ফিলিপিনসে কিডনি বিক্রি বাড়ছে
২১ জুলাই ২০০৯
ফিলিপিনসে এবছর যে ঘটনাটি সবেচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে তা হলো মানুষের কিডনি পাচার ৷ বিশেষ করে আরব বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ধনী ব্যক্তিরা গরীব মহিলাদের বিয়ে করে কিডনি পাচারের উদ্দ্যেশ্যে৷
ফিলিপিনসের আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি কখনোই টাকার বিনিময়ে তার অঙ্গ বিক্রি করতে পারবেনা ৷ শুধুমাত্র কোন আত্মীয় চাইলে অঙ্গ দান করতে পারবেন৷ ফিলিপিনসের সামাজিক উন্নয়ন সেক্রেটারি এসপারেন্জা ক্যাবরেল বলছেন যে, বেশিরভাগ সময় মহিলাদের অর্থের বিনিময়ে বিয়ে করে বিদেশীরা৷ বিয়ের শর্তই হয়, কিডনি বা যে কোন অঙ্গ দান৷ তাদের বোঝানো হয় একটি কিডনি নিয়ে তারা বাঁচতে পারবে৷ যদিও ব্যাপারটি বেশিরভাগ সময়ই অমানবিক হয়ে ওঠে৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে ২০০৫ সালে, ফিলিপিনস বিশ্বের পাঁচ নম্বর মানব অঙ্গ পাচারকারী দেশ৷ বেসরকারি এক সংস্থার হিসেবে, গেল বছর ম্যানিলার দক্ষিণপূর্ব প্রদেশ কুইনজন থেকে ১৯৫জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যারা অর্থের বিনিময়ে কিডনি বিক্রি করছিল৷ এর মধ্যে ১৭ বছর বয়স্ক এক কিশোর ছিল যে মাত্র ২০০০হাজার ডলারের বিনিময়ে তার কিডনি বিক্রি করতে রাজি ছিল৷
২০০৭ সালে সরকারি হিসেবে , ১০৪৬ জন কিডনি প্রতিস্থাপন করে৷ যার মধ্যে শতকরা ৮১ ভাগই ছিল অনাত্মীয়ের মধ্যে ৷ এছাড়া শতকরা ৫১ ভাগ কিডনি গ্রহীতাই ছিল বিদেশী৷ ফিলপনসের একজন ডাক্তার বলছেন এটি স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, এইসব কিডনি বিনামূল্যে দেয়া হয়নি৷ এগুলো বিক্রি করা হয়েছে৷
অঙ্গ বিক্রি করার পর প্রতিশ্রুতিমতে অর্থ না পেয়ে প্রতারিত হয়েছেন এমন লোকের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে ফিলিপিনসে৷ আর এধরণের ঘটনা দিনের পর দিন আদালতগুলোতে ঝুলতে থাকে বলে মন্তব্য করছেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের একজন মানবাধিকার কর্মী ৷ তিনি বলছেন, প্রতারক চক্র এমনভাবে কাহিনী তৈরি করে যে, ভুক্তোভোগীর পক্ষে প্রমাণ করা খুবই কঠিন হয় যে সে, অর্থের বিনিময়ে কিডনি বা অঙ্গ বিক্রি করেছে৷
প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার