ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট দুতার্তে এবিএস-সিবিএন বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন৷ মঙ্গলবার থেকে ফিলিপাইন্সের সবচেয়ে বড় সম্প্রচার মাধ্যমটি সত্যিই বন্ধ রয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দুতার্তের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রচার করেনি এবিএস-সিবিএন৷
ফিলিপাইন্সে মৃতের সঙ্গে বসবাস
নিদারুণ অর্থকষ্টে মাথা গোঁজার ঠাঁই মেলে না৷ আর তাই কবরস্থানেই বাস করছেন রাজধানী ম্যানিলার প্রায় ছয় হাজার মানুষ৷
ছবি: Claudio Sieber
গরিবের শেষ আশ্রয়
উত্তর ম্যানিলার এ কবরস্থানটিতে বাস করে প্রায় আটশ’ পরিবার৷ জনসংখ্যা প্রায় ছয় হাজার৷ মাস শেষে বাসা ভাড়ার টাকাটুকু জোগাড় করতে না পেরে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন এ করস্থানটিতে৷ আর এরই মধ্যে এটি হয়ে উঠেছে ম্যনিলার বড় বস্তিগুলোর একটি৷
ছবি: Claudio Sieber
তিন প্রজন্মের আশ্রয়
১৯৫০ সাল থেকেই এ কবরস্থানটিতে বাস করে আসছে ম্যানিলার দরিদ্র জনগোষ্ঠী৷ প্রায় তিন প্রজন্ম ধরে তাঁরা বাস করছেন এখানে৷
ছবি: Claudio Sieber
কষ্ট নিত্যদিনই
বস্তিটিতে নেই কোনো নাগরিক সুবিধা৷ আর তাই জীবন-জীবিকা এখানে সহজ নয়৷ কাপড় ধোয়ার জন্য বা গোসল করার জন্য তাঁদের যেতে হয় আশপাশের এলাকাগুলোতে, যেখানে অল্প পয়সায় ধোয়া ও কাচার কাজটি সারেন তাঁরা৷
ছবি: Claudio Sieber
বদ্ধ ঘরে বাস
এখানে গেলে বোঝা যায়, এ লোকগুলোর ব্যক্তগত জীবন বলতে কিছু নেই৷ দেখা যায়, ছোট্ট একটি কোঠায় কয়েকজন রাত কাটায়৷
ছবি: Claudio Sieber
বিনোদনের চেষ্টা
বিনোদনের প্রধান মাধ্যম টেলিভিশনের জন্য প্রয়োজন বিদ্যুৎ৷ এ সুবিধা পেতে পাশের বাড়ি থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ পাওয়ার চেষ্টা করেন কেউ কেউ৷
ছবি: Claudio Sieber
নিয়মিত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
মৃতদেহের যথাযথ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ফিলিপাইন্সবাসীর একটি ঐতিহ্য৷ আর তাই সবসময়ই কবরস্থানটিতে ভিড় করেন মৃতদের আত্মীয়রা৷
ছবি: Claudio Sieber
আইসক্রিমে তৃপ্তি
হবিটো নামে এ আইসক্রিম বিক্রেতা এখানকার বাসিন্দা নন৷ কিন্তু প্রতিদিনই তিনি একবার করে এখানে আসেন, কেননা, এখানকার বাচ্চারা তাঁর মিষ্টি স্বাদের আইসক্রিমের জন্য অপেক্ষা করে৷
ছবি: Claudio Sieber
কবরে বসে ঈশ্বরকে স্মরণ
দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত এডউইন কাজকর্ম করতে পারেন না৷ আর তাই এ বস্তিটিতে স্থায়ী হয়েছেন তিনি৷ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈশ্বরের নাম জপেন৷ তাঁর বিশ্বাস এখানে থাকলে হয়ত ঈশ্বর তাঁকে ভুলে যাবেন না৷
ছবি: Claudio Sieber
আছে পড়াশোনাও
এখানকার বাচ্চাদের পড়াশোনায় সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে স্থানীয় একটি এনজিও৷ দল বেঁধে ছেলেমেয়েরা এখানে পড়তে আসে৷
ছবি: Claudio Sieber
আছে ধর্মশিক্ষাও
ধর্মশিক্ষায় আগ্রহ আছে এখানকার বাসিন্দাদের৷ আর তাই বইবেল শিক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত ক্লাসে যোগ দেন অনেকেই৷
ছবি: Claudio Sieber
একটি বাসার স্বপ্ন
এ বস্তিটিতেই বড় হয়েছেন কামবাল কানবানা৷ প্রতিদিনই নিজের একটি বাড়ির স্বপ্ন দেখেন তিনি৷ এর জন্য কবুতরের ব্যবসাসহ আরো কিছু কাজ করেন তিনি৷ ব্যবসার টাকা জমিয়ে পূরণ করতে চান এ স্বপ্ন৷
ছবি: Claudio Sieber
11 ছবি1 | 11
তখন থেকেই ক্ষুব্ধ দুতার্তে৷ গত ডিসেম্বরে সরাসরিই বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের চুক্তির মেয়াদ আগামী বছর শেষ হবে৷ চুক্তি নবায়নের আশা করবেন না৷ আপনারা যাতে বিদায় নেন আমি সেই ব্যবস্থা করবো৷'' গত ৪ মে ছিল এবিএস- সিবিএন-এর ২৫ বছরের চুক্তির শেষ দিন৷ চুক্তি নবায়নের আবেদন প্রত্যাহার করে সেদিন টেলিভিশন ও রেডিও সম্প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ফিলিপাইন্সের জাতীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনটিসি৷
সে দেশের সেন্টার ফর মিডিয়া ফ্রিডম অ্যান্ড রেস্পন্সিবিলিটি (সিএমএফআর)-এর চেয়ারপারসন ভেরগেল সান্তোস এবিএস-সিবিএন বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে দেশের অনেক মানুষকে খবর থেকে বঞ্চিত করা হবে৷ তার ভাষায়, ‘‘ফিলিপাইন্সের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ এবিএস-সিবিএন টেলিভিশন ও রেডিওর পরিবেশনা উপভোগ করেন৷ এখন তারা খবর পাবেন কোত্থেকে?'' অভিজ্ঞ এই সাংবাদিক মনে করেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সব মানুষ যে ঘরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে, সরকার মূলত এর সুবিধা নিচ্ছে, কেননা, অন্য সময় হলে এর প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নামতো৷
ফিলিপাইন্সের সংবাদমাধ্যম এবিএস-সিবিএন বন্ধের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে৷ লকডাউনের মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে প্রতিবাদ সমাবেশও হয়েছে৷ এবিএস-সিবিএন শেষ বুলেটিন প্রচারের আগে ম্যানিলায় তাদের প্রধান কার্যালয়ের সামনে কিছু মানুষ মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে৷