1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুটবলে জাতিবাদ রুখতে ‘অ্যাপ’

১ জুন ২০১৩

ইংলিশ ফুটবলের মুখ্য জাতিবাদ বিরোধী সংগঠন ‘কিক ইট আউট’ স্টেডিয়ামে জাতিবাদী মন্তব্য, আচরণ ইত্যাদি রোখার জন্য মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার করতে চলেছে৷ আগস্ট মাসে যখন নতুন মরশুম শুরু হতে যাচ্ছে, তখনই আসছে এমনই একটি ‘অ্যাপ’৷

ছবি: Getty Images

স্টেডিয়ামে জাতিবাদ রুখতে অ্যাপ? হ্যাঁ, এই অ্যাপের মাধ্যমে ফ্যানরা তাদের মোবাইল থেকে সরাসরি খেলার মাঠে জাতিবাদী গালিগালাজ, ইঙ্গিত-আচরণ সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে পারবেন৷ ইতিপূর্বে ‘কিক ইট আউট' সংগঠন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ফ্যানদের নিয়ে একটি জরিপ করে এবং সেই জরিপে ফ্যানদের ৭৫ শতাংশ বলেন যে, ব্রিটেনে ফুটবল ম্যাচে বৈষম্যমূলক ভাষা ও ব্যবহার আজও একটি সমস্যা হয়ে রয়েছে৷

‘কিক ইট আউট' পেশাদারি ফুটবলার সমিতির সঙ্গে প্লেয়ারদের জন্যে এই ধরনের একটি অ্যাপ বার করার ব্যাপারেও কথাবার্তা বলছে৷ তবে সেই অ্যাপকে আরো নিরাপদ, আরো সুরক্ষিত করতে হবে৷ শুধু খেলোয়াড়রাই সেই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন৷

চেলসির ক্যাপটেন জন টেরি জাতিবাদী আচরণের জন্য শাস্তি পেয়েছেনছবি: dapd

সাম্প্রতিক কালে ইংল্যান্ডে প্লেয়ারদের মধ্যে ম্যাচ চলাকালীন জাতিবাদী আচরণের একাধিক ঘটনা ঘটেছে৷ একটি হাই-প্রোফাইল ঘটনার ফলশ্রুতি হিসেবে চেলসির ক্যাপটেন জন টেরি ও লিভারপুলের স্ট্রাইকার লুইজ সুয়ারেজের উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে৷

মাঠেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে গ্যালারিতে কি ঘটছে, তা সহজেই কল্পনীয়৷ জরিপে ফ্যানরা নিজেরাই জানিয়েছেন যে, তাদের মধ্যে অর্ধেকের কানে এসেছে, কিভাবে প্লেয়ার অথবা রেফারি-লাইনসম্যানদের বিরুদ্ধে জাতিবাদী মন্তব্য, কিংবা সমকামীদের প্রতি বৈষম্যবাদী মন্তব্য করা হচ্ছে৷ জরিপে সংশ্লিষ্ট ফ্যানদের ৭৩ শতাংশ ম্যাচে ও স্টেডিয়ামে জাতিবাদ রোখার জন্য আরো বেশি নজরদারি কামনা করেন৷

ফ্যানরা এবার এই নতুন অ্যাপটির মাধ্যমে তাদের ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে জাতিবাদের ঘটনা সম্পর্কে সচেতন করে তোলার সুযোগ পাবেন৷ অপরদিকে মাঠে দু'পক্ষের ফ্যানদের মধ্যে সুস্থ ও সোচ্চার প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথে তা কোনো বাধা হয়ে উঠবে না৷

অ্যাপটি আই-ফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলিতে বিনি খরচায় পাওয়া যাবে৷ ফ্যান ও প্লেয়ারদের করা রিপোর্টগুলি যাবে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলি ছাড়া ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে৷ যে সব ফ্যানরা অভিযোগ করছেন, তারা সেটা বেনামায় করতে পারেন; আবার নিজের নাম দিয়ে পরে তদন্তের প্রগতি সম্পর্কে জানতেও পারবেন৷

সর্ষের মধ্যে ভূত, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা – অনেক কিছুই তো মনে পড়ছে৷ শুধু নজরদারি দিয়ে মানসিকতা পাল্টানো যায় না৷ আবার মানসিকতা পাল্টালে নজরদারির দরকার পড়ে না৷ এই দুই-এর মাঝেই হয়ত সত্যটা কোথাও লুকিয়ে আছে৷

এসি/ডিজি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ