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়৷ মাটি দিয়ে সব জঞ্জাল ঢাকা হয়েছে৷ প্লান্টের উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে প্রায় ১০ লক্ষ ইউরো ঋণ নিয়েছেন৷ সিলভার নাভারো ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এই প্রকল্পের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছিলেন৷ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সিলভার নাভারো বলেন, ‘‘মাটির নীচে চাপা আবর্জনা মিথেন ও অন্যান্য গ্যাস উৎপাদন করে৷ পাম্পের মাধ্যমে মাটির গভীর স্তর থেকে তা উত্তোলন করা হয়৷ আমাদের কাছে এমন ১০০টিরও বেশি পাম্প রয়েছে৷''
আজকের বিশ্বে অনেক দেশেই জ্বালানি-নীতি নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা চলছে৷ জাপানে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর জার্মানি পরমাণু ও জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি সম্পূর্ণ বর্জন করে পুরোপুরি বিকল্প পথে অগ্রসর হচ্ছে৷
ছবি: Reuters
ফুকুশিমা বিপর্যয়ের গভীর প্রভাব
২০১১ সালের মার্চ মাসে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের ঠিক আগে জার্মানি তার পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ কিন্তু জাপানের মতো শিল্পোন্নত দেশে পরমাণু চুল্লির এমন বিপর্যয়ের ফলে জার্মানি সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়৷ ধাপে ধাপে সব পরমাণু কেন্দ্র বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার৷
ছবি: dapd
জ্বালানি-নীতির আমূল পরিবর্তন
আর দেরি না করে ২০১১ সালের ৬ই জুন জার্মানির মন্ত্রিসভা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয়৷ এই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধাপে ধাপে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে ২০২২ সালে জার্মানির শেষ পরমাণু কেন্দ্র অচল করে দেওয়া হবে৷ অন্যদিকে ২০২০ সালের মধ্যে গোটা দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ আসবে বিকল্প জ্বালানি থেকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শুধু বিদ্যুতের উৎস নয়
জ্বালানি-নীতির ক্ষেত্রে জার্মানির এই আমূল পরিবর্তন শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই৷ সার্বিক এই নীতির আওতায় পরিবহণ ও শীতকালে ঘরবাড়ি গরম রাখার উত্তাপের উৎসকে রাখা হয়েছে৷ এ সব ক্ষেত্রেও জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে না পারলে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়৷
ছবি: REUTERS
বিকল্প জ্বালানির আর্থিক সুবিধা
ছাদে সোলার প্যানেল লাগালে জার্মানিতে বাড়ির মালিক তা থেকে দু’পয়সা আয় করতে পারেন৷ একদিকে সরকার নামমাত্র সুদে ঋণ ও অন্যান্য অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে৷ অন্যদিকে কিছু বিদ্যুৎ কোম্পানি তাঁদের কাছ থেকে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ কিনে নিতে পারে৷
ছবি: DW/G.Rueter
লোকসানের ধাক্কা
জার্মানির সবচেয়ে বড় বেসরকারি জ্বালানি কোম্পানি ‘এয়ন’ জ্বালানি-নীতির পরিবর্তনের ফলে মারাত্মক লোকসানের মুখ দেখছে৷ নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে কাঠামোগত পরিবর্তনের ফলেও আপাতত আর্থিক ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে এই সংস্থাকে৷ ২০১৬ সালের প্রথমার্ধে লোকসানের মাত্রা ছিল প্রায় ৩০০ কোটি ইউরো৷ অন্যান্য কিছু সংস্থাও লোকসানের মুখ দেখছে৷
ছবি: Reuters/I. Fassbender
পরিবেশ সংরক্ষণ বিধি
বিকল্প জ্বালানি উৎপাদন পরিবেশের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে৷ কিন্তু পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত কড়া বিধিনিয়িমের ফলে এমন প্রকল্পও বাধার মুখে পড়ছে৷ যেমন উপকূলের কাছে সমুদ্রের উপর বায়ুশক্তি টার্বাইন গড়ে তোলার বিরুদ্ধে মামলা করেছে এক পরিবেশ সংগঠন৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পের পরিকল্পনার সময় পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলি বিবেচনায় রাখলে এমন সমস্যা এড়ানো সম্ভব৷
ছবি: Bund/M.Rode
বাজার অর্থনীতির উপযোগী
শুধু সরকারের একার পক্ষে জ্বালানি-নীতির পরিবর্তন ও বিকল্প জ্বালানি উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়ার প্রচেষ্টা কোনো দেশেই বেশি দিন চলতে পারে না৷ জার্মানি দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর বিকল্প জ্বালানির ক্ষেত্রে কিছু ভরতুকি বন্ধ করে দিয়েছে৷ সরকারের বক্তব্য, বিকল্প জ্বালানি উৎপাদন এতদিনে লাভজনক হয়ে উঠেছে৷ বাজার অর্থনীতির প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে টিকে থাকার ক্ষমতাও এসে গেছে৷
ছবি: BELECTRIC.com
বিদ্যুৎ পরিবহণ
বিকল্প জ্বালানির উৎপাদন বাড়িয়ে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমানো যায় বটে, কিন্তু ‘ক্লিন এনার্জি’ গোটা দেশে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ৷ জার্মানির উত্তরে সমুদ্র উপকূল থেকে বায়ুশক্তি প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বাভেরিয়া রাজ্যে পৌঁছে দিতে বিশাল এক প্রকল্পের কাজ চলছে৷ এই উদ্যোগকে ঘিরে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সামলে নিতে পারলে এই পথে ২০২২ সাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে৷
ছবি: Fotolia/Thorsten Schier
জার্মানির সুদূরপ্রসারী জ্বালানি নীতি
জ্বালানির ক্ষেত্রে জার্মানি যে সুদূরপ্রসারী নীতি গ্রহণ করেছে, তার তুলনা মেলা ভার৷ এ বিষয়ে আরও জানতে চান? উপরে ডানদিকে ক্লিক করুন৷
ছবি: Reuters
9 ছবি1 | 9
আজ শিশুরা জঞ্জালের গাড়ি থেকে সরাসরি যা পারে সংগ্রহ করার চেষ্টা করে৷ চালক কয়েক মিনিটের জন্য ট্রাক থামান, যাতে শিশুরা লাফিয়ে নেমে যেতে পারে৷ ১৩ বছর বয়সি ব্রায়ানও তাদের মধ্যে অন্যতম৷ ৩ বছর ধরে সে আবর্জনা ঘাঁটছে৷ মা ও ৫ ভাইবোনের সংসারে সে থাকে৷ সে কিছুটা লেখাপড়া শিখে গর্ব অনুভব করে৷ ব্রায়ান বলে, সে সপ্তাহের প্রতিটি দিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ করে এবং প্রায় ২০০ পেসো আয় করে, যা মাত্র ৩ ইউরোর সামান্য বেশি৷ বড় হলে সে জঞ্জালের ট্রাকে কাজ করতে চায়৷
বিকল্প হিসেবে সৌরশক্তির ব্যবহার
আটিমোনান এলাকার মানুষের আশা, কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শেষ পর্যন্ত বন্ধ করা সম্ভব হবে৷ নির্মাণকাজের শেষ অনুমতি এখনো বাকি রয়েছে৷ তাঁরা দূষণহীন বিদ্যুতের ক্ষেত্রে নিজস্ব অবদান রাখতে চান৷ নোয়েল ভিলারেয়াল বলেন, ‘‘আমরা দুই সেট সৌর প্যানেল বসিয়েছি৷ একটি যাজকের দপ্তর, অন্যটি গির্জার উপর৷ গির্জার জন্য সস্তায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আমাদের উদ্দেশ্য৷ একই সঙ্গে এর মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে দেখাতে পারি যে, আমরা পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতে পারি৷ একবার এটা করে দেখাতে পারলে ধীরে ধীরে দূষণযুক্ত জ্বালানি ছেড়ে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির পথে আমরা এগোতে পারি৷''
আগামী বছর থেকে তাঁরা সৌর প্যানেল দিয়ে গোটা ছাদ ঢেকে দিতে চান৷ ছোট এই প্যারিশ পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনা বাড়াতে এর মধ্যেই বেশ কিছু ভালো কাজ করেছে৷
ইওয়ানা গটশাল্ক/এসবি
বিশ্বের সবচেয়ে সবুজ সাত শহর
নিজেদের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন শহর৷ চলুন এখন অবধি সফল কয়েকটি শহরের কথা জেনে নেয়া যাক৷
ছবি: picture alliance/GES/M. Gilliar
কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ শহর হতে চায় কোপেনহেগেন৷ ১৯৯৫ সাল থেকে এখন অবধি শহরটি কার্বন নির্গমণের হার অর্ধেকে কমিয়ে এনেছে৷ শহরের একটি বড় অংশকে গাড়িমুক্ত করে এবং উচ্চমানে গণপরিবহন এবং সাইকেল আরোহীদের জন্য আলাদা লেন গড়ে ক্রমশ সবুজ শহরে পরিণত হচ্ছে ডেনমার্কের এই রাজধানী৷
ছবি: DW/E. Kheny
রেকইয়াভিক, আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ডের রাজধানীতে তাপ এবং বিদ্যুতের পর্যাপ্ত নবায়নযোগ্য সাপ্লাই রয়েছে৷ মূলত হাইড্রোপাওয়ার এবং জিওথার্মাল থেকে আসে এগুলো৷ শহরটির ৯৫ শতাংশ বাড়ির হিটিং সিস্টেম সরাসরি জেলা হিটিং নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত, যা এক চমৎকার ব্যাপার৷ ২০৪০ সাল নাগাদ শহরের সকল গণপরিবহণ জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত করতে হয় নগর কর্তৃপক্ষ৷ সেখানে সাধারণ মানুষকে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/U. Bernhart
কুরিটিবা, ব্রাজিল
ব্রাজিলের অস্টম বড় শহর কুরিটিবার ৬০ শতাংশ মানুষ শহরের বাস নেটওয়ার্কের উপর নির্ভরশীল৷ শহরটিতে আড়াইশ’ কিলোমিটার সাইকেল লেন রয়েছে৷ পাশাপাশি হাঁটার জন্যও আছে বিশেষ ব্যবস্থা৷ শহরটির প্রাকৃতিক সবুজ দেয়াল বন্যা রোধে সহায়তা করে৷
ছবি: picture alliance/GES/M. Gilliar
সান ফ্রান্সিসকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সান ফ্রান্সিসকো শহরে ২০১৬ সালে এক আইন পাস করা হয় যাতে নতুন সব ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়৷ শহরটিতে প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ সেই ২০০৭ সাল থেকে৷ ২০২০ সাল নাগাদ নিজেদের আর্বজনামুক্ত শহর ঘোষণার পরিকল্পনা করছে সান ফ্রান্সিসকো৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Edelson
ফ্রাংকফুর্ট, জার্মানি
২০৫০ সাল নাগাদ শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর শহরে পরিণত হতে কাজ শুরু করেছে ফ্রাংকফুর্ট৷ নতুন তৈরি হওয়া ভবনগুলোকে জ্বালানি সাশ্রয়ী করতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে৷ পিভিসির মতো বিতর্কিত সামগ্রী নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ শহরটি আবর্জনার পরিমাণ নাটকীয়ভাবে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে এক কার্যকরী পন্থা অবলম্বন করে৷
ছবি: CC BY Epizentrum 3.0
ভ্যানকুভার, কানাডা
২০২০ সাল নাগাদ বিশ্বের সবচেয়ে সবুজ শহরে পরিণত হতে চায় ফ্রাংকফুর্ট৷ ২০০৭ সালের তুলনায় সেসময় কার্বন নির্গমণের মাত্রা ৩৩ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায় শহরটি৷ শহরটির প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের প্রায় সবটাই আসে হাইড্রোইলেক্ট্রনিক ড্যাম থেকে৷ তবে হিটিং এবং গণপরিবহণে এখনো গ্যাস এবং তেল ব্যবহার করে শহরটি৷
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS.com/A. Chin
কিগালি, রুয়ান্ডা
কিগালিকে বলা হয় আফ্রিকার সবচেয়ে পরিষ্কার শহর৷ এটি পথচারী এবং সাইকেল আরোহীদের জন্য আলাদা লেন করার পরিকল্পনা করেছে৷ সেখানে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ আর নগরের বাসিন্দারা মাসে একদিন নগর পরিষ্কারের কাজ করেন৷ তবে নগর পরিষ্কার রাখতে গিয়ে নগরের বাসিন্দাদের উপর বাড়াবাড়িরকম চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন৷
ছবি: Imago/robertharding
লিবিয়ানা, স্লোভেনিয়া
ইউরোপের সবুজ রাজধানী ২০১৬ খেতাবজয়ী এই শহরে বিদ্যুতের উৎস হাইড্রোপাওয়ার৷ গণপরিবহণ, পথচারীদের এবং সাইকেল আরোহীদের জন্য আলাদা লেনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে শহরটি৷ ইউরোপের প্রথম শজর হিসেবে আবর্জনার মাত্রা শূণ্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে শহরটি, ইতোমধ্যে আবর্জনার ৬০ শতাংশ রিসাইকেল করতে সক্ষম হয়েছে শহরটি৷