1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ব অর্থনীতি

১৯ ডিসেম্বর ২০১২

বিশ্বায়নের যুগে এক অঞ্চলের আর্থিক নীতির প্রভাব অন্য অঞ্চলে পড়বে এটাই স্বাভাবিক৷ এতদিন ইউরো সংকট বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেললেও এবার সেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে৷

ছবি: Getty Images

তথাকথিত ‘ফিসক্যাল ক্লিফ’ বয়ে আনছে সেই শঙ্কা৷ এটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদরা অনেকদিন ধরেই বিতর্ক করছেন৷ কেননা নতুন একটা চুক্তিতে পৌঁছতে না পারলে সমস্যায় পড়বেন অনেক নাগরিক৷ সরকারের দেয়া বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা, যেমন বেকার ও অবসরভাতা ইত্যাদি কমে যাবে৷ এছাড়া তার একটা মারাত্মক প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতির উপর৷

সোমবার রাতে ফিসক্যাল ক্লিফ আলোচনায় বড় ধরণের অগ্রগতি হয়েছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর আগের শক্ত অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার আশা দেখা যাচ্ছে৷ ওবামা বলছেন, যে সব মার্কিনির বাৎসরিক আয় চার লক্ষ ডলারের ওপর তাদেরকে বেশি কর দিতে হবে৷ এর আগে ওবামার ইচ্ছা ছিল, যাদের আয় দুই লক্ষ ডলারের বেশি, তাদের ওপরই অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো৷

এদিকে, ইটালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি নিশ্চিত করে বলেছেন যে, তিনি যদি আবার ক্ষমতায় যান তাহলে ইটালির বর্তমান সরকারের নেয়া সংস্কার কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনবেন৷

ইটালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনিছবি: dapd

বার্লুসকোনির এই মন্তব্যে ইউরোপের নেতাদের মনে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ কারণ ইটালিতে আর দুই তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ তাতে বার্লুসকোনি জিতে আসতে পারেন৷ এই বার্লুসকোনির কারণেই ইটালির আর্থিক পরিস্থিতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল এবং এ কারণেই বার্লুসকোনিকে পদ ছাড়তে হয়েছিল৷ পরবর্তীতে বর্তমান টেকনোক্র্যাট সরকার নানান সংস্কার কর্মসূচি নেয়ায় ইটালির অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে৷ এই অবস্থায় বার্লুসকোনি যদি ফিরে এসে সংস্কার কর্মসূচি বাদ দিয়ে দেয়, তাহলে পুরো ইউরোজোনই বিপদে পড়তে পারে বলে ইইউ নেতাদের আশঙ্কা৷ তাই ইটালির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মারিও মন্টি নির্বাচনে দাঁড়াক, এটা চাইছেন ইইউ নেতারা৷ কিন্তু জরিপে দেখা যাচ্ছে, মন্টি নির্বাচন করুক এটা অধিকাংশ ইটালীয় চান না৷ কেননা মন্টির কঠোর কর্মসূচির কারণে অনেক ইটালীয়কে ব্যক্তিগতভাবে সমস্যায় পড়তে হয়েছে৷ যদিও আখেরে লাভ হয়েছে পুরো দেশেরই৷

ইউরোপের ব্যাংকগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য ইইউ অর্থমন্ত্রীরা ক'দিন আগে একটা ‘ব্যাংকিং ইউনিয়ন' গড়ে তোলার প্রস্তাব করেন৷ এই ইউনিয়নের দায়িত্ব পড়বে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসিবি'র ওপর৷ কিন্তু জার্মানি মনে করছে, এর ফলে ইসিবি'র যে মূল কাজ, অর্থাৎ আর্থিক নীতি নির্ধারণ, সেটা প্রভাবিত হবে৷ কিন্তু ইসিবি'র প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাঘি অবশ্য বলছেন যে, তাতে কোনো সমস্যা হবে না৷ তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বিশ্বমানের নীতি গ্রহণ করা হবে৷

উল্লেখ্য, ব্যাংকিং ইউনিয়ন তার কাজ শুরুর আগে এর আইনগত কাঠামো চূড়ান্ত করতে হবে এবং ইউরোপীয় সংসদের সমর্থন পেতে হবে৷ এসব কাজ শেষ করে পুরোপুরি কাজ শুরু করতে আগামী বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

কর্মকর্তারা বলছেন, ইসিবি মূলত দেড় থেকে দুইশো বড় বড় ব্যাংক সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করবে৷ আর বাকি সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো ব্যাংক বিপদে পড়লে, তবেই ইসিবি তাদের দিকে নজর দেবার মতো সময় পাবে৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ