1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিলিস্তিনের ‘স্বপ্নের শহর’

উলরিকা স্লাইশার/এআই২৮ এপ্রিল ২০১৩

ফিলিস্তিনে প্রথম আধুনিক শহরের নাম রাওয়াবি৷ একেবারে কাগজে কলমে নকশা করে, বিপুল পয়সা খরচ করে তৈরি হচ্ছে এই শহর৷ চলতি বছরের শেষ নাগাদ সেখানে বসবাস শুরু করবেন সাধারণ মানুষ৷

ছবি: Ulrike Schleicher

পশ্চিম তীরের রামাল্লার কাছেই অবস্থান রাওয়াবির৷ আরবি এই শব্দটির অর্থ হচ্ছে পাহাড়৷ নামের সঙ্গে মিল রেখে নগর পরিকল্পনাও করা হয়েছে পাহাড়ের মতো করে৷ অথচ এই শহর তৈরির কাজ শুরু করাটা মোটেই সহজ ছিল না৷ পশ্চিম তীরের অর্ধেকের বেশি এলাকা ইসরায়েলের অধিকৃত অঞ্চল৷ শহর তৈরির মালামাল যে পথে আনা নেওয়া করা হবে সে পথের অংশবিশেষও ইসরায়েলের মধ্য দিয়েই গেছে৷ ফলে ইসরায়েলের অনুমতি ছাড়া সেখানে আধুনিক শহর গড়া সম্ভব ছিল না৷

ইসরায়েল অনুমতি দিয়েছে৷ বেশ খানিকটা চেষ্টা তদবিরের পর এই অনুমতি নেওয়া হয়, বলেন রানিয়া মারি৷ রাওয়াবি শহরের প্রচার প্রচারণার দায়িত্বে আছেন তিনি৷ মারি বলেন, ‘‘ইসরায়েলিদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে আমাদের অনেক সময় লেগেছে৷ এখন আমাদের অনুমতি আছে, তবে সেটা প্রতি বছর নবায়ন করতে হয়৷''

চলছে নির্মাণকাজছবি: Ulrike Schleicher

বলাবাহুল্য, শুধু ইসরায়েলের অনুমতি পেলেই একটি আধুনিক শহর গড়া সম্ভব নয়৷ এর জন্য প্রয়োজন অনেক পরিকল্পনা, এবং অর্থের সংস্থান৷ রাওয়াবির জন্য এসবের ব্যবস্থা করেছেন বাশার মাসরি৷ ফিলিস্তিনিদের জন্য আধুনিক শহর গড়ার পরিকল্পনাটি তাঁর মাথা থেকেই এসেছে৷ ৫৮ বছর বয়সি পশ্চিম তীরের এই বাসিন্দা লেখাপড়া করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে৷ এরপর ১৯৯৪ সালে তিনি গড়ে তোলেন নিজের প্রতিষ্ঠান ‘মাসার ইন্টারন্যাশনাল'৷ বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটির অধীনে আরো ১৫টি সংস্থা রয়েছে৷

মাসরির পরিকল্পিত শহরটি তৈরির পেছনে খরচ হচ্ছে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ এই পুরো অর্থ তিনি নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যয় করছেন না৷ বরং মোট খরচের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ টাকা দিচ্ছে কাতার৷ বাকিটা দিচ্ছেন মাসরি এবং অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা৷

২০১০ সালে শুরু হওয়ায় রাওয়াবি প্রকল্পের কাজ এখন প্রায় শেষের পথে৷ চলতি বছরের শেষ নাগাদ সেখানে বসবাস শুরু করতে পারবেন সাধারণ মানুষ৷ চল্লিশ হাজার মানুষ বসবাসের উপযোগী করে তৈরি হচ্ছে শহরটি৷ বিদ্যালয়, হাসপাতাল, থিয়েটার, হোটেল, মসজিদ – সবই থাকছে আধুনিক এই শহরে৷

রাওয়াবি শহরের প্রচার প্রচারণার দায়িত্বে আছেন রানিয়া মারিছবি: Ulrike Schleicher

প্রশ্ন আসতে পারে, নতুন এই শহরের বাসিন্দা হবেন কারা? বিনিয়োগকারীরা মূলত মধ্যবিত্ত ফিলিস্তিনিদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করছেন এই নগরী৷ এখানে ১২৪ থেকে ২৩০ বর্গ মিটার আকারের অ্যাপার্টমেন্ট পাওয়া যাবে৷ ফলে অবিবাহিত কিংবা সন্তানসহ বিবাহিত দম্পতি অনায়াসে থাকতে পারবেন এই শহরে৷ গড়ে ১৮০ বর্গ মিটার আকারের একটি অ্যাপার্টমেন্টের বিক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ দশ হাজার মার্কিন ডলার৷

রাওয়াবি শহর তৈরির এই প্রকল্পে কাজ করছেন পাঁচ হাজারের মতো মানুষ৷ এদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা অনেক৷ ফলে অনেক ফিলিস্তিনির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছে এই প্রকল্প৷ সবকিছু মিলিয়ে এই শহর ফিলিস্তিনিদের ইতিবাচক করে তুলেছে৷ ইসরায়েলের নানাবিধ বাধাকে তারা এখন আর সমস্যা মনে করেন না, মনে করেন চ্যালেঞ্জ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ