পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে এক নারীসহ নয় জন নিহত হয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷
ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ আহতদেরকে সেবা প্রদান করা মুশকিল হয়ে পড়ছিল বলে দাবি সংস্থাটির৷
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, ইসলামিক জিহাদ নামে একটি সংগঠনের ‘জঙ্গিদের' আটক করতে পশ্চিম তীরের জেনিনে একটি বিশেষ দল পাঠানো হয়৷ সেনাবাহিনীর দাবি, সংগঠনটির সদস্যরা বড় ধরনের সস্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিল৷
ইহুদিবিদ্বেষের পেছনে থাকা অস্পষ্ট ধারণাসমূহ
13:09
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানায়, সেনাবাহিনী ইসলামিক জিহাদ-এর ‘জঙ্গিদের' ধরতে গেলে তাদের দিকে গুলি ছোঁড়া হয়৷ এ সময় সেনাবিহিনীর গুলিতে দুই সন্দেহভাজন নিহত হয়৷
এদিকে অভিযান চলাকালে হামাসের চার অস্ত্রধারীও নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে৷ এসময় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহ-র এক সদস্যও নিহত হন৷
তাছাড়া, অভিযান চলাকালে এক নারীসহ আরো দুই সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানায় স্থানীয়রা৷
উল্লেখ্য, পশ্চিম তীরে দীর্ঘদিন ধরেই অস্থিরতা বিরাজ করছে৷ গত বছরের হামলার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বার বার অভিযান পরিচালনা করছে৷ অভিযানের সময়ে প্রায়ই প্রাণঘাতী সংঘাতের ঘটনা ঘটছে৷
আরআর/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)
গাজা : যেখানে জীবিতের ঘর আর মৃতের কবরের অভাব
গাজা উপত্যকায় বাসস্থানের সংকট এখন এমন চরমে যে কবরস্থানেও ঘর বানিয়ে থাকছেন অনেকে৷ পাশাপাশি সদ্য মৃতদের সমাধিস্থ করাও হয়ে উঠেছে খুব বড় চ্যালেঞ্জ৷ দ্বিমুখী সংকট দিনদিন বাড়ছে৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
কবরস্থানে কামিলদিয়া কুহাইল
ছবির এই নারীর নাম কামিলিয়া কুহাইল৷ গাজার শেখ শাবান কবরস্থানে দুই মাসের সন্তানকে ঘুম পাড়াচ্ছেন তিনি৷
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
মৃতরা কথা বলতে পারলে কী হতো?
আর কোথাও থাকার ব্যবস্থা না হওয়ায় কবরস্থানে বসবাসের ব্যবস্থা করেছেন কামিলিয়ার স্বামী৷ কবরস্থানে থাকতে কেমন লাগে জানতে চাইলে ৩০ বছর বয়সি কামিলিয়া বলেন, ‘‘উপায় নেই বলেই থাকি৷ মৃতরা যদি কথা বলতে পারতেন, তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের বলতেন- এখান থেকে দূর হও তোমরা!’’
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
দুর্গন্ধের সঙ্গে বাস
কবরের ওপরেই গড়ে উঠেছে ছয় সন্তান ও স্বামী-স্ত্রী মিলিয়ে আটজনের থাকার ঘর৷ ছোট পরিসরের কারণে গাদাগাদি করেই থাকতে হয়৷ ঘরে সব সময় একটা দুর্গন্ধ থাকে৷ কিছুতেই দূর করা যায় না৷ কামিলিয়া বলেন, ‘‘ওটা মৃতদের গন্ধ৷’’
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
গোরস্থানে স্বপ্ন
কবরস্থানে পড়ছে কামিলিয়ার বড় মেয়ে লামিস৷ লেখাপড়া শিখে ভালো আয়ের কাজ করতে চায় ও৷ আয় এখনো অবশ্য করে৷ মৃতদের দাফন করার সময় পানি সরবরাহ করে, বিনিময়ে যা পায় তা সংসার চালানোর জন্য তুলে দেয় মায়ের হাতে৷
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
গাজায় ভূমির সংকট
কামিলিয়া কুহাইলার মতো অনেকেই এখন কবরস্থানে বাস করতে বাধ্য হচ্ছেন৷ গাজায় যুদ্ধ লেগেই থাকে৷ যুদ্ধে নতুন করে অনেক মানুষ ঘরছাড়া হয়৷ তাদের জন্য আবার ঘর তৈরি করা, যুদ্ধে বা স্বাভাবিকভাবে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সমাহিত করা এখন খুব বড় এক চ্যালেঞ্জ৷ কারণ, সাত লাখ ৫০ হাজার অধিবাসীর শহর গাজায় বাসস্থান বাড়ছে না, মৃত্যুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কবরস্থানও বাড়ানো যাচ্ছে না!
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
দরকার ১৪ হাজার আবাসন
গাজার গৃহায়ণ উপ-মন্ত্রী নাজি সারহান জানান, গাজা উপত্যকার আবাসন সমস্যা দূর করতে হলে এখন কমপক্ষে ১৪ হাজার ঘর তৈরি করা দরকার৷এছাড়া কবরের জন্যও জায়গা দরকার৷ কারণ, ছোট-বড় মিলিয়ে যে ৬৪টি কবরস্থান রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোতেই এখন আর নতুন করে কাউকে সমাহিত করার জায়গা নেই৷
ছবি: Mohammed Salem/REUTERS
কবরস্থানও জরুরি প্রয়োজন
আর জায়গা না থাকায় গাজার মোট ২৪টি কবরস্থান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ শেখ রাদওয়ান কবরস্থানের ওয়াকফ গার্ড খালেদ হেজাজি জানান, পুরোনো কিছু কবরস্থান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে বাড়ির কাছে কবরস্থানে জোর করে মৃত স্বজনদের সমাধিস্থ করছেন৷