1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুকুশিমার ছ'বছর পর

১১ মার্চ ২০১৭

জাপান সরকার এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার চেষ্টা করছেন৷ কিন্তু নারী ও শিশুদের জন্য সংকট এখনও শেষ হয়নি, বলছে গ্রিনপিস৷ মায়েরা হাজারে হাজারে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন৷

ছবি: Greenpeace/Jeremy Sutton-Hibbert

ছ'বছর আগের কথা: ভূমিকম্প, সুনামি ও ফুকুশিমার দাইচি আণবিক চুল্লিতে পারমাণবিক বিপর্যয়ের ফলে প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারান এবং ১ লাখ ৬০ হাজার বেশি মানুষ গৃহহারা হন৷ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ এখনও অস্থায়ী আবাসনে দিন কাটাচ্ছেন৷

সংশ্লিষ্ট বসতিগুলির সব মানুষ ফুকুশিমা বিপর্যয়ের ফলে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হন, কিন্তু আজ পর্যন্ত নারী ও শিশুরাই ফুকুশিমা থেকে সৃষ্ট ‘‘মানবাধিকার ভঙ্গের ঘটনার শিকার হয়েছে'', বলে গ্রিনপিস সংগঠনের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে বিশেষ করে ‘‘ফুকুশিমার সর্বাধিক (পারমাণবিক দূষণে) দূষিত এলাকাগুলিতে বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের'' সরকারি পরিকল্পনার কথা বলে গ্রিনপিস৷

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যাবর্তনের প্রচেষ্টায় জাপান সরকার মার্চ মাসের শেষে স্থানান্তরণের নির্দেশ তুলে নেওয়ার ও বাসিন্দাদের ফুকুশিমা আণবিক চুল্লির কাছাকাছি বসতিগুলিতে ফেরৎ যাবার অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছেন৷ তবে ঐ সব এলাকায় তেজস্ক্রিয়তা বিকিরণের পরিমাণ এখনও বিপজ্জনকভাবে উচ্চ, বলে গ্রিনপিস সাবধান করে দিয়েছে এবং সরকারের প্রতি বাসিন্দাদের উপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছে৷ এলাকাগুলি নিরাপদ ঘোষণা করার এক বছর পরে সরকার আর্থিক সাহায্য এবং স্থানান্তরিত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া বন্ধ করবেন৷

এছাড়া যারা সরকারের নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও স্বেচ্ছায় তাদের বসবাসের এলাকা ত্যাগ করেছেন, তাদের বাড়িভাড়ার জন্য আর্থিক ভরতুকি এই মার্চ মাসেই বন্ধ করে দেওয়া হবে – এর ফলে নাকি দশ হাজারের বেশি মানুষকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দূষিত এলাকায় ফিরতে হতে পারে, বলেছেন গ্রিনপিস জাপানের এক মুখপাত্র৷ এ ধরনের ‘‘অর্থনৈতিক দমননীতি''-কে ‘‘আইন তথা নিপীড়িতদের মানবাধিকারের পরিকল্পিত লঙ্ঘন'' বলে অভিহিত করেছেন তিনি৷

যারা তাদের সাবেক আবাসে ফিরে অস্বীকার করবেন, অথচ যারা সরকারি সাহায্যের উপর নির্ভরশীল – বিশেষ করে একা সন্তান প্রতিপালনকারী মায়েরা – তাদের উভয়সংকট, কেননা তাদের মধ্যে অনেকেই ফুকুশিমার কারণেই বিয়ে ভেঙেছেন – স্বামী দূষিত এলাকায় থেকে যেতে চেয়েছেন বলে৷ জাপানি ভাষায় এর নাম ‘গেনপাৎসু রিকন' বা আণবিক বিবাহবিচ্ছেদ৷

সরকার যে সব এলাকা দূষণ মুক্ত করেছেন, তা প্রায়শই রাস্তা বা বাড়ি ও কৃষিক্ষেত্রের চারপাশে ২০ মিটার চওড়া এক ফালি জমি ছাড়া আর কিছু নয়৷ গ্রিনপিস এ ধরনের আবাসিক এলাকার নাম দিয়েছে ‘মুক্ত কারাগার', যার ফলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যেরও হানি ঘটতে পারে৷

তবে মায়েরা কিছু দম যাননি, তারা সকলে মিলে জাপানি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, যাতে সরকার আবাসিক ভরতুকি ও ন্যায্য ক্ষতিপূরণ চালু রাখতে বাধ্য হন৷

কাটারিনা ওয়েকার/এসি

প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো? আপনার মতামত জানান, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ