‘কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা' – নামে আন্তর্জাতিক তো বটে, কিন্তু তার চরিত্র কি আদৌ আন্তর্জাতিক? তা হলে বইয়ের বাইরেও কেন এত অবান্তর, অপ্রয়োজনীয় আয়োজন? প্রশ্ন তুললেন আমাদের কলকাতা প্রতিনিধি শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়৷
বিজ্ঞাপন
ময়দান থেকে কলকাতা বইমেলা যবে ইএম বাইপাসের ধারে পাকাপোক্ত মিলনমেলা প্রাঙ্গনে তার ঠিকানা বদলেছে, তবে থেকে মেলার আর আয়তনে বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ নেই, কিন্তু বইমেলা বাড়ছে বৈচিত্র্যে৷ বইয়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও নানা পশরা জায়গা পাচ্ছে মেলায়, যার সঙ্গে অন্তত পঠন-পাঠনের কোনো সম্পর্ক নেই৷ অথবা আছে, মানে আক্ষরিক অর্থে, কিন্তু যার জন্যে এই বইমেলার আয়োজন, সেই সাহিত্যের বাড়বাড়ন্তের সম্ভাবনা নেই৷ যেমন ধরা যাক, একাধিক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজকাল কলকাতা বইমেলায় স্টল দেয়, যার মূল উদ্দেশ্য নতুন শিক্ষার্থীর সন্ধান করা৷ বলা বাহুল্য যে, এ সব শিক্ষা রীতিমত খরচসাপেক্ষ এবং শিক্ষাদানের গোটা প্রক্রিয়াটিই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে৷ অর্থাৎ এটি একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগ, বইমেলায় যার উপস্থিতির অর্থই হলো সেই ব্যবসা বাড়ানো৷ শিক্ষার প্রসার সেখানে উপলক্ষ্য মাত্র৷
তাও যদি ধরে নেওয়া যায়, উচ্চশিক্ষা পরোক্ষে বই পড়ার অভ্যাসকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, সোনার গহনা কীভাবে বইমেলায় জায়গা পায়! অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি, এবারের কলকাতা বইমেলায় একটি নামি প্রতিষ্ঠানের গহনার দোকান রয়েছে৷ এর পাশাপাশি রয়েছে আচার-হজমির দোকান, ঘর সাজাবার উপকরণের দোকান এবং অসংখ্য খাবারের দোকান৷ বইমেলা মিলন মেলায় সরে আসার পর প্রথমদিকে খাওয়া-দাওয়া সীমাবদ্ধ ছিল কেবল ফুড কোর্ট চত্বরের মধ্যে৷ কিন্তু এ বছর অগুন্তি খাবারের দোকান গুঁজে দেওয়া হয়েছে বইয়ের দোকানগুলোর মধ্যে৷ এবং সেগুলো যাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁদের সম্ভবত কোনো ধারণাই নেই যে এটা আসলে বইয়ের মেলা৷ প্রায় হাত ধরে টেনে তাঁরা সবাইকে দাঁড় করিয়ে দিতে চান খাবারের স্টলের সামনে৷ ঠিক যেভাবে বিভিন্ন বিনোদনমূলক টিভি চ্যানেলের স্টলে প্রায় প্রতিযোগিতা চলছে নিজেদের দিকে বেশি লোক টানার৷ উচ্চগ্রামে লাউডস্পিকার বাজিয়ে তারা নানারকম অনুষ্ঠান করে যাচ্ছে দিনভর, যার সঙ্গে, বলাই বাহুল্য, সাহিত্যের কোনো সম্পর্ক নেই৷
নানা রঙের ফ্রাংকফুর্ট বইমেলা
শেষ হলো ফ্রাংকফুর্ট বইমেলা ২০১৪৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই বইমেলার এবারের আয়োজন ছিল পাঁচদিনের৷ ছবিঘরে ফ্রাংকফুর্ট বইমেলার দারুণ কিছু ছবি৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
সানন্দে পড়ুন
শুধু জ্ঞান আহরণের জন্য নয়, স্রেফ আনন্দ উপভোগের জন্যও বই পড়া যায়৷ অনেক পাঠকের কাছে বই পড়ার আনন্দ সত্যিই অতুলনীয়৷ ফ্রাংকফুর্ট বইমেলার এক স্টলে বড় করে লেখা ছিল, ‘রিডিং ফর প্লেজার’, যার একটাই অর্থ, ‘পড়ুন আনন্দের জন্য৷’
ছবি: DW/A. Chakraborty
পড়া সত্যিই আনন্দের
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বইমেলায় চাইলেই কিন্তু যে কোনো বই কেনা যায় না৷ কেনার জন্য কিছু বই বেশ কিছু স্টলে আলাদা করা ছিল৷ কোনো কোনো স্টলে বিনা মূল্যেও কিছু বই দেয়া হয়েছে৷ এক বইপ্রেমীর আর তর সইছিল না৷ কোথায় বসছেন, চারিদিকে কত কোলাহল – এ সব না ভেবেই বসে পড়লেন পছন্দের বই নিয়ে৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
শিশুও জানে....
মায়ের হাত ধরে এসেছে শিশুটি৷ এইটুকু শিশু হলে কী হবে, তার বই পড়ার ঝোঁকও অসাধারণ৷ সামনে কত লোকের আনাগোনা, এর মাঝেই মা-কে পাশে রেখে দিব্যি বই পড়ায় মন দিয়েছে সে৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
লেখকের সঙ্গে....
ফ্রাংকফুর্ট বইমেলায় লেখক, প্রকাশক আর পাঠকদের কদরই আলাদা৷ নানা আয়োজন ছিল তাঁদের নিয়ে৷ কোথাও আলোচনা সভা, কোথাও লেখকের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন পাঠককুল, কোথাও বা টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে লেখক, পাঠক কিংবা প্রকাশক৷ এখানে এক লেখিকার সাক্ষাৎকার নিচ্ছে একটি টেলিভিশন চ্যানেল৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
বিশ্রাম
খাওয়া-দাওয়া আর বিশ্রামের খুব ভালো ব্যবস্থা থাকে ফ্রাংকফুর্ট বইমেলায়৷ কিন্তু কারো কারো তো নিজের পছন্দের পরিবেশও চাই৷ এই তরুণ-তরুণীরা বোধহয় এ কারণেই বিশাল মেলা প্রাঙ্গনের সাজানো-গোছানো আয়োজন থেকে একটু দূরে গিয়ে বসে পড়লেন সিঁড়িতে৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
প্রাচীন বই
একটি স্টল শুধু পুরোনো বইয়ে ঠাসা৷ ১৩শ বছর আগের বইও ছিল সেখানে৷
ছবি: DW/A. Chakraborty
ক্লান্তি দূর....
এক দিনে পুরো মেলা প্রাঙ্গন ঘুরতে গেলে শরীর-মন একসময় ক্লান্ত হবেই৷ সেই ক্লান্তি দূর করতেও ছিল দারুণ ব্যবস্থ৷ মেলায় এসেছিলেন এক ঝাঁক পোলিশ ফিজিওথেরাপিস্ট৷ ক্লান্ত শরীরটা একটা চেয়ারে ছেড়ে দিন৷ বাকি দায়িত্ব ফিজিওথেরাপিস্টের৷ মাত্র দশ মিনিটের মাজাজে শরীরটাকে আবার চাঙা করে দেবেন তিনি৷ খরচ মাত্র দশ ইউরো!
ছবি: DW/A. Chakraborty
7 ছবি1 | 7
অথচ সাহিত্যের প্রসারে কি যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? মঙ্গলবার কলকাতা বইমেলায় পালিত হলো ‘বাংলাদেশ দিবস'৷ এই উপলক্ষ্যে এক আলোচনাসভায় বাংলাদেশের জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের মাজহারুল ইসলাম৷ তিনি রীতিমত খেদ প্রকাশ করলেন যে প্রতিবেশী দেশ, বাংলাভাষী দেশ, তাও কলকাতা বইমেলায় প্রাপ্য গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশকে, তার সাহিত্যকে৷ বাংলাদেশের কবি-লেখকদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরিচিতি নেই এপারের বাঙালি পাঠকদের৷ তার কোনো উদ্যোগও চোখে পড়ে না কলকাতা বইমেলার উদ্যোক্তাদের তরফে৷ উল্টে বাংলাদেশের বই বেআইনিভাবে প্রকাশ ও বিক্রি করেন কলকাতার কিছু অসাধু প্রকাশক৷ অথচ তা আটকাবার কোনো প্রচেষ্টা নেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের৷ পশ্চিমবঙ্গ প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা সমিতির পক্ষে সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেন, বই জালিয়াতির একই ঘটনা ঘটে বাংলাদেশেও৷ বরং কলকাতা, তথা পশ্চিমবঙ্গেই বাংলাদেশের বই স্থানীয় প্রকাশকরা আইন মেনে, নিজেদের নামে, নিজেদের আইনি দায়িত্বে প্রকাশ করেন৷ কিন্তু বাংলাদেশে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নকল করা হয় একেকটি বই৷
এই তর্কের হয়ত একদিন নিষ্পত্তি হবে, কিন্তু সেই তর্কে জেতার থেকেও বড় কথা, বাংলাভাষী দুই অঞ্চলের মধ্যে যে বিশ্বাসহীনতা, তা প্রকট হচ্ছে এই বিতর্কে, যা বাংলা সাহিত্যের পক্ষেই ক্ষতিকর৷ পাশাপাশি বইয়ের থেকেও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে যে হুজুগ, তাই বা বাঙালির কতটা উপকার করবে! কলকাতা বইমেলা আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারে নথিভুক্ত হতে পারে, কিন্তু তা আদৌ বাংলা সাহিত্যের উত্তরণে, প্রসারে কোনো সাহায্য করছে কিনা, সে প্রশ্নও থেকেই যাবে!
ঢাকা বইমেলাতেও কি সাহিত্যের বদলে ব্যবসায়িক উদ্যোগ বেশি চোখে পড়ে? জানান আপনার মন্তব্য৷
প্রাণের মেলা – অমর একুশে গ্রন্থমেলা
ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি৷ আর এই ভাষার মাস মানেই হলো একুশে বইমেলা৷ তাই অবরোধ-হরতালের মধ্যেই ১লা ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন দিয়ে শুরু হয়ে গেছে মেলা৷ গ্রন্থমেলায় এ বছর মোট ৩৫১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
অস্থিরতার মধ্যেও চলছে বইমেলা
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই চলছে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা৷ তবে বাঙালির প্রাণের মেলা হিসেবে খ্যাত বইপ্রেমীদের এ মিলনমেলায় বিএনপি ও সমমনা ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ আর হরতাল কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
সপ্তাহান্তে গ্রন্থমেলায় ভিড়
ছুটির দিনে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইপ্রেমীদের ভিড়৷ অবরোধ সত্ত্বেও ছুটির দিনগুলোতে বইমেলা প্রাণ ফিরে পায়৷ পুরো বাংলা একাডেমি চত্বর আর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
সর্বদা তটস্থ ব়্যাব-পুলিশ
অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রবেশ পথে এক দর্শনার্থীর ব্যাগ তল্লাশি করছে পুলিশ৷ হরতাল-অবরোধের সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেলা প্রাঙ্গণে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ প্রতিটি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ছাড়াও আছে ব়্যাব ও সাদা পোশাকে পুলিশের টহল৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
‘আমরা তোমায় ভুলবো না...’
বইমেলায় বরাবরের মতো এবারও প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দারুণ কদর৷ মেলার সোহরাওয়ার্দি উদ্যান প্রাঙ্গণে ‘অন্য প্রকাশ’-এর প্যাভিলিয়নের ওপরে স্থাপন করা হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের বড় প্রতিকৃতি৷ পোস্টার আকারে তাঁর ছবিও রয়েছে জায়গায় জায়গায়৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
বিরাট প্যাভিলিয়ন
সোহরাওয়ার্দি উদ্যান প্রাঙ্গণে ‘ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড’-এর দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন৷ গত বছর বাংলা একাডেমি থেকে মেলার পরিসর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান পর্যন্ত বাড়ানোর পর, এ বছর যোগ হয়েছে বড় আকারের প্যাভিলিয়ন৷ দেশের পুরনো ও বড় প্রকাশকরা পেয়েছেন এ সব জায়গা৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
শিল্পীরাও আছেন
অমর একুশে গ্রন্থমেলার সামনের সড়কের ফুটপাথে এক দর্শনার্থীর প্রতিকৃতি আঁকছেন একজন শিল্পী৷ বইমেলার প্রবেশ পথে কয়েকজন শিল্পী মেলায় আসা দর্শনার্থীদের নানাভাবে মুখচ্ছবি এঁকে দেন৷ এ জন্য ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা খরচ হয়৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
গ্রন্থমেলায় টিভি চ্যানেল
বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে মেলা সম্পর্কিত খবরাখবর টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সরাসরি সম্প্রচার করে৷ নতুন বইয়ের খবর, লেখকদের সাক্ষাৎকার, পাঠকদের প্রতিক্রিয়াসহ নানান বিষয় ফুটিয়ে তোলে এ সব চ্যানেল৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
ব্যস্ত নজরুল মঞ্চ
বাংলা একাডেমি চত্ত্বরের নজরুল মঞ্চ৷ পুরো বইমেলায় এ মঞ্চ সরগরম রাখে অসংখ্য নতুন বইয়ের মোড়ক উম্মোচনের অনুষ্ঠান৷ এ বছর মেলা প্রাঙ্গন পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে৷ সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সুইচ’-এর সদস্যরা এ কাজে সদা সজাগ৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
অগুন্তি বই, অনেক পড়ুয়া
অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণে একটি বোর্ডে টাঙানো নতুন বইগুলোর প্রচ্ছদ৷ বইমেলার ১৫তম দিনে তোলা এ ছবিটি৷ এদিন মেলায় নতুন বই আসে ৭১টি৷ সেদিন পর্যন্ত এবারের একুশে বইমেলায় দুই হাজারেরও বেশি নতুন বই প্রকাশিত হয়৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
‘শিশু প্রহর’
বইমেলার একটি স্টলে অভিভাবকদের সঙ্গে পছন্দের বই দেখছে একটি শিশু৷ সপ্তাহের দুটি দিনের কিছু সময় শিশুদের জন্য বরাদ্দ৷ শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলা ‘শিশু প্রহর’ শুধু শিশুদেরই জন্য৷ তবে শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকরাও আসতে পারেন৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
বই দেখুন, বই পড়ুন
একটি স্টলে দর্শনার্থীরা বই দেখছেন৷ মেলায় আসা প্রকাশকরা তাঁদের স্টলগুলো এমনভাবে সাজিয়েছেন, যাতে দর্শকরা ভালোভাবে বই পরখ করতে পারেন৷ বই দেখার ছলে অনেকে অবশ্য বইয়ের বেশ খানিকটা অংশ পড়েও নেন৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
অটোগ্রাফ নেয়ার ধুম
গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণে অটোগ্রাফ শিকারীদের কবলে জনপ্রিয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল৷ একমাত্র বই মেলাতেই প্রিয় লেখককে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান পাঠকরা৷ তাই প্রিয় লেখকের অটোগ্রাফ নেয়ার সুযোগ ছাড়েননা অনেকেই৷
ছবি: DW/Mustafiz Mamun
বইমেলা তারুণ্যের প্রতীক
বইমেলা শুধু প্রাণের মেলাই নয়, এখন বাঙালির সার্বজনীন উৎসবও এটি৷ সেজেগুজে নানা পোশাকে তাই দর্শনার্থীদের ঘুরে-বেড়াতে দেখা যায়৷ ছবিতে মেলা প্রাঙ্গণে সেলফি তুলছে একদল তরুণ বইপ্রেমী৷ বইমেলা অবশ্য তরুণদের পদচারণাতেই সবচেয়ে বেশি মুখর থাকে৷