1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুকুশিমা কাণ্ড

১১ মার্চ ২০১২

বছর ঘুরে গেল দেখতে দেখতে৷ জাপানের সুনামি আর তাকে ঘিরে পারমাণবিক বিভীষিকার পর এক বছর পেরিয়ে গেল৷ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে নিহতদের স্মরণ করা হল জাপানে৷ পালিত হল নীরবতা৷

People take part in a moment of silence at 2:46p.m. (0546 GMT) during a ceremony at an area damaged by the March 11, 2011 earthquake and tsunami in Ofunato, Iwate Prefecture, March 11, 2012, to mark the first anniversary of the disaster that killed thousands and set off a nuclear crisis. REUTERS/Carlos Barria (JAPAN - Tags: DISASTER ANNIVERSARY)
Japan Tsunami Jahrestag Schweigeminuteছবি: Reuters

ঠিক দুপুর দুটো বেজে ছেচল্লিশ মিনিট৷ জাপানে ২০১১ সালের ১১ মার্চের সেই কালো দিনে এই সময়েই ধেয়ে এসেছিল ভয়ংকর সুনামি৷ যে করাল সুনামি কেড়ে নিয়ে গেছে বিশ হাজার মানুষের প্রাণ৷ ফুকুশিমা দাইচির পারমাণবিক স্থাপনাকে ধ্বংস করে পারমাণবিক সংক্রমণের বিভীষিকা ছড়িয়ে দিয়েছে৷ বাড়ি ঘর, যানবাহন থেকে শুরু করে গোটা দেশটাকে প্রায় লন্ডভন্ড করে গেছে৷

জাপান জুড়ে একাধিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেই দিনটিকে স্মরণ করা হয়েছে আজ রবিবার৷ ফুকুশিমা কাণ্ডের বর্ষপূর্তি আর নিহতদের স্মরণের মূল অনুষ্ঠানটি আজ অনুষ্ঠিত হয় টোকিও'র ন্যাশনাল থিয়েটারে৷ জাপানের সম্রাট আকিহিতো, সম্রাজ্ঞী মিশিকো এবং প্রধানমন্ত্রী ইয়োহিশিকো নোদার উপস্থিতিতে মূল এই স্মরণ অনুষ্ঠানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় নিহতদের স্মরণে৷ উল্লেখ্য, ফুকুশিমা এবং সুনামি বিপর্যয়ে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত অথবা নিখোঁজ, জানিয়েছে সরকারি পরিসংখ্যান৷

ধ্বংসযজ্ঞের সামনে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালনছবি: AP

নিহতদের ভুলে যাবে না জাতি৷ সম্রাট আকিহিতো তাঁর সংক্ষিপ্ত টিভি ভাষণে সেই অঙ্গীকার করে বলেন, তাঁর আশা, এই প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যাদেরকে হারিয়েছি আমরা, মানুষ তাদের মনে রাখবে৷ প্রধানমন্ত্রী নোদা তাঁর ভাষণে নতুন করে গোটা দেশকে আবার গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন৷ গোটা দেশকে আরও ভালো করে সকলে মিলে গড়ে তুলতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী৷

তবে জাপানের মানুষ যে এই ভয়াবহ ঘটনাকে ভুলে যায়নি তা বোঝা গেছে নীরবতা পালনের একটি মিনিটে৷ গোটা দেশ প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায় স্থানীয় সময় দুপুর দু'টো বেজে ছেচল্লিশ মিনিটে৷ দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলে, যেখানে এই সুনামি তার আঘাত হেনেছিল, সেখানে শোনা যায় ঘন্টার শব্দ৷ শোনা যায় আপদকালীন সাইরেনের আওয়াজও৷

তবে দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর আহ্বান জানালেও, সুনামি আর পারমাণবিক বিপর্যয় পরবর্তী জাপানের অর্থনীতি আর রাজনীতি এই ঘটনার এক বছর পরেও সেভাবে সুস্থির হতে পারেনি৷ সে সময়ে যিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন, সেই নাওতো কান পদত্যাগ করেন কয়েক মাসের ভিতর৷ পারমাণবিক বিপর্যয়ের পর এই সত্যও উদঘাটিত হয় যে, পারমাণবিক কেন্দ্রগুলির পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা আর মেরামতিতে বড় আকারের গোলযোগ ছিল, ছিল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিও৷

জাপানের সম্রাট আকিহিতো ও সম্রাজ্ঞী মিশিকোছবি: AP

এতবড় মাপের বিপর্যয়ের পরেও জাপান কিন্তু পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের পথ বন্ধ করেনি৷ জানা গেছে, ২০৩০ সালেও জাপানকে এই পারমাণবিক শক্তি থেকেই তাদের ৫০ শতাংশ জ্বালানি সংগ্রহ করতে হবে৷ যার অর্থ, বিপদজনক এই পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার জাপান এখনই থামাতে পারছে না৷

তবে, ফুকুশিমা কাণ্ড যে দেশটিকে সে বিষয়ে একটি বড়মাপের আতংকের মধ্যে রেখে দিয়েছে, দুর্ঘটনার বর্ষপূর্তিতে তা আবারও প্রমাণিত হল৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ