1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এফ-ওয়ান ফ্যানরা ‘বোর'

৪ অক্টোবর ২০১৩

বৃহস্পতিবার রেড বুলের সেবাস্টিয়ান ফেটেলও স্বীকার করেছেন যে, ফ্যানদের কাছ থেকে ‘দুয়ো’ শোনাটা কোনোমতেই সুখপ্রদ নয়৷ তবে এর জন্য ফেরারি ফ্যানরাই দায়ী বলে আভাস দেন তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন৷

ছবি: Tom Gandolfini/AFP/Getty Images

ফর্মুলা ওয়ান মোটর দৌড়ে পোডিয়াম থেকে দুয়োক্কার – বলতে কি – অভাবনীয়৷ কিন্তু ফেটেলকে সেটাই শুনতে হয়েছে এবং হয়ত আগামীতেও হবে৷ তার একটা কারণ: পর পর তিনবার দুর্ধর্ষ গতি ও নিজস্ব শৈলীতে চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর চলতি মরশুমে ফেটেলের আধিপত্য যেন একটা নতুন মাত্রা পেয়েছে৷

কিন্তু দর্শকদের তরফ থেকে দুয়ো? ‘‘আমি খেয়াল করেছি৷ ব্যাপারটা নিশ্চয় সুখকর নয়৷ অথচ সবাই যে দুয়ো দিচ্ছে, এমন তো নয় – যদিও (দু'সপ্তাহ আগে সিঙ্গাপুরের) রেসের পর লোকজন তেমনই লিখেছিল,'' বলেছেন ফেটেল৷ ‘‘সাধারণত একজন শুরু করে, তারপর আরো কিছু লোক যোগ দেয়৷ কিন্তু শেষে বহু ফ্যান রেড বুল দলকেও হাততালি দিচ্ছিল এবং রেসের ফলাফলে খুব খুশি হয়েছিল৷''

‘‘হয়ত ফেরারি ফ্যানরা খুশি নয় কেননা আমরা (রেড বুল) তাদের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী প্রতিপক্ষ৷ কিন্তু সেটা তাদের পছন্দ না হলেও, আমাদের খুবই পছন্দ৷'' – বিপক্ষ অথবা বিপক্ষের ড্রাইভারকে দুয়ো দেওয়াটা যে শুধু ফেরারি ফ্যানদের গুণগত বৈশিষ্ট্য নয়, সেটাও জানেন ফেটেল৷ ‘‘আমি নিশ্চিত যে, রেড বুলেরও এমন কিছু ফ্যান আছে, যারা ফেরারির সাফল্যে খুব খুশি হতো না৷ জীবন যেরকম,'' দার্শনিকতা করে বলেছেন ফেটেল৷

ট্র্যাকশন কন্ট্রোল নিয়ে গুজব

ওদিকে রেড বুল তাদের এই আশ্চর্য সাফল্যের জন্য অবৈধভাবে ট্র্যাকশন কন্ট্রোল ব্যবহার করছে, বলে যে গুজব বেরিয়েছে, তাকেও হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন সেবাস্টিয়ান ফেটেল৷ সিঙ্গাপুরের রেসে ফেটেল গাড়ির হাই স্পিড থেকে সুবিধা পাবার পর সাবেক মিনার্দি টিমের প্রধান জিয়ানকার্লো মিনার্দি ইঙ্গিত করেন যে, রেড বুল হয়ত নিষিদ্ধকৃত ট্র্যাকশন কন্ট্রোল ব্যবহার করে বাঁক নেওয়ার সময় বাড়তি গতি পাচ্ছে৷

ফর্মুলা ওয়ানেও এখন শোনা যাচ্ছে দুয়োধ্বণিছবি: picture-alliance/dpa

বৃহস্পতিবার ফেটেলকে ঠাট্টা করে বলতে শোনা যায়: সপ্তাহান্তে কোরিয়ান জিপি চলাকালীন টাইফুন আসার সম্ভাবনা থাকলেও, তা ফেটেলের জয় আটকাতে পারবে না, ‘‘কেননা আমাদের ট্র্যাকশন কন্ট্রোল আছে''৷ তবে এই ধরনের অভিযোগের জন্য তিনি মানুষকে দুষতে রাজি নন: ‘‘এটা অপমান করার জন্য বলে আমার মনে হয় না৷ লোকে মোটর রেসিং এবং তার পিছনে যে প্রযুক্তি আছে, সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী৷''

সিঙ্গাপুরের রেসে ফেটেল কখনো-সখনো প্রতি ল্যাপে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে আড়াই সেকেন্ড দ্রুততর ছিলেন – যা এফ-ওয়ানে একটা অকল্পনীয় ব্যবধান৷ জিয়ানকার্লো মিনার্দি বস্তুত বলেছেন, কর্নারে ফেটেলের গাড়ির আওয়াজ শুনে তাঁর মনে হয়েছে, গাড়িতে কোনো ধরনের ট্র্যাকশন কন্ট্রোল ব্যবহার করা হচ্ছে৷

মার্সিডিজের ড্রাইভার লিউয়িস হ্যামিল্টন এই বৃহস্পতিবার বলেছেন, রেড বুল এমন কিছু একটা ব্যবহার করছে যা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা এখনও বুঝে উঠতে পারেনি৷ ফেটেলের ড্রাইভিং সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য: ‘‘অন্যদের চেয়ে অন্তত বিশ মিটার আগেই ও ফুল থ্রটলে চলে যায়, যেটা একটা বিরাট সুবিধা৷''

চ্যাম্পিয়নশিপে ফেটেলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফেরারির ফের্নান্দো আলন্সো বলেছেন, বাঁকগুলোতে রেড বুলের গাড়ির আওয়াজ যে অন্যদের চেয়ে আলাদা, সেটা মরশুম শুরু হবার আগের টেস্টিং থেকেই বোঝা গেছিল৷ কাজেই সেটা মরশুম শুরু হবার পর রেড বুলের আধিপত্য বেড়ে চলার কারণ কিংবা ব্যাখ্যা হতে পারে না৷

শেষ দু'টি কোরিয়ান জিপি-তে বিজয়ী ছিলেন ফেটেল৷ রবিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে৷ এক্ষেত্রে আবহাওয়া অফিস ছাড়াই মোটামুটি প্রত্যয়ের সঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণী করা চলে: এবারও বিজয়ীর নাম হবে সেবাস্টিয়ান ফেটেল৷

এসি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ