1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঐক্য়বদ্ধ ইসরায়েলের পার্লামেন্ট

১৯ জুলাই ২০২৪

বৃহস্পতিবার এই ভোটাভুটি হয়েছে। অধিকাংশ সদস্য় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। এদিন রাফা সীমান্তে গেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

ইসরায়েলের পার্লামেন্ট
ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ভোটছবি: Bildagentur-online/Schöning/picture alliance

নতুন ফিলিস্তিন রাজ্য় গঠনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট। বৃহস্পতিবার এই ভোটাভুটি হয়। ১২০ জনের পার্লামেন্টে ৬৮ জন নতুন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভোট দেন। নয় জন আরব দলের সদস্য় পক্ষে ভোট দেন। বাকিরা হয় ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন অথবা পার্লামেন্টে আসেননি। ফলে ৬৮ জনের ভোটে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, কোনোভাবেই নতুন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সমর্থন করে না ইসরায়েল।

জর্ডনের পশ্চিমে নতুন এই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ইসরায়েল স্বীকার করবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এর ফলে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ আরো বৃদ্ধি পাবে। হামাসের মতো সন্ত্রাসীদের বৈধতা দেওয়া হবে। নতুন রাষ্ট্র থেকে তারা সংগঠিত আক্রমণ চালাবে। যা ইসরায়েলের শান্তি বিঘ্নিত করবে। নিজেদের সার্বভৌম জমি ছাড়তেও নারাজ ইসরায়েল।

উল্লেখ্য়, ইসরায়েলের মতোই জার্মানি-সহ একাধিক দেশ এবং সংগঠন হামাসকে জঙ্গি সংগঠন বলে মনে করে।

এদিকে ফিলিস্তিনের প্রশাসন ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য়, এই সিদ্ধান্ত সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানের পরিপন্থী।

বস্তুত, জাতিসংঘের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াও তাই। জাতিসংঘের মুখপাত্র বলেছেন, আন্তোনিও গুতেরেস এই সিদ্ধান্তে খুশি নন। তিনি বলেছেন, এভাবে দুই রাষ্ট্র তত্ত্বের রাজনৈতিক সমাধানের বিষয়টিকে দূরে সরিয়ে দেওয়া যায় না।

রাফায় নেতানিয়াহু

এদিকে পার্লামেন্টের অধিবেশন শেষ হওয়ার পর রাফা সীমান্তে গেছিলেন প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। গাজার দক্ষিণে রাফায় এখন ইসরায়েলের সেনা অভিযান চালাচ্ছে। প্রায় ২০ লাখ মানুষ এই অঞ্চলে আশ্রয় শিবিরে ছিলেন। ইসরায়েল তাদের সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। রাফা-সহ দক্ষিণ গাজার একাধিক জায়গায় ইসরায়েল এখন অভিযান চালাচ্ছে।

নেতানিয়াহুর রাফা সফর স্বাভাবিকভাবেই গোপন রাখা হয়েছিল। তিনি সেখান থেকে ফিরে আসার পর বিষয়টি প্রচার করা হয়। রাফায় ইসরায়েলের সেনা জওয়ানদের মনোবল বাড়ান প্রধানমন্ত্রী। অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। সম্প্রতি নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস তাদের সমস্ত শর্ত মেনে না নেওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে। যদিও জাতিসংঘ-সহ একাধিক দেশ অভিযোগ করছে, গাজায় যেভাবে ইসরায়েল অভিযান চালাচ্ছে, তাতে অসংখ্য সাধারণ মানুষের মৃত্য়ু হচ্ছে। পাশাপাশি সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ