বড় আকারে ফুল চাষের কারণে কেনিয়ার এক হ্রদে জেলেদের জীবিকা বিপন্ন হয়ে পড়েছে৷ বিষাক্ত পদার্থ মাছেদের বংশবৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যের উপর কুপ্রভাব ফেলছে৷ কিছু ফুল কোম্পানি পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলেও বাকিরা তাতে সামিল হচ্ছে না৷
বিজ্ঞাপন
জালে আবার মাছ পড়েছে৷ কয়েক ঘণ্টা পানিতে থেকে কাজ হয়েছে৷ প্রত্যেক নৌকা বেশ কয়েক কিলো তেলাপিয়া মাছ নিয়ে ফিরেছে৷ তবে হ্রদের পানিতে সদ্য পাওয়া বিষাক্ত পদার্থ নিয়ে সবাই আলোচনা করছে৷
স্যামসন মাচারিয়ার সেই ভয়ংকর সময়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে৷ ২০০৯ সালে বিশাল পরিবেশ বিপর্যয় ঘটেছিল৷ হ্রদ প্রায় পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছিল, মাছেদের শরীরে বিষ ছড়িয়ে গিয়েছিল৷ ফুলের চাষই ছিল সেই বিপত্তির কারণ৷ স্যামসন বলেন, ‘‘তারা গোটা লেক প্রায় শুকিয়ে ফেলেছিল৷ পয়ঃপ্রণালীর মাধ্যমে বিষ এসে পানি নষ্ট করে দিয়েছিল৷ ফলে মাছ কমে গেল৷ মাত্র ১০টি নৌকায় যা ওঠে, সেটুকুই অবশিষ্ট ছিল৷ মৎস বিভাগ এক বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে মাছের সংখ্যা বাড়াতে পেরেছিল৷ তাই মানুষ প্রায় না খেয়ে ছিল৷''
তবে ২০০৯ সালের পরিবেশ বিপর্যয়ের পর থেকে জেলেরা আর ফুল শিল্পের প্রতি আস্থা রাখেন না৷ যদিও ফুল কোম্পানিগুলির কার্যকলাপের উপর আরও কড়া নিয়ন্ত্রণ চালু করা হয়েছে৷ তাঁদেরই একজন এডওয়ার্ড নিজিনোর৷ তিনি বলেন, ‘‘তারা এই রাসায়নিক দ্রব্য স্প্রে করছে৷ বৃষ্টির ফলে সেই রাসায়নিক হ্রদের পানিতে গিয়ে মিশছে৷ সেই বিষ মাছের পেটে গেলে এবং সেই মাছ খেলে মানুষের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়৷ মাছেদের বংশবৃদ্ধির উপরেও প্রভাব পড়ে, কারণ ফুলের ফার্মগুলি তো কাছেই অবস্থিত৷''
যেসব ফুল সুন্দর ও আকষর্ণীয় করে তোলে
কিছু ফুল আছে যেগুলো শুধু সুগন্ধই ছড়ায় না, সেসব ফুল থেকে তৈরি কসমেটিক্স ত্বককে করে তোলে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয়৷ ছবিঘরে থাকছে সেরকমই কিছু ঔষধি ফুলের কথা৷
ছবি: Fotolia/StefanRiedmüller
বেলি
খোঁপায় বেলিফুলের মালা জড়ায়নি এমন বাঙালি নারী খুঁজে পাওয়া মুশকিল৷ অত্যন্ত মিষ্টি গন্ধের এই ফুলের জন্ম কাশ্মিরের হিমালয় পর্বত এবং চীনে৷ তবে এখন অনেক দেশেই এর উৎপাদন হয়৷ বেলি ফুলের তৈরি ক্রিম মুখমন্ডল ও শরীরের ত্বককে সুন্দরতো করেই, স্নিগ্ধও রাখে৷ হাজারো বছর আগে চীনাদের তৈরি বেলি ফুলের সুগন্ধী তেলকে আরবরা নাম দিয়েছিলো ‘জেসমিন অয়েল’ – যে তেল শরীরে এনে দেয় উষ্ণতা আর মনকে করে প্রফুল্ল৷
ছবি: DW/Al Soofi
জবা
জবার পাপড়ি দিয়ে তৈরি চা রোগ সংক্রমণ রোধে ও ধমনী শক্ত রাখতে সহায়তা করে৷ এটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া হিসেবেও কাজ করে৷ এছাড়া জবা ফুলে রয়েছে বিভিন্ন ফলিক অ্যাসিড, যার মাস্ক মুখমন্ডলের ত্বক পরিষ্কার ও মসৃণ করে বলে জানিয়েছেন ফার্মাসিস্ট হাফারকর্ন৷
ছবি: CC-BY-SA/KarlM
লিলি
গ্রিক দেবির নাম অনুসারে রাখা রংধনুর মতো সুন্দর লিলি ফুল৷ দুশো’রও বেশি রকমের লিলি ফুল রয়েছে৷ ছয় পাপড়ি বিশিষ্ট শুকনো লিলি কন্দ থেকে তৈরি হয় মূল্যবান ‘পারফিউম অয়েল’৷ ফুলের ভেতরে থাকা আঠার মতো পদার্থটি হাতের ত্বককে পুনর্জীবিত করে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে, বলে জানিয়েছেন জার্মানির ভুপার্টাল শহরের ফার্মাসিস্ট সাবিনে হাফারকর্ন৷
ছবি: Fotolia/lily
শাপলা
শাপলার আদি জন্ম অ্যামেরিকা, এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায়৷ একে বিশুদ্ধতার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়ে থাকে৷ শাপলার ডাটা ও শেকড় হজমে সহায়তা করে৷ এছাড়া ঘুমের সমস্যায় ঔষধি গাছ হিসেবেও শাপলা ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ শাপলা ফুল মুখের ত্বকের নানা সমস্যা দূর করে ও ত্বককে স্নিগ্ধ রাখে৷ শাপলা ফুল দিয়ে তৈরি চোখের ক্রিম, গোসলের লিকুইড সাবান, বডিলোশন, বডি স্প্রে রয়েছে৷
ছবি: Fotolia/Aamon
এক ধরনের অর্কিড
অসম্ভব সুন্দর এই অর্কিড ফুলের উৎপত্তি অ্যামেরিকার গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকায়৷ ১,৭০০ বছর আগে সমুদ্রে ভ্রমণকারীরা ইউরোপে এই ফুল নিয়ে এসেছেন৷ কাঁটার মালার মতো দেখতে এই ফুলের বিচিতে রয়েছে এক ধরণের অ্যাসিড, যা ত্বকের অসমতাকে সমান ও মসৃণ করে৷ সংবেদনশীল ত্বকের জন্য রয়েছে ক্রিম, বডিলোশন, সাবান, শ্যাম্পু ইত্যাদি৷
ছবি: Fotolia/StefanRiedmüller
5 ছবি1 | 5
তবে ফুল কোম্পানিগুলি এই সব অভিযোগ মানতে প্রস্তুত নয়৷ গ্রিনহাউসে তারা কোনো সাংবাদিকদের প্রবেশও পছন্দ করে না৷ জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে ডয়চে ভেলের সাংবাদিকরা একটি কোম্পানি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন৷ এই কোম্পানি নিজেদের আদর্শ বলে মনে করে৷ ওসেরিয়ান ফ্লাওয়ার ফার্মের হামিশ কের বলেন, ‘‘হ্রদের পানিতে কীটনাশক থাকলে সেটা হয়ত এমন শিল্প থেকে আসছে, যাদের আচরণ কেনিয়ার ফুল পরিষদের আচরণবিধির সঙ্গে মেলে না৷ সেই কাজেই হয়তো বেশি মন দিতে হবে, যাতে ছোট আকারের ফুল চাষিরা প্রকৃতির ক্ষতি না করে দায়িত্বের সঙ্গে পণ্য ব্যবহার করতে শেখেন৷''
ওসেরিয়ান কোম্পানির বক্তব্য, তাদের কীটনাশকের চাহিদা বাকিদের তুলনায় প্রায় অর্ধেক৷ তার বদলে এই কোম্পানি গোলাপ ফুলের উপর ছোট গুবরে পোকা ছেড়ে দেয়, যারা ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ ধ্বংস করে৷ এমন আরও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার খোঁজ চলছে, যা অন্যান্য কোম্পানিও কাজে লাগাতে পারে৷ কোম্পানির প্রতিনিধি আন্টন কোনিং বলেন, ‘‘প্লান্টে যে পানি কাজে লাগছে না, তা আমরা পুনর্ব্যবহার করি৷ সেই পানি অনেক কাজেই লাগে৷ ইকোসিস্টেমের জন্য এটা ভালো, কারণ পুনর্ব্যবহৃত বা নিষ্কাশিত পানি সেখানে যায় না৷ সারও বেঁচে যায়, কারণ রিসাইক্লিং-এর পর ভেতরে তার কিছু অংশ থেকে যায়৷ ফলে আমরা সেটা বার বার ব্যবহার করি৷''
আর্বান ফার্মিং: শহরে চাষ
বাড়ির বাগানে মুরগি পোষা, কিংবা ছাদ কি বারান্দার টবে সবজি ফলানো, এ ধরণের শহুরে চাষ চলে আসছে বহুকাল ধরে৷ কিন্তু ‘আর্বান ফার্মিং’ আজ একটি বিশ্বব্যাপী প্রবণতা – হয়তো একটি বিশ্বব্যাপীসমাধান৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Lopez
আর্বান ফার্মিং কেন?
২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১,০০০ কোটি কিংবা তারও বেশি৷ এর দুই-তৃতীয়াংশ বাস করবে শহরে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে এই পরিমাণ মানুষের খাদ্য জোগাড় করা সহজ কথা নয়৷ সেক্ষেত্রে শহরের মধ্যে চাষবাস সাহায্য করতে পারে৷
ছবি: Imago/UIG
শহুরে চাষি
শহরে যাদের বাস, তাদের প্রকৃতির প্রতি টান কোনো অংশে কম নয়৷ তার খানিকটা মেটে বাগান করতে পেরে৷ কিন্তু আর্বান ফার্মিং মানুষ আর মানুষের মধ্যে হৃদ্যতা আনে, নতুন চাকরি সৃষ্টি করে, বাড়ায় নগরবাসীদের খাদ্য নিরাপত্তা৷
ছবি: Imago/AFLO/Yoshio Tsunoda
সবুজের স্নিগ্ধ প্রলেপ
ঊষ্ণায়নের ফলে যখন বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে, তখন গাছপালা শহরের তাপমাত্রা কমায়৷ হংকংয়ের ইয়াউ মা তেই একটি প্রাচীন এলাকা৷ ২০১২ সালের মার্চ মাসে সেখানকার নানা ছাদের বাগান মিলিয়ে ‘এইচকে ফার্ম’ সৃষ্টি করা হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Lopez
ছাদে চাষ
নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন গ্রেঞ্জ হল বিশ্বের বৃহত্তম ছাদের খামার৷ দু’টি ছাদ মিলিয়ে তৈরি এই খামারে বছরে ২২,০০০ কিলোগ্রাম অরগ্যানিক খাদ্য উৎপাদন করা হয়৷ এছাড়া খামারটি শহর জুড়ে বাড়ির ছাদে ৩০টি মৌমাছির দল ও মৌচাক পোষে৷ আর্বান ফার্মিংয়ের টেকসই মডেল হিসেবে ব্রুকলিন গ্রেঞ্জ গড়ে ওঠে ২০১০ সালে৷
ছবি: Imago/UIG
ময়লা ফেলার জায়গায় চাষ
নাম হলো ‘প্রিন্ৎসেসিনেনগ্যার্টেন’ বা রাজকুমারীর বাগান৷ বার্লিনের ক্রয়েৎসব্যার্গ এলাকার এই অংশটি অর্ধশতাব্দী ধরে ময়লা ফেলার জায়গা ছিল৷ পরে সেখান থেকে আবর্জনা সরিয়ে অরগ্যানিক সবজি চাষের পোর্টেবল, অর্থাৎ অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া যায় এমন প্লট তৈরি করা হয়৷ সংগঠনটি আজ শহরের ভিতরে অনেক পোড়োজমি বা কনস্ট্রাকশন সাইটেও আর্বান ফার্মিং করে থাকে৷
ছবি: Prinzessinnengärten/Marco Clausen
ছাদে ধান রোয়া
টোকিও-র রোপোঙ্গি হিলস আসলে একটি বিজনেস ও শপিং কমপ্লেক্স৷ তার ছাদে মাটি ফেলে ধানের ক্ষেত করা হয়েছে৷ শহরের অন্যত্র ‘সিটি ফার্ম’ নামের একটি সংগঠন তরমুজ, টমেটো, সয়াবিন ফলায়৷ এছাড়া ধানচাষও করে থাকে৷ সংগঠনের সদস্যরা ধান ঝাড়ার কাজে সাহায্য করতে পারেন, কিংবা জাপানের ‘সাকে’ সুরা বানানোর পদ্ধতি শিখতে পারেন৷
ছবি: Imago/AFLO/Yoshio Tsunoda
বিপদের সময়
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের উপকণ্ঠে এলিনিকো কমিউনিটি গার্ডেন আসলে একটি ‘গেরিলা গার্ডেন’৷ গেরিলা যুদ্ধের মতোই অভাব-অনটনের দিনে গ্রিসের সর্বত্র এ ধরণের বাগান বা খেতখামার গজিয়ে উঠেছে, কেননা মানুষের খাদ্য চাই৷ এলিনিকো বাগানটি যেখানে, ২০০১ সাল পর্যন্ত সেটা ছিল একটা বিমানবন্দর৷ পরে জমি পরিষ্কার করে স্বেচ্ছাসেবীরা এখানে সবজি ও ফলমূল ফলাতে শুরু করেন দুঃস্থ এথেন্সবাসীদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে৷
ছবি: Heidi Fuller-love
7 ছবি1 | 7
এখান থেকে কোনো বিষ হ্রদে যাচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে৷ তবে ওসেরিয়ান গোটা এলাকার অসংখ্য ফুল কোম্পানির মধ্যে একটি৷ অন্য কোম্পানিগুলিতে প্রবেশ নিষেধ৷
আবার নাইভাশা হ্রদে ফেরা যাক৷ দুপুরে জেলেরা মাছ ধরে বাজারে নিয়ে আসেন৷ আজকাল তাঁদের বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়৷ আগে হ্রদের তীরেই মাছের বাজার বসতো৷ কিন্তু হ্রদ সঙ্কুচিত হচ্ছে৷ মাছের পরিমাণও কমছে৷ হ্রদ থেকে পাম্প করে অনেক পানি বার করে নেওয়া হচ্ছে৷
বেশ গরম পড়ছে৷ ছায়ার আড়ালেও তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ মাছ দ্রুত বাজারে পাঠাতে হবে৷ মাছ বিক্রেতাদের জন্য দিনটি বেশ সফল৷ তাঁদের জেলে স্বামীরা বস্তা বস্তা মাছ এনেছেন৷ ছোট তেলাপিয়া মাছের দাম প্রায় ১ ইউরো৷ ফলে অন্তত আজকের দিনটিতে ভালই আয় হয়েছে৷ মাছ বিক্রেতা রোজলিন মেরি আচিয়েং বলেন, ‘‘আমাদের এই উন্নতি হয়েছে৷ কারণ হ্রদে আর মৃত মাছ নেই৷ ওরা সেটা সম্ভব করেছে৷ কিন্তু জানেন তো, আমাদের এইটুকুই ক্ষমতা৷ আমাদের কেউ কিছু জানায় না৷ হয়তো ওরা নিজেরাই সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েছে৷''
মাছেরা বিষহীন পানিতে বেড়ে উঠবে – এটাই তাঁদের আশা৷ নাইভাশা হ্রদে ফুলের চাষ শুরু হবার আগে আগে ঠিক যেমনটা ছিল৷
মানুয়েল ওসসেরকেস/এসবি
হামবুর্গে আন্তর্জাতিক বাগান প্রদর্শনী
International garden show in Hamburg
ছবি: picture-alliance/dpa
৮০টি বাগান দিয়ে বিশ্বকে চেনা
২৬ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত৷ উন্মুক্ত এই প্রদর্শনীর স্থান প্রায় ১০০টি ফুটবল খেলার মাঠের সমান৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দুই লক্ষ ফুল
হলুদ রংয়ের বাসন্তীকুসুম, নীল রংয়ের ফরগেট-মি-নট, প্যানজি – কোনটা চান? বাগানগুলোতে বসন্তের প্রায় দুই লক্ষ ফুল রোপন করা হয়েছে৷ আশা করা হচ্ছে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ ফুলপ্রেমী দর্শক যাবেন হামবুর্গে৷
ছবি: igs 2013/Andreas Bock
ট্রেনে করে বাগান দেখা
প্রদর্শনী স্থান এতই বড় যে ঘুরে ফিরে দেখতে গেলে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ তাই কেউ যদি ট্রেনে করে দেখতে চায় সেই ব্যবস্থাও রয়েছে৷
ছবি: igs 2013/Andreas Bock
প্রতিটি ধর্মের জন্য আলাদা স্থান
প্রদর্শনীর একটা বিশাল অংশ পাঁচটি ধর্মকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷ খ্রিষ্টান, ইহুদি, ইসলাম, বৌদ্ধ আর হিন্দু৷ ছবিতে বৌদ্ধদের এলাকা দেখা যাচ্ছে যেখানে গাছগুলো বিভিন্ন প্রতীকী রং দিয়ে মোড়ানো রয়েছে৷
ছবি: igs 2013/Andreas Bock
অ্যারাবিয়ান নাইটস
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল ভিত্তিক বাগানও রয়েছে সেখানে৷ ছবিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাগানে একটি তাঁবু দেখা যাচ্ছে৷ সেখানে গেলে ‘অ্যারাবিয়ান নাইটস’ বা ‘সহস্র এক আরব্য রজনি’-র লোককথাগুলো শুনতে পাওয়া যাবে৷
ছবি: igs 2013/Andreas Bock
ইস্পাতের ভাস্কর্য
বাগানের প্রদর্শনী বলে যে শুধু ফুল আর গাছ দেখা যাবে, তাই নয়৷ একটা অংশে শুধু রয়েছে ইস্পাতের তৈরি বিভিন্ন ভাস্কর্য৷
ছবি: igs 2013/Andreas Bock
খেলাধুলা
শুধু বাগানে বাগানে ঘোরাই নয়৷ কেউ চাইলে যেন সেখানে জগিং কিংবা সাঁতার কাটতে পারে সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ রয়েছে স্কেটিং ও রোদে গোসল করার সুযোগও৷
ছবি: igs 2013/RMP
প্রতিযোগিতা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া বাগানের নকশাকারক এবং ফুল উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে৷