1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুকুশিমায় তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে গিয়ে পড়ছে

২ এপ্রিল ২০১১

ফুকুশিমা থেকে শেষ খবর: দু’নম্বর রিয়্যাক্টরের কাছে একটি চৌবাচ্চায় বিশ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের একটি ফাটল থেকে উচ্চ তেজস্ক্রিয়তা সম্পন্ন পানি সাগরের জলে গিয়ে পড়ছে৷

জাপানের ভাগ্য যাদের হাতেছবি: picture-alliance/dpa

ঐ চৌবাচ্চায় কেবল, মানে মোটা বিদ্যুতের তার রাখা হতো৷ জাপানের সরকারি পরমাণু কর্তৃপক্ষ এবং ফুকুশিমার পরিচালক সংস্থা টেপকো, উভয়েই বলছে কংক্রিট কিংবা সিমেন্ট দিয়ে ফাটলটা বোজানোর কথা৷ তাড়াটা এই কারণে যে, ঐ চৌবাচ্চার জলের তেজস্ক্রিয়তা ঘণ্টায় ১,০০০ মিলিসিভার্ট৷ এবং সাগরের জলে যে পরিমাণ তেজস্ক্রিয় আয়োডিন-১৩১ পাওয়া গিয়েছে, তা আইনত বৈধ সীমার ৪,০০০ গুণ ঊর্ধ্বে৷

কিন্তু ফুকুশিমার আসল সমস্যা তো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ভবনগুলি থেকে তেজস্ক্রিয় পানি সরানো, যা'তে কর্মীরা রিয়্যাক্টরগুলিকে শীতল রাখার প্রণালী আবার চালু করতে পারে৷ সমস্যা যেমন জটিল, তেমন নানা ধরণের সমাধানের কথাও ভাবা হচ্ছে৷ তেজস্ক্রিয় পানি রাখার জন্য সাগরে একটি ১৮,০০০ টন পানি ধরার মতো পন্টুন বা ভাসমান ট্যাংক তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে৷ ওদিকে রিয়্যাক্টরগুলোকে ঠান্ডা রাখার একমাত্র পন্থা এখন ওপর থেকে পানি ফেলা৷ টেপকো এখন মার্কিন নৌবাহিনীর একটি গাধাবোট দিয়ে জল আনাচ্ছে সেই কাজে৷ জল - অথবা প্রয়োজনে সিমেন্ট কি কংক্রিট পাম্প করার জন্য শক্তিশালী পাম্প দরকার৷ কাজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে বিশ্বের বৃহত্তম সিমেন্ট বুম পাম্প, ৭০ মিটার অবধি পাম্প করার ক্ষমতা রাখে৷ এগুলো আবার রিমোট কন্ট্রোল দিয়েও চালানো যায়৷ এ'ধরণের দু'টি পাম্প আসছে আগামী সপ্তাহান্তে, বিশ্বের বৃহত্তম পরিবহণ বিমান, রুশ আন্টোনভ এএন-২২৫'এ চড়ে৷ জার্মানি আর চীন তো আগেই এ'ধরণের পাম্প পাঠিয়েছে৷

জার্মানির স্টুটগার্ট থেকে যে বুম পাম্পটি জাপানে পাঠানো হয়েছেছবি: picture alliance/dpa

আসলে ঠিক এই ধরণের বুম পাম্প দিয়েই উক্রেইনের চেরনোবিলে পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর রিয়্যাক্টরটিকে কংক্রিটের স্তর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়৷ অর্থাৎ ফুকুশিমাতে যদি শেষমেষ সেই পথে যেতে হয়, তা'হলে কংক্রিট ঢালার ব্যবস্থা হাতেই রইল৷

জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান এই প্রথমবার বিপর্যয় পীড়িত এলাকায় গিয়ে কর্মীদের বলেছেন: তাদের এই প্রত্যয় নিয়ে লড়তে হবে যে, এ'লড়াইতে হারা চলবে না৷ কেননা এটা জাপানের ভাগ্য নির্ধারণের লড়াই৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ইউরোপ