সেটা শুধু বিশ্বকাপ জেতার কারণেই নয়৷ জাতীয় দল হিসেবে জার্মানি ব্রাজিলে জয়লাভ করে, কিন্তু এ সপ্তাহে আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগে যা দেখেছি, তাতে মনে হতে পারে: জার্মান ক্লাব ফুটবলই বা কম যায় কীসে?
বিজ্ঞাপন
বুধবার বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড গালাতাসারাই ইস্তানবুল-কে হারায় ৪-০ গোলে – সেটা ইস্তানবুলেই৷ সেদিনই বায়ার লেভারকুজেন জেনিট সেন্ট পিটার্সবুর্গ-কে হারায় ২-০ গোল৷ তার আগের দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার বায়ার্ন মিউনিখ রোমে গিয়ে এসি রোমা-কে পর্যুদস্ত করে আসে ৭-১ গোলে! সেদিনের অপর খেলাটিতে শালকে হারায় স্পোর্টিং লিসাবন-কে ৪-৩ গোলে৷
জার্মানির চারটি ক্লাবই নক-আউট স্টেজের দিকে এগোচ্ছে দুর্ধর্ষ গতিতে – তা স্বদেশে বুন্ডেসলিগায় তাদের স্থান, দশা – কিংবা দুর্দশা! – ই হোক না কেন৷ ডর্টমুন্ডের কথাই ধরা যাক: যাদের তিনটি খেলা থেকে নয় পয়েন্ট; সব মিলে গোল দিয়েছে ন'টি, কোনো গোল না খেয়ে –বলতে কি, চ্যাম্পিয়নস লিগে এর চাইতে ভালো সূচনা ডর্টমুন্ডের ভাগ্যে এর আগে কখনো ঘটেনি৷ সেই ডর্টমুন্ডই কিন্তু বুন্ডেসলিগায় আটটি খেলা থেকে সাত পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্টের তালিকায় চতুর্দশ স্থানে: কেননা আটটি খেলার মধ্যে পাঁচটিতে হেরেছে ডর্টমুন্ড৷
জার্মানির বিশ্বকাপ দল
বিশ্বকাপ জয়ের জন্য জার্মান কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ ২৩ জন খেলোয়াড় নিয়ে এখন ব্রাজিলে৷ জার্মান দলে পরিচিত মুখ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে কিছু নতুন মুখও, যাঁরা চমক দেখাতে পারেন৷ এই ছবিঘরে পাবেন তাঁদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য৷
ছবি: Lennart Preiss/Bongarts/Getty Images
মানুয়েল নয়ার
সেই ২০১০ সালের বিশ্বকাপ থেকেই জার্মানির এক নম্বর গোলরক্ষক হিসেবে রয়েছেন নয়ার৷ অবশ্য ঘাড়ে ইনজুরির কারণে চলতি বিশ্বকাপের আগে তাঁর ফিটনেস নিয়ে খানিকটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল৷ তবে আশার কথা হচ্ছে, তিনি সেরে উঠেছেন৷ জাতীয় দলের হয়ে ৪৫ বার মাঠে নেমেছেন নয়ার৷
ছবি: Patrik Stollarz/AFP/Getty Images
রোমান ভাইডেনফেলার
ভাইডেনফেলার জার্মান দলের দ্বিতীয় গোলরক্ষক৷ ক্যামেরুনের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিটই খেলেছেন তিনি৷ তবে জাতীয় দলের পক্ষে এখন অবধি শুধুমাত্র দু’বার খেলার সুযোগ পেয়েছেন ডর্টমুন্ডের এই গোলরক্ষক৷
ছবি: Getty Images
রন-রবার্ট সিলার
বুন্ডেসলিগায় অন্যতম শক্তিশালী গোলরক্ষক হিসেবে বিবেচিত সিলার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অ্যাকাডেমি থেকে প্রশিক্ষিত৷ তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবে জার্মান দলের সঙ্গে আছেন তিনি৷ বলাবাহুল্য, জার্মান দলের এই অবস্থানটিতেও প্রতিযোগিতা কম নয়৷ কোচ ল্যোভের অবশ্য ২৪ বছর বয়সি সিলারকে দারুণ পছন্দ৷
ছবি: Wagner/Bongarts/Getty Images
পেয়ার ম্যার্টেসাকার
আর্সেনালে চমৎকার একটি মৌসুম পার করা ম্যার্টেসাকার বিশ্বকাপেও ভালো করার আশা রাখছেন৷ ক্যামেরুনের বিপক্ষে অধিনায়কের ‘আর্মব্যান্ড’ পরে মাঠে নেমেছিলেন তিনি৷
ছবি: Reuters
জেরোম বোয়াটেং
ল্যোভের রক্ষণভাগের এক শক্তিশালী খেলোয়াড় বোয়াটেং, যিনি ৩৮ বার জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন৷ প্রীতি ম্যাচে লামের অনুপস্থিতি বুঝতেই দেননি তিনি৷ তবে বোয়াটিং মধ্যমাঠেই সবচেয়ে ভালো খেলেন৷
ছবি: Getty Images
মাটস হুমেলস
জাতীয় দলের হয়ে ২৯ বার মাঠে নামা হুমেলস তাঁর সতীর্থদের তুলনায় অভিজ্ঞতার বিচারে হয়ত পিছিয়ে থাকতে পারেন৷ কিন্তু রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে বুন্ডেসলিগায় ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি৷
ছবি: Reuters
বেনেডিক্ট হ্যোভেডেজ
শালকের অধিনায়ক হ্যোভেডেজ দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছেন৷ ব্রাজিলেও তাঁর ব্যতিক্রম ঘটেনি৷ ‘সেন্টার-ব্যাক’ অবস্থানে সবচেয়ে যোগ্য হ্যোভেডেজ প্রয়োজনে ‘রাইট-ব্যাকেও’ খেলতে পারেন৷ তবে তিনি জাতীয় দলের হয়ে এখন অবধি মাত্র ১৮ বার মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
এরিক ডুর্ম
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ভালো করা ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড় ডুর্ম জাতীয় দলে একেবারেই নতুন৷ ক্যামেরুনের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটি দিয়ে তাঁর জাতীয় দলে যাত্রা শুরু হয়৷
ছবি: Getty Images
কেভিন গ্রোসক্রয়েৎস
গ্রোসক্রয়েৎসের মতো খেলোয়াড় দলে পেলে যে কোনো ম্যানেজারই খুশি হবেন৷ ডর্টমুন্ডের এই তারকা ‘ডিফেন্ডার’ হিসেবে তো বটেই, মাঠের যে কোনো অবস্থানেই ভালো খেলতে পারেন৷ ফলে জাতীয় দলের ২৩ জনের তালিকায় তাঁর স্থান পাওয়ায় বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই!
ছবি: Getty Images
ফিলিপ লাম
দল এবং দেশের পক্ষে খেলাগুলিতে ফিলিপ লামকে বিভিন্ন অবস্থানে খেলানো হয়েছে৷ তবে ল্যোভের বিবেচনায় ‘রাইট ব্যাক’ অবস্থানের জন্যই সবচেয়ে উপযুক্ত তিনি৷ জাতীয় দলের পক্ষে ১০৫ বার মাঠে নামা লাম এবার তাঁর সাফল্যের তালিকায় বিশ্বকাপ ট্রফিও যোগ করতে চান৷ ৩০ বছর বয়সি এই ফুটবলার জার্মান জাতীয় দলের অধিনায়ক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মাটিয়াস গিন্টার
ফুটবল মাঠে বিভিন্ন পজিশনে খেলতে পারদর্শী মাটিয়াস গিন্টারও কোচ ল্যোভের বিশেষ পছন্দের তালিকায় রয়েছেন৷ জার্মানির ঘরোয়া ফুটবলে চমৎকার একটি বছর কাটিয়েছেন ফ্রাইবুর্গের এই তরুণ খেলোয়াড়৷
ছবি: Getty Images
বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার
জাতীয় দলের হয়ে একশোবার মাঠে নামার সৌভাগ্যবানদের তালিকায় কিছু দিন আগেই নাম লিখিয়েছেন শোয়াইনস্টাইগার৷ মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা এবারের বিশ্বকাপে জার্মানিকে সহায়তা করবে বলে আশা করছেন অনেকেই৷ পাশাপাশি তরুণ খেলোয়াড়দেরও তাঁর কাছ থেকে শেখার আছে অনেক৷
ছবি: Getty Images
ক্রিস্টোফ ক্রামার
মাঠে নিরলস ভাবে দৌঁড়ানো এবং নির্ভুল ‘পাস’ দেয়ার সুনামের অধিকারী ক্রামার পোল্যান্ডের বিপক্ষে চমৎকার খেলেছেন৷ আর ক্যামেরুনের বিপক্ষে শেষের ১৫ মিনিটে তাঁর খেলা ল্যোভের মন জয় করার জন্য ছিল যথেষ্ট৷
ছবি: Getty Images
সামি খেদিরা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এক পর্যায় মাঠ থেকে তুলে নেয়া হয় সামি খেদিরাকে৷ গত নভেম্বরে হাঁটুতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিলেন তিনি৷ তবে তিনি দ্রুতই সেরে উঠছেন৷ পুরোপুরি ফর্ম ফিরে পেলে জার্মানির বিশ্বকাপ দৌঁড়ে বড় অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে তাঁর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
টোনি ক্রোস
বায়ার্ন মিউনিখে নিজের ভবিষ্যত কী হবে – সেটা নিয়ে এখন সম্ভবত ভাবছেন না ক্রোস৷ তাঁর চিন্তা এখন শুধুই বিশ্বকাপকে ঘিরে৷ অসাধারণ ‘পাস’ দিতে দক্ষ এই তারকা জাতীয় দলের অন্যতম কাণ্ডারি৷
ছবি: Getty Images
ইউলিয়ান ড্রাক্সলার
ল্যোভের আরেক আবিষ্কার ড্রাক্সলার৷ মধ্যমাঠের আক্রমণাত্মক মেজাজের এই খেলোয়াড়ের বয়স মাত্র ২০ বছর৷ গত মৌসুমে অবশ্য তাঁর খেলায় ছন্দটি ঠিক ছিল না৷ তবে এবার দলের সঙ্গে থেকে যে অভিজ্ঞতা তিনি অর্জন করবেন, তা ভবিষ্যতেও কাজে দেবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শ্কদ্রান মুস্তাফি
বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে মার্কো রয়েসের ইনজুরি যেন মুস্তাফির কপাল খুলে দিয়েছে৷ ২০০৯ সালে উয়েফা অনুর্ধ-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী জার্মান দলের সদস্য তিনি৷ তাঁর বয়স এখন ২২৷
ছবি: Martin Rose/Bongarts/Getty Images
মেসুত ও্যজিল
চলতি মৌসুমের শেষের দিকে খানিকটা নিষ্প্রভ হয়ে যান ও্যজিল৷ তবে শুধুমাত্র একটি মৌসুম দিয়ে ‘পারফর্মেন্স’ বিবেচনা করার মতো খেলোয়াড় তিনি নন৷ জাতীয় দলের হয়ে পঞ্চাশবারের বেশি মাঠে নেমেছেন তিনি৷ চূড়ান্ত বিবেচনায় তাই জার্মান দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মেসুত ও্যজিল৷
ছবি: Alexander Hassenstein/Bongarts/Getty Images
মারিও গ্যোটৎসে
সর্বশেষ মৌসুমে ডর্টমুন্ড ছেড়ে মিউনিখে যাওয়ায় খানিকটা সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন গ্যোটৎসে৷ এমনকি পুরাতন ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে নিজের সাবকে ভক্তদেরও মন ভেঙে দিয়েছেন তিনি৷ চলতি বিশ্বকাপে আক্রমণভাগে বেশি দেখা যেতে পারে গ্যোটৎসেকে৷
ছবি: Reuters
আন্দ্রে শ্যুর্লে
জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলেও মাঠে শ্যুর্লের অবস্থান কী হবে – তা এখনো নিশ্চিত নয়৷ কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ তাঁকে আক্রমণভাগে রাখতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
লুকাস পোডোলস্কি
জাতীয় দলের হয়ে ১১২ বার মাঠে নেমেছেন পোডোলস্কি, যা এক রেকর্ড৷ খুব কম খেলোয়াড়ের পক্ষেই এমন রেকর্ড ভাঙা সম্ভব৷ ইদানীং অবশ্য দলের হয়ে মাঠে নামার চেয়ে ‘সাইড বেঞ্চে’ বসে থাকতেই বেশি দেখা যায় তাঁকে৷ তবে যে কোনো সময় জ্বলে ওঠার ক্ষমতা রাখেন পোডোলস্কি৷
ছবি: Getty Images
টোমাস ম্যুলার
জার্মান দলের হয়ে গোল করতে অন্যতম দক্ষ ম্যুলার৷ সতীর্থ ক্লোজের সঙ্গে এক্ষেত্রে তাঁর মিল অনেক৷ জাতীয় দলের হয়ে ৪৭ বার মাঠে নেমে ১৮ গোল করেছেন ম্যুলার৷
ছবি: Getty Images
মিরোস্লাভ ক্লোজে
জাতীয় দলের হয়ে ৬৮টি গোল করা ক্লোজের সামনে দুটি রেকর্ড ভাঙার সুযোগ রয়েছে৷ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডটি রোনাল্ডোর কাছ থেকে নিয়ে নিতে পারেন তিনি৷ আর জার্মানির হয়ে সর্বোচ্চ গোল করে গের্ট ম্যুলারের গড়া রেকর্ডও এবার ভাঙতে পারেন তিনি৷
ছবি: Lennart Preiss/Bongarts/Getty Images
23 ছবি1 | 23
এটা কেন হয়? এটা কী বে হয়? কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ- সেটা বুঝে উঠতে পেরেছেন কিনা সন্দেহ৷ তাঁর ইনজুরির লম্বা লিস্টি সত্ত্বেও ডর্টমুন্ড যেভাবে, যে ধরনের ভুল করে একটির পর একটি খেলায় বিপক্ষকে গোল করার সুযোগ দিয়েছে, তাতে মনস্তত্ত্ব কেঁচে গণ্ডূষ করে বলতে হয়: খেলায় হারজিত সব কিছুর মূল মনে৷ বায়ার্নের মতো ডর্টমুন্ডের অতোগুলো খেলোয়াড় এখনও বিশ্বকাপ জেতার ক্লান্তিতে ভুগছেন, এমন তো নয়৷ তাহলে ধরে নিতে হয়: ডর্টমুন্ডের মহারথীরা বুন্ডেসলিগার ‘গাঁয়ের স্টেজের' চেয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘শহরের স্টেজে' নামতেই বেশি পছন্দ করেন৷ আর বিশ্বকাপ তো হল একেবারে ঢাকা-কলকাতার স্টেডিয়াম, বিরাট মঞ্চ, লোকে লোকারণ্য...
আরেকটা ব্যাখ্যা হতে পারে: বুন্ডেসলিগার মান এখন এতোই ওপরে যে, বুন্ডেসলিগার ক্লাবগুলোর কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলাই মফস্বলে খেপ খেলতে যাবার মতো হয়ে উঠেছে৷ অর্থাৎ জাতীয় পর্যায়ে লিগ ফুটবলের মান আর ইউরোপীয় পর্যায়ে ক্লাব ফুটবলের মান, এ দুটির একটি আপেক্ষিক তুলনা পাওয়া যাচ্ছে স্বদেশের লিগে ও চ্যাম্পিয়নস লিগে ক্লাবগুলির পার্ফর্মেন্স দেখে৷ অবশ্য বায়ার্ন মিউনিখ, রেয়াল মাদ্রিদ কিংবা বার্সেলোনা-র মতো টপ ফ্লাইট ক্লাবগুলোর ক্ষেত্রে এই স্বদেশ-বিদেশের মান ও গুণগত পার্থক্যের হিসেব খাটে না – সে জন্যই তারা সম্ভবত বিশ্বায়িত বিশ্বে একটা সর্বজনবন্দিত বিশ্বজনীন পর্যায়ে উঠে গেছে৷ বায়ার্ন যেমন বুন্ডেসলিগায়, তেমনি চ্যাম্পিয়নস লিগে একবার গোল করতে শুরু করলে থামে না...
ভাবুন একবার: যে ক্লাবের প্লেয়ার আর কর্মকর্তারা রোমে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ স্টেজে খেলতে গিয়ে – এবং রোমা'কে ৭-১ গোলে হারিয়ে – সেই ফাঁকে রোমের বিশপ পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গেও দেখা করে আসে, তারা যে এই মর্ত্যলোকে, ধুলোমাটিকাদার পৃথিবীতে আদৌ ফুটবল খেলছে, সে জন্যই তো আমাদের ধন্য বোধ করা উচিত৷ অন্যভাবে বলতে গেলে: ফুটবল ইজ বিগ বিজনেস এবং একটা ভালো ক্লাব ভালোভাবে চালানোর সঙ্গে সফলভাবে বিগ বিজনেস চালানোর অনেক মিল আছে...
যেমন ‘হেড হান্টিং'-এর কথাই ধরা যাক৷ মানে, অন্য ক্লাবের ভালো প্লেয়ার ভাঙিয়ে আনা৷ মারিও গ্যোৎসে আর রবার্ট লেভান্ডোভস্কি ডর্টমুন্ড ছেড়ে বায়ার্নে না এলে কি আজ বায়ার্নের এতো ছছল-বছল হতো? এবার শোনা যাচ্ছে নাকি মার্কো রয়েস-এর ওপরেও চোখ পড়েছে বায়ার্নের, যার অর্থ, রয়েস এ মরসুমের শেষে তাঁর চুক্তির সংশ্লিষ্ট শর্তটি সক্রিয় করলে ডর্টমুন্ডের রয়েস-কেও হারাতে হতে পারে৷ আমার বিশ্ববাসী তাতে আপত্তি করব না এই কারণে যে, রবেন-রিবেরি-ম্যুলার-গ্যোৎসে-লেভান্ডোভস্কি-র অ্যাটাকিং লাইনের খেলা দেখার মধ্যে মহাকাব্যের যুদ্ধ দেখার একটা স্বাদ ও তৃপ্তি আছে৷