1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেক নিউজ ধরতে পেশাদার সংস্থা

গৌতম হোড় নতুন দিল্লি
১০ জুন ২০২০

পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ফেক নিউজ খুঁজে বের করবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এরকম সংস্থা নিয়োগের জন্য টেন্ডারও ডাকা হয়েছে।

ছবি: Imago Images/Panthermedia/O. Le Moal

ফেক নিউজ বা ভুয়া খবর খুঁজে বের করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো বা পিআইবি-র একটা বিশেষ সেল আছে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা প্রসার ভারতীও নিয়মিত ফেক নিউজ খুঁজে বের করে। তবে তাতেও হচ্ছে না। এ বার পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ফেক নিউজ খুঁজে বের করবে মোদী সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সংস্থা ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্টস ইন্ডিয়া এর জন্য টেন্ডার ডেকেছে। সেই পেশাদার সংস্থার কাজ হবে, তথ্য যাচাই করে ফেক নিউজ খুঁজে বের করা এবং কারা সেই ফেক নিউজ দিচ্ছে তা দেখা এবং তারা কোন দেশ থেকে দিচ্ছে সেটাও খুঁজে বের করা।

তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগের এক আধিকারিক ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ফেক নিউজ বা মিথ্য়া খবর এখন সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংবাদপত্র ও টিভিতে ফেক নিউজ দেয়া হলে তা ধরে ফেলা সহজ।  কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে ফেক নিউজের এতটাই রমরমা যে সরকার চিন্তিত।  সেই ফেক নিউজ ধরাও শক্ত। তাঁদের চিন্তা আরও বেড়েছে, কারণ, সাধারণ মানুষ ফেক নিউজ আগাগোড়া বিশ্বাস করছেন। সে জন্যই একটা চেষ্টা হচ্ছে, সামাজিক মাধ্যমকে  ফেক নিউজ-মুক্ত করার।

ঘটনা হলো, ফেক নিউজ কাকে বলা হবে, সে সম্পর্কে কোনও সরকারি মাপকাঠি নেই। ফলে সরকার বিরোধী খবর হলেই তা ফেক নিউজ বলে চালিয়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। তাছাড়া মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে, তারা সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্য়মকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। নজরদারি রাখতে চায়। সেক্ষেত্রে সামাজিক মাধ্যম থেকে ফেক নিউজ খুঁজে বের করার চেষ্টাও কি নজরদারির অন্য রূপ?

প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''এটা ঠিক যে ফেক নিউজ একটা বড় সমস্যা। তা ধরা গেলে খুবই ভালো হয়। এটাও অস্বীকার করার জায়গা নেই, রাজনীতিতে ফেক নিউজ চালু হওয়ার পিছনে বিজেপির অবদান প্রচুর। তারা সত্যি যদি সামাজিক মাধ্যমকে ফেক নিউজ মুক্ত করতে চায় তো ভালো। কিন্তু মনে হচ্ছে, বিষয়টা হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফেক নিউজ হচ্ছে। তা ধরার কাজটা বেশ কঠিন।''

আরেক প্রবীণ সাংবাদিক আশিস গুপ্ত মনে করেন, সরকার এই রকম প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেয় নজরদারি করার জন্য। ডয়চে ভেলেকে তিনি জানিয়েছেন, ''এ ভাবে তো ভারতকে পুলিশি রাষ্ট্র করতে চাইছে বিজেপি।''

বছর দুয়েক আগে জনসত্তা, দ্য ওয়্যায়ের মতো কিছু সংবাদমাধ্যম অমিত শাহের একটা ভাষণের রিপোর্টিং করেছিল। রাজস্থানের কোটায় দলের সামাজিক মাধ্যমের স্বেচ্ছাসেবকদের অমিত শাহ বলেছিলেন, উত্তর প্রদেশে বিজেপি-র হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে মোট ৩২ লাখ লোক আছেন। যে কোনও খবর ওপর থেকে নীচে, নীচ থেকে ওপরে চালানোর ক্ষমতা বিজেপির আছে। টক-মিষ্টি, ঠিক-ভুল যে কোনও খবরই। অমিত শাহ একটা উদাহরণ দিয়েছিলেন। একজন একটা ভুল খবর সামাজিক মাধ্যমে দিয়েছিলেন। অখিলেশ যাদব তাঁর বাবা মুলায়মকে চড় মেরেছেন। তারপর সেই খবর ভাইরাল হয়ে য়ায়। অনেকে অমিত শাহকে ফোন করে বলেন, যে নিজের বাবাকে দেখে না, সে সাধারণ লোককে কী দেখবে? সেই ভাষণে অমিত শাহ অবশ্য বলেছিলেন, মিথ্যা খবর দেওয়াটা ভুল। সেই কাজ করবেন না।

ফেক নিউজের শক্তিটা অমিত শাহ সহ বিজেপি নেতারা জানেন। মোদী সরকারও জানে। ফেক নিউজ হলো নিয়ন্ত্রণহীন কামান। সেটা কাকে কখন আক্রমণ করে তা বলা শক্ত। তার কামড় এখন সরকারকে খেতে হচ্ছে, তাই এখন তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। 

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ